দিনাজপুর প্রতিনিধি
চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য প্রতি শিক্ষার্থীর কাছে দাবিকৃত টাকার সমপরিমাণ না দেওয়ায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ফেল করানোর অভিযোগ উঠেছে হল সুপার ও কেন্দ্রসচিবের বিরুদ্ধে। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার পূর্ব সরঞ্জা দাখিল মাদ্রাসা ও চামদুয়ারি দাখিল মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ফেল করানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত হল সুপার ও কেন্দ্রসচিব শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রতি ৮০০ টাকা দাবি করেছিলেন। কিন্তু কয়েকজন শিক্ষার্থীর অর্থসংস্থান না হওয়ায় তাঁরা ৪০০ টাকা প্রদান করেন। ৪০০ টাকায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাদের ফেল নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে ওই শিক্ষার্থীরা অন্য বিষয়গুলোতে আশাব্যঞ্জক নম্বর পেলেও পদার্থবিজ্ঞানে ফেল করেছে।
সোমবার ৩১ আগস্ট লিখিতভাবে ওই হল সুপার ও কেন্দ্রসচিবের বিরুদ্ধে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর এবং মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর অভিযোগ করে পরীক্ষার ফল পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন দুটি মাদ্রাসার সুপার।
লিখিত আবেদনে পূর্ব সরঞ্জা দাখিল মাদ্রাসার সুপার তমিজুল ইসলাম জানান, এবার দাখিল পরীক্ষায় কাহারোল বাজার ফাজিল মাদ্রাসায় তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার কাদেরী কেন্দ্রসচিব এবং হাটিয়ারী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার প্রধান লোকমান আলী হল সুপারের দায়িত্বে ছিলেন। পরীক্ষার্থীরা ব্যবহারিক পরীক্ষায় তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ইচ্ছাকৃতভাবে চারজন শিক্ষার্থীকে ফেল নম্বর প্রদান করা হয়েছে। একইভাবে চামদুয়ারী দাখিল মাদ্রাসার সুপারও পাঁচজন পরীক্ষার্থীকে ফেল করার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সুবিচারের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
অভিযোগের বিষয়ে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, দুই মাদ্রাসাপ্রধান বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তাঁদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ হয়তো দিয়েছেন। এখনো দেখা হয়নি। অভিযোগ দেখে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই এসএসসি ও দাখিল সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এদিকে ওই দুই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করার বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে সমালোচনা। জাকির হোসেন নামের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেসবুকে এক শিক্ষার্থীর নম্বরপত্রের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, পূর্ব সরঞ্জা ও চামদুয়ারী দাখিল মাদ্রাসার ৯ জন শিক্ষার্থী সব বিষয়ে ভালো ফল করলেও পদার্থবিজ্ঞান ব্যবহারিক পরীক্ষায় ২৫ নম্বরের মধ্যে ৬ নম্বর প্রদান করে অকৃতকার্য করা হয়েছে।
জাকির হোসেনের পোস্ট করা ওই নম্বরপত্রে দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী কোরআন মাজিদ, হাদিস শরিফ, আরবি (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র), আকাইদ ও ফিকাহ, গণিত, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত বিষয়ে ‘এ প্লাস’ পেয়েছেন। ইংরেজি বিষয়ে পেয়েছেন ‘এ’ গ্রেড, আর বাংলায় পেয়েছেন ‘এ মাইনাস’। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ফেল (এফ গ্রেড)।
কাহারোল বাজার দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষাকেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব আব্দুস সাত্তার কাদেরী বলেন, ‘যাঁরা এ ধরনের কাজ করেছেন, তাঁরা ঠিক করেননি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ঠিক নয়। ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর তো আমি দিইনি। এর জন্য আলাদা পরীক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁরা কত নম্বর দিয়েছেন, আমি জানি না। আমি তাঁদের বোর্ডের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছি। প্রয়োজনে পরীক্ষার খাতসহ পরীক্ষকদের নিয়ে আমি বোর্ডে যাব।’
চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য প্রতি শিক্ষার্থীর কাছে দাবিকৃত টাকার সমপরিমাণ না দেওয়ায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ফেল করানোর অভিযোগ উঠেছে হল সুপার ও কেন্দ্রসচিবের বিরুদ্ধে। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার পূর্ব সরঞ্জা দাখিল মাদ্রাসা ও চামদুয়ারি দাখিল মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ফেল করানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত হল সুপার ও কেন্দ্রসচিব শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রতি ৮০০ টাকা দাবি করেছিলেন। কিন্তু কয়েকজন শিক্ষার্থীর অর্থসংস্থান না হওয়ায় তাঁরা ৪০০ টাকা প্রদান করেন। ৪০০ টাকায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাদের ফেল নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে ওই শিক্ষার্থীরা অন্য বিষয়গুলোতে আশাব্যঞ্জক নম্বর পেলেও পদার্থবিজ্ঞানে ফেল করেছে।
সোমবার ৩১ আগস্ট লিখিতভাবে ওই হল সুপার ও কেন্দ্রসচিবের বিরুদ্ধে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর এবং মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর অভিযোগ করে পরীক্ষার ফল পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন দুটি মাদ্রাসার সুপার।
লিখিত আবেদনে পূর্ব সরঞ্জা দাখিল মাদ্রাসার সুপার তমিজুল ইসলাম জানান, এবার দাখিল পরীক্ষায় কাহারোল বাজার ফাজিল মাদ্রাসায় তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার কাদেরী কেন্দ্রসচিব এবং হাটিয়ারী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার প্রধান লোকমান আলী হল সুপারের দায়িত্বে ছিলেন। পরীক্ষার্থীরা ব্যবহারিক পরীক্ষায় তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ইচ্ছাকৃতভাবে চারজন শিক্ষার্থীকে ফেল নম্বর প্রদান করা হয়েছে। একইভাবে চামদুয়ারী দাখিল মাদ্রাসার সুপারও পাঁচজন পরীক্ষার্থীকে ফেল করার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সুবিচারের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
অভিযোগের বিষয়ে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, দুই মাদ্রাসাপ্রধান বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তাঁদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ হয়তো দিয়েছেন। এখনো দেখা হয়নি। অভিযোগ দেখে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই এসএসসি ও দাখিল সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এদিকে ওই দুই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করার বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে সমালোচনা। জাকির হোসেন নামের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেসবুকে এক শিক্ষার্থীর নম্বরপত্রের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, পূর্ব সরঞ্জা ও চামদুয়ারী দাখিল মাদ্রাসার ৯ জন শিক্ষার্থী সব বিষয়ে ভালো ফল করলেও পদার্থবিজ্ঞান ব্যবহারিক পরীক্ষায় ২৫ নম্বরের মধ্যে ৬ নম্বর প্রদান করে অকৃতকার্য করা হয়েছে।
জাকির হোসেনের পোস্ট করা ওই নম্বরপত্রে দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী কোরআন মাজিদ, হাদিস শরিফ, আরবি (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র), আকাইদ ও ফিকাহ, গণিত, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত বিষয়ে ‘এ প্লাস’ পেয়েছেন। ইংরেজি বিষয়ে পেয়েছেন ‘এ’ গ্রেড, আর বাংলায় পেয়েছেন ‘এ মাইনাস’। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ফেল (এফ গ্রেড)।
কাহারোল বাজার দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষাকেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব আব্দুস সাত্তার কাদেরী বলেন, ‘যাঁরা এ ধরনের কাজ করেছেন, তাঁরা ঠিক করেননি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ঠিক নয়। ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর তো আমি দিইনি। এর জন্য আলাদা পরীক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁরা কত নম্বর দিয়েছেন, আমি জানি না। আমি তাঁদের বোর্ডের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছি। প্রয়োজনে পরীক্ষার খাতসহ পরীক্ষকদের নিয়ে আমি বোর্ডে যাব।’
মুন্সিগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক দুর্ঘটনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে। জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া থেকে লৌহজং উপজেলার মাওয়া পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার পথে একের পর এক দুর্ঘটনায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। গত এক মাস ১০ দিনে এই এক্সপ্রেসওয়েতে ২৩টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
৪২ মিনিট আগেমাদারীপুর শহরের বাসিন্দা আমেনা বেগম। বয়স প্রায় ৭০ বছর। বয়সের ভারে শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ-ব্যাধি। এসেছে ক্লান্তি ভাব। কিন্তু এ বয়সেও বিশ্রাম নেই এই মায়ের। প্রতিবন্ধী মেয়ের সেবা করে দিনরাত পার করছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেবরগুনার তালতলী উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমি দখল করে এক ব্যক্তি বিরুদ্ধে মাছের ঘের করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রশাসন কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করে রাতের আঁধারে মাটি কাটা হচ্ছে। নলবুনিয়ার শুভসন্ধ্যা সৈকত এলাকায় এই জমি দখল করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতুর কাছে যাত্রাবিরতি করা শত শত বালুবহনকারী জাহাজ থেকে প্রতিদিন চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। নদীর তীরে যাত্রাবিরতি করার সুযোগ করে দেওয়ার নামে প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই এ চাঁদাবাজি শুরু হয়। একেকটি বালুবহনকারী জাহাজ থেকে ২০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তুলছে স্থানীয় একটি চক্র।
১ ঘণ্টা আগে