Ajker Patrika

‘চিকিৎসা বন্ধ থুইয়া ধর্মঘট করলে রোগী বাঁচপে কেমন করি’

  • বুধবার ও বৃহস্পতিবারও চলবে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি।
  • দাবি আদায় না হলে রোববার থেকে কলেজ ও হাসপাতাল কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা।
  • ইনডোর-আউটডোরে প্রায় পাঁচ হাজার রোগীর দুর্ভোগ।
শিপুল ইসলাম, রংপুর 
রংপুর মেডিকেল কলেজের সদ্য পদায়ন পাওয়া অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজার রহমানের পদত্যাগ দাবিতে আজ মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকেরা। ফলে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসকের চেম্বার ও টিকিট কাউন্টারে উপচে পড়া ভিড় হয়। দুর্ভোগে পড়ে রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রংপুর মেডিকেল কলেজের সদ্য পদায়ন পাওয়া অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজার রহমানের পদত্যাগ দাবিতে আজ মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকেরা। ফলে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসকের চেম্বার ও টিকিট কাউন্টারে উপচে পড়া ভিড় হয়। দুর্ভোগে পড়ে রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চিকিৎসক দেখাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে মঙ্গলবার ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পৌঁছান কৃষক আয়নাল হোসেন (৪৫)। বহির্বিভাগে টিকিট কেটে চিকিৎসক দেখাবেন। কিন্তু ভোর থেকে সকাল হয়। টিকিট নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসকের চেম্বারে সামনে দাঁড়ান আয়নাল। বেলা বাড়ে, রোগীর ভিড় বাড়ে। কিন্তু চিকিৎসকের দেখা মেলে না। একপর্যায়ে দুপুর ১২টায় হাসপাতালের বারান্দায় বসে পড়েন।

কথা হলে আক্ষেপ করে আয়নাল হোসেন বলেন, ‘জীবন বাঁচার জন্য দেরিতে আসলে সিরিয়াল পাওয়া যায় না, ফেরত যেতে হয়। এ জন্য মেয়েটাক নিয়ে রাতে রওনা দিয়ে ভোরে হাসপাতালে আসছি। সকাল ৯টায় ডাক্টার বসার কথা থাকলেও ১২টা বাজে এখনও ডাক্টার নাই। শুনছি ডাক্তারদের নাকি ধর্মঘট চলছে। চিকিৎসা বন্ধ থুইয়া ধর্মঘট করলে রোগী বাঁচপে কেমন করি।’

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মাথায় ঘা, তাই রমেক হাসপাতালে চিকিৎসক দেখাতে এসেছেন তারাগঞ্জের গণি মিয়া। কিন্তু সকাল ৮টা থেকে অপেক্ষা করার পরও চিকিৎসক দেখাতে পারেনি। ৪ ঘণ্টা অপেক্ষার পর ভিড়ে অসুস্থ স্ত্রী আরও অবনতি হয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি।

গণি মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ রাত থেকে একটু ঘুমাতে পারিনি। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক দেখাব জন্য রাত থেকে অপেক্ষা করছি। এখানে এসে এখন যেটা মনে হচ্ছে, রাতে যে কষ্টটা হইছে দিনে তাঁর থেকে দ্বিগুণ কষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসা বাদ দিয়া আন্দোলন করছে। ডাক্তারা যদি আন্দোলনের জন্য চিকিৎসা বন্ধ রাখে তাহলে আমাদের মতো মানুষ যাবে কোথায়? আন্দোলন, ধর্মঘটের তো আরও অনেক পথ আছে।’

তেঁতুলিয়ার আয়নাল হোসেন ও তারাগঞ্জের গণি মিয়াই নয়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বহির্বিভাগ ও ভর্তি রোগীদের আজ মঙ্গলবার দুর্ভোগে পড়তে হয়। রংপুর মেডিকেল কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজার রহমানের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী পূর্ব ঘোষিত দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করলে এমন দুর্ভোগে পড়েন তাঁরা।

সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার কর্মবিরতির ফলে এ সময় চিকিৎসকদের হাসপাতালের চেম্বারে বসতে দেখা যায়নি। এতে দুর্ভোগে পড়ে বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা গ্রাম থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা। বাড়তে থাকে রোগীর ভিড়।

হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসকের চেম্বার ও টিকিট কাউন্টারে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসকের চেম্বার ও টিকিট কাউন্টারে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীর কলেজ ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষ মাহফুজার রহমানের পদত্যাগ দাবিতে সপ্তম দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় বুধবারে দেওয়া কমপ্লিট শাটডাউন প্রত্যাহার করেন। অধ্যক্ষকে অপসারণ করা না হলে আগামী রোববার থেকে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দেন চিকিৎসকেরা। তবে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

রমেকের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, কর্মচারী, ছাত্র-জনতার মুখপাত্র শরিফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘অধ্যক্ষ মাহফুজার রহমানের অপসারণের দাবিতে আমরা যারা আন্দোলনের আছি, সবাই চিকিৎসা বান্ধব, রোগী বান্ধব। রোগীদের স্বার্থ বিবেচনা করে আমাদের শাটডাউন কর্মসূচিকে আমরা পিছিয়ে নিচ্ছি। আমরা আশা করব প্রশাসনের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, আমাদের দাবি মেনে নিয়ে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের দোসর মাহফুজারকে অধ্যক্ষ পদ থেকে থেকে প্রত্যাহার করে এই ক্যাম্পাসে শান্তি বজায় রাখার জন্য আমাদেরকে সাহায্য করবেন। তা না হলে বুধবার ও বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি চলবে, রোববার কমপ্লিট শাটডাউন হবে।’

হাসপাতালের বহির্বিভাগে টিকিট কাউন্টারে রোগীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা ক্যাটাগরি: সারা দেশ, রংপুর
হাসপাতালের বহির্বিভাগে টিকিট কাউন্টারে রোগীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা ক্যাটাগরি: সারা দেশ, রংপুর

রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এক হাজার শয্যার হাসপাতালটির ৪২টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। এ ছাড়া বহির্বিভাগে দুই হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। কর্মবিরতি চলায় এসব রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়ছে।

মেডিসিন ওয়ার্ডে বারান্দায় কথা হয় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে লাল চান মিয়ার সঙ্গে। অসুস্থ বাবাকে নিয়ে হাসপাতাল ছাড়ছেন তিনি। আক্ষেপ করে লাল চান বলেন, ‘সকাল থেকে কোনো ডাক্তার দেখে নাই। বাবার অবস্থা খুবই খারাপ, এই বুঝি জীবন যায়। ওই জন্য ক্লিনিক নিয়া যাওছি। সরকারি হাসপাতালে থাকলে বাবার জীবন বাঁচির নেয়।’

তবে সকাল ১০টার পর থেকেই চিকিৎসকেরা রোগী দেখছেন দাবি করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আ ম আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেন। তাদের কর্মসূচি চলায় সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। এ সংকট খুব দ্রুত কেটে যাবে। সকাল ১০টার পর থেকেই চিকিৎসকেরা রোগী দেখছেন।

২৯ অক্টোবর অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান রংপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মাহফুজার রহমান। এরপর দিন থেকেই তাঁকে অব্যাহতির দাবিতে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, কর্মচারী ও ছাত্র-জনতা। অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে অপসারণের ব্যানার টাঙিয়ে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পর্যটকের বাড়তি চাপে ঠাঁই নেই হোটেল-মোটেলে

  • তিন দিনের ছুটিতে হোটেল-মোটেলের প্রায় সব কক্ষ বুকড
  • ২০২৫-কে বিদায় ও ২০২৬-কে স্বাগত জানাতে পর্যটকের চাপ আরও বাড়বে
  • বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কক্সবাজারে যানজট
কক্সবাজার প্রতিনিধি
টানা তিন দিনের ছুটির কারণে কক্সবাজারে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। গতকাল দুপুরে সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে। ছবি: আজকের পত্রিকা
টানা তিন দিনের ছুটির কারণে কক্সবাজারে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। গতকাল দুপুরে সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।

পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।

হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।

সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।

কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।

কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় আটক ৭

সিলেট প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।

মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় মা হত্যায় ছেলে গ্রেপ্তার

খুলনা প্রতিনিধি
মো. রিয়াদ খান।  ছবি: সংগৃহীত
মো. রিয়াদ খান। ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র‌্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।

র‌্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।

দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।

৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে তিন চোখ ও দুই মুখের বাছুরের জন্ম, এলাকায় চাঞ্চল্য

নরসিংদী প্রতিনিধি
পুবেরগাঁও গ্রামের একটি খামারে বাছুরটির জন্ম। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুবেরগাঁও গ্রামের একটি খামারে বাছুরটির জন্ম। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।

খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।

তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।

ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’

আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’

এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত