কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
বন্যার শঙ্কায় মধ্যেই কুড়িগ্রামে তিস্তা পারে ভাঙন শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে শুরু হওয়া আকস্মিক ভাঙনে বসতবাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিস্তা পারের বাসিন্দারা। রাত পোহালেই ঈদের উৎসব শুরু হবে। কিন্তু তিস্তার আগ্রাসী ভাঙনে বাসিন্দাদের মধ্যে ভিটামাটি হারানোর আশঙ্কায় শঙ্কিত তারা।
তিস্তার ভাঙনে বসতি হারাতে বসা কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এরশাদ বলেন, ‘আমার ঝুপির দুয়ারে (বাড়ির প্রবেশ গেট) নদী। ভয়াবহ অবস্থায় আছি। কাল ঈদ। কোরবানির প্রস্তুতি নিছি। কিন্তু ভাঙনে ঈদ আনন্দ শেষ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় জিও ব্যাগ না ফেললে বাড়িটা রক্ষা করা যাবে না।’
ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে তিস্তার পারের এই বাসিন্দা বলেন, ‘কাল রাতেই দুই তিনটা বাড়ি সরানো হয়েছে। এখনো শতাধিক পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে আছে। আমরা স্থায়ী প্রতিরক্ষা চাই। কিন্তু আপাতত জিও ব্যাগ ছাড়া উপায় নাই। কিন্তু সে উদ্যোগ নেবে কে?’
জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালিরহাট বাজারসহ তৎসংলগ্ন চতুরা মৌজার তিস্তার তীরবর্তী শতাধিক পরিবারে এখন এমনই চিত্র। তিস্তার ভাঙনে পরিবারগুলোর ঈদ আনন্দ আতঙ্কে রূপ নিয়েছে।
গতকাল ভাঙনের কবলে পড়ে দুটি ঘর ভেঙে সরিয়ে নিয়েছেন কালিরহাট এলাকার চায়ের দোকানি সুবাস চন্দ্র। পরিবার নিয়ে তিনি চায়ের দোকানেই আশ্রয় নিয়েছেন। সুবাস বলেন, ‘কোথায় যাব ভাই। আশ্রয় নেওয়ার আর জায়গা নাই। যে চায়ের দোকান করি, সেটাতেই কোনো রকম আশ্রয় নিছি।’
সুবাস ঘর ভেঙে চায়ের দোকানে আশ্রয় নিলেও বেশির ভাগ পরিবারের স্থানান্তরিত হওয়ার মতো জায়গা নেই। যদি ভাঙন থামে—এমন প্রত্যাশায় তাঁরা ঝুঁকি নিয়েই পরিবারসহ ভাঙনের কিনারে দিন পার করছেন।
ভাঙনের কিনারে নিরুপায় দিন যাপন করছেন আলমগীর, আয়নাল হক ও নিবারণ চন্দ্রসহ অনেক দিনমজুর পরিবার। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সেফারুল ইসলাম জানান, ভাঙনের কবলে পড়ে গতকাল সন্ধ্যার দিকে ঘর সরিয়ে নিয়েছেন সুবাস চন্দ্র, নিবাস চন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি পরিবার। ভাঙন হুমকিতে আছে কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সোনার জুম্মা এলাকা থেকে মৌলভীপাড়া পর্যন্ত তীরবর্তী শতাধিক পরিবার ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। ভাঙনের খবরে গতকাল রাতে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী।
ইউপি সদস্য সেফারুল বলেন, ‘ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরিবারগুলো অনিশ্চয়তায় মধ্যে আছে।’
বাসিন্দারা চরম সংকটে থাকলেও পাউবো বলছে, ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার মতো তাদের অনুমতি নেই। ‘বাজেট সংকটের’ কারণে তারা কিছু করতে পারছেন না। তবে তারা ওই এলাকাটি পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
প্রতিষ্ঠানটির কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘এই মুহূর্তে কিছু করার নেই। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
বন্যার আশঙ্কার মধ্যে ভাঙনের কিনারে থাকা পরিবারগুলোর পরিণতি প্রশ্নে এই নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। এরপরও আমরা ওপরে (ঊর্ধ্বতন) কথা বলে দেখি।’
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করণীয় জানতে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদিজা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
বন্যার শঙ্কায় মধ্যেই কুড়িগ্রামে তিস্তা পারে ভাঙন শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে শুরু হওয়া আকস্মিক ভাঙনে বসতবাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিস্তা পারের বাসিন্দারা। রাত পোহালেই ঈদের উৎসব শুরু হবে। কিন্তু তিস্তার আগ্রাসী ভাঙনে বাসিন্দাদের মধ্যে ভিটামাটি হারানোর আশঙ্কায় শঙ্কিত তারা।
তিস্তার ভাঙনে বসতি হারাতে বসা কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এরশাদ বলেন, ‘আমার ঝুপির দুয়ারে (বাড়ির প্রবেশ গেট) নদী। ভয়াবহ অবস্থায় আছি। কাল ঈদ। কোরবানির প্রস্তুতি নিছি। কিন্তু ভাঙনে ঈদ আনন্দ শেষ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় জিও ব্যাগ না ফেললে বাড়িটা রক্ষা করা যাবে না।’
ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে তিস্তার পারের এই বাসিন্দা বলেন, ‘কাল রাতেই দুই তিনটা বাড়ি সরানো হয়েছে। এখনো শতাধিক পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে আছে। আমরা স্থায়ী প্রতিরক্ষা চাই। কিন্তু আপাতত জিও ব্যাগ ছাড়া উপায় নাই। কিন্তু সে উদ্যোগ নেবে কে?’
জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালিরহাট বাজারসহ তৎসংলগ্ন চতুরা মৌজার তিস্তার তীরবর্তী শতাধিক পরিবারে এখন এমনই চিত্র। তিস্তার ভাঙনে পরিবারগুলোর ঈদ আনন্দ আতঙ্কে রূপ নিয়েছে।
গতকাল ভাঙনের কবলে পড়ে দুটি ঘর ভেঙে সরিয়ে নিয়েছেন কালিরহাট এলাকার চায়ের দোকানি সুবাস চন্দ্র। পরিবার নিয়ে তিনি চায়ের দোকানেই আশ্রয় নিয়েছেন। সুবাস বলেন, ‘কোথায় যাব ভাই। আশ্রয় নেওয়ার আর জায়গা নাই। যে চায়ের দোকান করি, সেটাতেই কোনো রকম আশ্রয় নিছি।’
সুবাস ঘর ভেঙে চায়ের দোকানে আশ্রয় নিলেও বেশির ভাগ পরিবারের স্থানান্তরিত হওয়ার মতো জায়গা নেই। যদি ভাঙন থামে—এমন প্রত্যাশায় তাঁরা ঝুঁকি নিয়েই পরিবারসহ ভাঙনের কিনারে দিন পার করছেন।
ভাঙনের কিনারে নিরুপায় দিন যাপন করছেন আলমগীর, আয়নাল হক ও নিবারণ চন্দ্রসহ অনেক দিনমজুর পরিবার। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সেফারুল ইসলাম জানান, ভাঙনের কবলে পড়ে গতকাল সন্ধ্যার দিকে ঘর সরিয়ে নিয়েছেন সুবাস চন্দ্র, নিবাস চন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি পরিবার। ভাঙন হুমকিতে আছে কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সোনার জুম্মা এলাকা থেকে মৌলভীপাড়া পর্যন্ত তীরবর্তী শতাধিক পরিবার ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। ভাঙনের খবরে গতকাল রাতে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী।
ইউপি সদস্য সেফারুল বলেন, ‘ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরিবারগুলো অনিশ্চয়তায় মধ্যে আছে।’
বাসিন্দারা চরম সংকটে থাকলেও পাউবো বলছে, ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার মতো তাদের অনুমতি নেই। ‘বাজেট সংকটের’ কারণে তারা কিছু করতে পারছেন না। তবে তারা ওই এলাকাটি পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
প্রতিষ্ঠানটির কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘এই মুহূর্তে কিছু করার নেই। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
বন্যার আশঙ্কার মধ্যে ভাঙনের কিনারে থাকা পরিবারগুলোর পরিণতি প্রশ্নে এই নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। এরপরও আমরা ওপরে (ঊর্ধ্বতন) কথা বলে দেখি।’
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করণীয় জানতে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদিজা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৩ ঘণ্টা আগে