ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের সালন্দর মাদ্রাসাপাড়া মহল্লা থেকে মো. নিবির শেখ (১১) নামের এক শিশু নিখোঁজের দুই দিন পর তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কর্মকর্তারা।
আজ শনিবার ভোরে জেলা শহরের সালন্দর মাদ্রাসা পাড়া মহল্লার নিহত শিশুটির নিজ বাড়ির গলির ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিবির ওই মহল্লার ওমান প্রবাসী আব্দুস সালাম বাবলুর ছেলে। সে সালন্দর কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।
নিহত নিবির শেখের ভাবি হ্যাপি খাতুন জানান, ‘দেবর নিবির ও স্বামী নিরব শেখসহ পরিবারের সবাই বেশির ভাগ সময় বাসায় আড্ডা দেই এবং টিকটক ভিডিও বানাই। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নিবির আমাকে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। নিবিরকে খুঁজে না পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় মাইকিং করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি দিয়ে খোঁজ চাওয়া হয়।’
নিহত নিবির শেখের মা শিল্পী খাতুন আহাজারি করে বলেন, ‘হারানো ছেলেকে পাওয়ার জন্য শুক্রবার রাতে গণককেও ডাকা হয়। জ্বিন ডেকে গণক বলেছিল আমার ছেলেকে পাওয়া যাবে। পাওয়া গেল, তবে লাশ হয়ে বাড়ির পেছনে।’ —এই বলে মূর্ছা যান তিনি।
শিল্পী খাতুনের দাবি, নিবিরকে শত্রুতাবশত অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশকে সব বলছি। এই ঘটনার বিচার চাই।’ তবে কারা কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে—সে সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেনি স্বজন এবং প্রতিবেশীরা।
নিহত নিবিরের বড় ভাই নিরব বলেন, ‘ঈদের পরদিন একই মহল্লার শিপনের ছেলে নুরনবী আলিফ ও বজলুরের ছেলে ফিরোজ মাহমুদ লিখনের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল।’
ওই ঘটনার জেরে নিবিরের মা শিল্পী খাতুন ওই দুই কিশোরের বিরুদ্ধে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ তোলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ। তারা দুজনই ঠাকুরগাঁও টেকনিক্যাল ও কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নুরনবী আলিফের মা বিলকিস বানু কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘নিহত নিবির আমার ছাত্র ছিল। ভালো ছিল সে। তাঁর কাছে আমার ছেলে আলিফ ৩ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। তবে আমার ছেলে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না। নিখোঁজের পর আমার ছেলে নিবিরকে খোঁজাখুঁজি করেছে। আমি চাই প্রকৃত দোষীর শাস্তি।’
পুলিশের জিম্মায় থাকা ফিরোজ মাহমুদ লিখনের মা ফাতেমা খাতুনও নিজের ছেলেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।
নিহত নিবির শেখের প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন পেশায় ট্রাক চালক। তিনি বলেন, ‘আমি শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির কাছে মরিচ খেতে সেচ দিয়েছিলাম। কিন্তু তখন গলিতে কিছু দেখতে পাইনি। রাতে কীভাবে এখানে শিশুটির লাশ এল ভাবতেই পারছি না।’
স্থানীয়রা এ হত্যাকাণ্ডটি রহস্যজনক মনে করছেন। তৈমুর রহমান নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘মাদক ও উচ্ছৃঙ্খল কিশোর-যুবকদের জ্বালায় এলাকার শান্তি উঠে গেছে। গত বছর গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালের একজন সেবিকা কর্মস্থলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীর হামলায় মারা গেলেন।’
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জমিরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার রাতের কোনো এক সময় বাড়ির পেছনের গলিতে শিশুটির লাশ রেখে যায় ঘাতকেরা।’
ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, ‘শিশুটির মরদেহ ফুলে গিয়েছে। হত্যাকাণ্ডটি আজকে হয়নি। ময়নাতদন্তের জন্য শিশু নিবিরের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পরে সঠিক তথ্য জানা যাবে।’
ঠাকুরগাঁও সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাড়ির পাশে শিশুটির লাশ পাওয়া গেছে। আশা করছি, দ্রুতই মৃত্যুর কারণ এবং ঘাতকদের শনাক্ত করতে পারব।’
ঠাকুরগাঁওয়ের সালন্দর মাদ্রাসাপাড়া মহল্লা থেকে মো. নিবির শেখ (১১) নামের এক শিশু নিখোঁজের দুই দিন পর তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কর্মকর্তারা।
আজ শনিবার ভোরে জেলা শহরের সালন্দর মাদ্রাসা পাড়া মহল্লার নিহত শিশুটির নিজ বাড়ির গলির ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিবির ওই মহল্লার ওমান প্রবাসী আব্দুস সালাম বাবলুর ছেলে। সে সালন্দর কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।
নিহত নিবির শেখের ভাবি হ্যাপি খাতুন জানান, ‘দেবর নিবির ও স্বামী নিরব শেখসহ পরিবারের সবাই বেশির ভাগ সময় বাসায় আড্ডা দেই এবং টিকটক ভিডিও বানাই। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নিবির আমাকে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। নিবিরকে খুঁজে না পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় মাইকিং করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি দিয়ে খোঁজ চাওয়া হয়।’
নিহত নিবির শেখের মা শিল্পী খাতুন আহাজারি করে বলেন, ‘হারানো ছেলেকে পাওয়ার জন্য শুক্রবার রাতে গণককেও ডাকা হয়। জ্বিন ডেকে গণক বলেছিল আমার ছেলেকে পাওয়া যাবে। পাওয়া গেল, তবে লাশ হয়ে বাড়ির পেছনে।’ —এই বলে মূর্ছা যান তিনি।
শিল্পী খাতুনের দাবি, নিবিরকে শত্রুতাবশত অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশকে সব বলছি। এই ঘটনার বিচার চাই।’ তবে কারা কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে—সে সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেনি স্বজন এবং প্রতিবেশীরা।
নিহত নিবিরের বড় ভাই নিরব বলেন, ‘ঈদের পরদিন একই মহল্লার শিপনের ছেলে নুরনবী আলিফ ও বজলুরের ছেলে ফিরোজ মাহমুদ লিখনের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল।’
ওই ঘটনার জেরে নিবিরের মা শিল্পী খাতুন ওই দুই কিশোরের বিরুদ্ধে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ তোলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ। তারা দুজনই ঠাকুরগাঁও টেকনিক্যাল ও কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নুরনবী আলিফের মা বিলকিস বানু কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘নিহত নিবির আমার ছাত্র ছিল। ভালো ছিল সে। তাঁর কাছে আমার ছেলে আলিফ ৩ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। তবে আমার ছেলে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না। নিখোঁজের পর আমার ছেলে নিবিরকে খোঁজাখুঁজি করেছে। আমি চাই প্রকৃত দোষীর শাস্তি।’
পুলিশের জিম্মায় থাকা ফিরোজ মাহমুদ লিখনের মা ফাতেমা খাতুনও নিজের ছেলেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।
নিহত নিবির শেখের প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন পেশায় ট্রাক চালক। তিনি বলেন, ‘আমি শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির কাছে মরিচ খেতে সেচ দিয়েছিলাম। কিন্তু তখন গলিতে কিছু দেখতে পাইনি। রাতে কীভাবে এখানে শিশুটির লাশ এল ভাবতেই পারছি না।’
স্থানীয়রা এ হত্যাকাণ্ডটি রহস্যজনক মনে করছেন। তৈমুর রহমান নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘মাদক ও উচ্ছৃঙ্খল কিশোর-যুবকদের জ্বালায় এলাকার শান্তি উঠে গেছে। গত বছর গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালের একজন সেবিকা কর্মস্থলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীর হামলায় মারা গেলেন।’
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জমিরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার রাতের কোনো এক সময় বাড়ির পেছনের গলিতে শিশুটির লাশ রেখে যায় ঘাতকেরা।’
ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, ‘শিশুটির মরদেহ ফুলে গিয়েছে। হত্যাকাণ্ডটি আজকে হয়নি। ময়নাতদন্তের জন্য শিশু নিবিরের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পরে সঠিক তথ্য জানা যাবে।’
ঠাকুরগাঁও সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাড়ির পাশে শিশুটির লাশ পাওয়া গেছে। আশা করছি, দ্রুতই মৃত্যুর কারণ এবং ঘাতকদের শনাক্ত করতে পারব।’
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ইকবাল বাহার এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ’মতিন সরকারের বিরুদ্ধে ডজনখানেক হত্যা মামলা ছাড়াও অস্ত্র, মাদক আইনেও একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন করে একাধিক হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। জেলা ডিবির একটি টিম গোপন সংবাদে
১২ মিনিট আগেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বোরহানউদ্দিন উপজেলা শাখার সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দেউলা ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো: রাকিব ব্যাপারি ও একই উপজেলার টবগী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: তুহিন ফরাজীকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সাংগঠন
১৪ মিনিট আগেশনিবার (২১ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে জহুরপুর বেলপাড়া সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই বিজিবি সদস্যকে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু।
৩০ মিনিট আগেভবন নির্মাণের পর আর তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ভবনগুলো ভেঙে পড়ার মতো ঝুঁকিতে রয়েছে। একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ছাত্রদের আবাসিক হোস্টেলে বড় বড় ফাটল থাকায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় পলেস্তারা খসে পড়ে, কোথাও কোথাও রড বের হয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে