Ajker Patrika

একই স্থানে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১১: ০৩
একই স্থানে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা

বগুড়ার নন্দীগ্রামে একই স্থানে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, আজ রবিবার উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও ইফতার মাহফিলের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ মাঠে। সেখানে আওয়ামী লীগের ২৩ ও ২৫ তারিখে ইফতার মাহফিল থাকায় প্রশাসনের সমঝোতায় স্থান পরিবর্তন করে কর্মসূচি নন্দীগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় চত্বরে দেওয়া হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিম বাদশা, উদ্বোধক হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ মোশারফ হোসেন ও প্রধান বক্তা হিসেবে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এ কে এম সাইফুল ইসলামের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। 

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের দাবি, ‘আমরা জানি বিএনপির যে কর্মসূচি আছে তা হবে নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ মাঠে। জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিল পূর্বঘোষিত স্থান নন্দীগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় চত্বর। দলীয় এই আয়োজনের জন্য অনুমতি চেয়ে নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত আবেদন করেছেন তাঁরা। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুক আহম্মেদ উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়। 

এ বিষয়ে উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান মাফু বলেন, ‘বিএনপি তাদের কর্মসূচির আমন্ত্রণপত্রে মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ মাঠ উল্লেখ করে প্রচার করেছে। অথচ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় চত্বরে জাতীয় পার্টির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি আছে জেনেও একই দিনে একই সময়ে কর্মসূচি আহ্বান করেছে। জাতীয় পার্টির কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে বিএনপি।’ 

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলাউদ্দিন সরকার বলেন, ‘আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ মাঠে। সেখানে অন্য কর্মসূচির কথা বিবেচনা করে প্রশাসন আমাদের কর্মসূচি নন্দীগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় চত্বরে করার অনুমতি দিয়েছে। জাতীয় পার্টির কোনো কর্মসূচি সেখানে ছিল না।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিফা নুসরাত বলেন, ‘এ ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতির বিষয়টি জেলা প্রশাসক স্যারের হাতে। তবে তারা আমার কাছে এলে আমি শান্তি-শৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে বিএনপির কর্মসূচি পালনের জন্য নন্দীগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কথা বলেছি। জাতীয় পার্টির কর্মসূচির বিষয়ে আমার জানা ছিল না।’ 

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে। অনুমতির বিষয়টি আমার না। তবে বিএনপির কর্মসূচির বিষয়ে আমি জানি। জাতীয় পার্টির কর্মসূচির বিষয়ে পরে জেনেছি। রমজান মাস শেষের দিকে আর সামনে ঈদ, তাই সবার সংযমী হয়ে চলা উচিত। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত