Ajker Patrika

মাদ্রাসাটি খোলারও কেউ নেই 

প্রতিনিধি, মান্দা (নওগাঁ) 
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬: ২৯
মাদ্রাসাটি খোলারও কেউ নেই 

গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও, নওগাঁর মান্দায় এলেঙ্গা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার দরজা খোলেনি। অফিস কক্ষের সামনে বাঁধা রয়েছে গরু। অপরিচ্ছন্ন মাদ্রাসার মাঠসহ চারপাশ। শ্রেণিকক্ষে নেই বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল। আসেননি কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক এমনকি কর্মচারী। তোলা হয়নি জাতীয় পতাকাও। জানা যায়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নন এমপিওভুক্ত মাদ্রাসাটি থেকে বিদায় নিয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ কর্মচারীরা। 

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, মাদ্রাসাটির বাইরে রঙের কাজ করছেন কয়েকজন শ্রমিক। তারা বলেন, গত রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দিন থেকে তাঁরা এখানে রঙের কাজ করছেন। এ কয়দিনে শিক্ষার্থী আসেনি। আসেনি কোনো শিক্ষক। মাদ্রাসার প্রধানকেও আসতে দেখেননি তারা। শুধুমাত্র একদিন মাদ্রাসা সভাপতির পরিচয়ে একজন ব্যক্তি তাদের খোঁজ নিতে এসেছিলেন। 

গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, শ্রেণি কক্ষে আর বেঞ্চ, চেয়ার ও টেবিল কিছুই নেই। ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক আগেই প্রতিষ্ঠান থেকে অন্যত্র চলে গেছে। দীর্ঘদিনেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এরই মধ্যে অনেক শিক্ষক পেশা বদল করেছেন। 

স্থানীয় ইউনুস আলী বলেন, গত রোববার থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই মাদ্রাসাটি খোলা হয়নি। মাদ্রাসা সুপার হাকছেদ আলী আর এদিকে ফিরেও তাকান না। দীর্ঘদিন পাঠদান না হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেছে। 

গ্রামের আরেক বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে। এখানে আর কোন শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী নেই। এ কারণে মাদ্রাসার মাঠসহ এর আশপাশের এলাকা নোংরা হয়ে আছে। 

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মাদ্রাসার সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, 'মাদ্রাসা সংস্কারসহ রঙের কাজ চলছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়নি।' 

মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট হাকছেদ আলী নিজের প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জুড়ে দিলেন। তিনি বলেন, 'নন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান কোনোটাই ভালোভাবে চলে না। আর করোনার সময় আরও কেমন অবস্থা হয়েছে সেটা তো আপনারাও জানেন। আমার মাদ্রাসার একই অবস্থা।' 

এ নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ আলম শেখ বলেন, 'চলতি শিক্ষাবছরে এলেঙ্গা মাদ্রাসার সুপার ৪ শ্রেণির জন্য ৮০ সেট বইয়ের আবেদন করেছিলেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই প্রতিষ্ঠানে চাহিদা অনুযায়ী বইও সরবরাহ করা হয়েছে। শিক্ষার্থী না থাকলে সরবরাহকৃত বই ফেরত নেওয়া হবে।' 

তিনি আরও বলেন, 'সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কেন মাদ্রাসা খোলা হয়নি তার ব্যাখ্যা চেয়ে সুপারকে পত্র দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মৌচাকে গাড়িতে লাশ: ২৫ লাখ টাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলে জাকিরকে শ্রীলঙ্কায় নিয়েছিল দালাল

যেভাবে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছিল, স্বীকারোক্তিতে জানালেন মেজর সাদিকের স্ত্রী জাফরিন

পুলিশের এডিসিকে ছুরি মেরে পালিয়ে গেল ছিনতাইকারী

টেলিটক এখন গলার কাঁটা পর্যায়ে চলে এসেছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

সিন্ধু পানিবণ্টন নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় পাকিস্তানের বড় জয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত