Ajker Patrika

বিজয় দিবসেও পতাকা উঠল না মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯: ০৬
বিজয় দিবসেও পতাকা উঠল না মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে

বিজয় দিবসে পতাকা তোলা হয়নি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাটের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে নেই কোনো আয়োজনও। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন বলছে, বিজয় দিবসে পতাকা উত্তোলন করতে না পারা দুঃখজনক। পতাকা উত্তোলন করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স রক্ষণাবেক্ষণে যেমন প্রশাসনের দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদেরও দায়িত্ব রয়েছে। 

আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পাকেরহাটে অবস্থিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে গেলে দেখা গেছে, বিজয় দিবসে আজ সুনসান নীরবতা। নবনির্মিত এই ভবনের সামনেই রয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। সেখানেও রয়েছে ময়লা-আবর্জনা। ফাঁকা পড়ে আছে পতাকা টাঙানোর স্ট্যান্ডও। এই ভবনের চারপাশ গাছের পাতায় অপরিচ্ছন্ন। তবে এই ভবনের প্রথম তলা একটি ডায়াগনস্টিককে ভাড়া দেওয়া হয়েছে ,শুধু তাদের কেয়ারটেকার আছে সেখানে। 

এ নিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সংসদের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘যাঁদের জন্য স্বাধীন ও সার্বভৌম এই রাষ্ট্র, তাঁদের নামে তৈরি হওয়া ভবনে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়নি, তা দুঃখজনক। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রয়োজন ছিল।’ 

এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘সমন্বয়হীনতার অভাবে এমন একটি ঘটনা ঘটে গেছে, যা আমাদের জন্য চরম বেদনাদায়ক।’ 

এ নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার রাশিদা আক্তার বলেন, ‘আজকের মতো দিনে পতাকা উত্তোলন করতে না পারা দুঃখজনক। আমি কমান্ডারের দায়িত্বে থাকলেও পতাকা উত্তোলন করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স রক্ষণাবেক্ষণে যেমন প্রশাসনের দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদেরও দায়িত্ব রয়েছে। শিগগিরই ৪০ দিনের কর্মসূচির লোক দিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে।’ 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনগুলো স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) অধীনে প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। ভবনের সামনেই রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনীয় ম্যুরাল। তিনতলা ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় করা হয়েছে মার্কেট। মূলত মার্কেটের ভাড়া দিয়ে ভবনের প্রাথমিক খরচ জোগান দিতে মার্কেট করা হয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় তলায় রয়েছে অফিস কক্ষ, বিশাল আকৃতির একটি কনফারেন্স রুম। অফিসরুমে রয়েছে উন্নত আসবাবপত্রসহ আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। এটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী উদ্বোধন করেন। সারা বছর ভবনগুলো তালাবদ্ধ থাকে। মহান স্বাধীনতা, বিজয় দিবস ও জাতীয় দিবসে স্বল্প সময়ের জন্য ভবনগুলো খোলা হয়। আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠান। কিন্তু এবার সেটিও হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতায় এক দিনে ১০০ ডলার কমল সোনার দাম

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত