Ajker Patrika

রাকসু নির্বাচন: শহীদ শামসুজ্জোহা হলেও শিবির-ঐক্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও রাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ১৭
জাহিদ, আম্মার ও সালমান। ছবি: সংগৃহীত
জাহিদ, আম্মার ও সালমান। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে শহীদ শামসুজ্জোহা হলেও জয় পেয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, একই প্যানেলের এজিএস প্রার্থী সালমান সাব্বির এবং আধিপাত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার। আগে ঘোষণা করা অন্য ১০ হলের মতো এখানেও পাত্তা পাননি ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের প্রার্থীরা।

আজ শুক্রবার ভোর ৪টায় ঘোষণা করা শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ফলাফলে দেখা যায়, ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ৬৫০ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাত্রদলের প্যানেলের শেখ নূর উদ্দিন আবির পেয়েছেন ১৭০ ভোট। এ পর্যন্ত জাহিদ মোট ৭ হাজার ২৬৫ ভোট ও আবির ১ হাজার ৯৩৫ ভোট পেয়েছেন।

এজিএস পদে এই হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ৬০০ ভোট। আর ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলের ফাহিম রেজা পেয়েছেন ২৮৩ ভোট। জিএস পদে ১১ হলে এ পর্যন্ত আম্মার ৬ হাজার ৯০৯ ও ফাহিম রেজা ৩ হাজার ৪৯০ ভোট পেয়েছেন।

কেন্দ্রীয় সংসদের এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী সালমান সাব্বির এই হলে পেয়েছেন ৩৮৪ ভোট। আর ছাত্রদলের ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৩১৭ ভোট। এ পর্যন্ত ১১ হলের ফলাফলে এষা পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮৪ ভোট। আর সালমান পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৭৩ ভোট।

রাবিতে মোট হলের সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে ছেলেদের ছয়টি ও মেয়েদের ১১টি হল। এখনো ছেলেদের ছয়টি হলের ফল ঘোষণা বাকি। বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ওএমআর মেশিনে ব্যালট গণনার পর ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৭ ঘণ্টা পর সিইপিজেডের কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানার ভয়াবহ আগুন ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি আগুন নিভতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টায় এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানায় বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে দক্ষিণ হালিশহরের ৯ তলা ভবনটিতে আগুন লাগে। সেটি ধীরে ধীরে নিচের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট কাজ করছে। পরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। পরে আরও চারটি ইউনিট যোগ দেয় বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের উপপরিচালক জসীম উদ্দীন বলেন, ‘ভবনে দুটি কারখানা ছিল। একটি তোয়ালে তৈরির কারখানা। অপরটিতে মেডিকেলের পোশাকসহ ইকুইপমেন্ট তৈরি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কারখানায় কেমিক্যাল থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি।’

অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ আলী ফখরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো ভবনের সব কটি ফ্লোর তাঁদের। ওপরের দিকের ফ্লোরে লাগা আগুন নিচের দিকেও ছড়িয়ে পড়ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকার পথে মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এ জন্য তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে তাঁর পূর্বনির্ধারিত দুটি সাংগঠনিক কর্মসূচি বাতিল করেছেন। আজ শুক্রবার সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে শহরের পৈতৃক বাড়ি কালীবাড়ি তাঁতিপাড়া থেকে তিনি সৈয়দপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখান থেকে বিমানযোগে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্যই বিএনপির মহাসচিব ঠাকুরগাঁওয়ের পূর্বঘোষিত কয়েকটি প্রোগ্রাম বাতিল করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

বিএনপির কর্মসূচির বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ জানান, বিএনপির মহাসচিবের আজ দুটি সাংগঠনিক সম্মেলন ছিল। এর মধ্যে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময়ও ছিল। জুলাই সনদের জন্য তিনি এসব কর্মসূচি বাতিল করে দ্রুত ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাকসুতে ভিপি-এজিএসে শিবির, জিএস পদে আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের জয়

রাবি প্রতিনিধি  
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ১৭
জাহিদ, আম্মার ও সালমান। ছবি: সংগৃহীত
জাহিদ, আম্মার ও সালমান। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সহসভাপতি (ভিপি) ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও এজিএস প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির। আর জিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক।

শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সব কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে এই ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলে মোট ভোট পড়েছে ২০ হাজার ১৮৭। এর মধ্যে শিবির-সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৫৮৭ ভোট। অন্যদিকে ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। তিনি ভোট পেয়েছে ১১ হাজার ৪৩৭।

সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে শিবির-সমর্থিত প্যানেলের এস এম সালমান সাব্বির বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭১ ভোট। অন্যদিকে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের এজিএস প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৪১ ভোট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাউফলে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ঘিরে বিতর্ক

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ৪১
বাউফলে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ঘিরে বিতর্ক

পটুয়াখালীর বাউফলে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নবগঠিত কমিটিতে আওয়ামী নেতা পরিবারের সদস্য ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের সদস্য করে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে ঘিরে ফের আলোচনায় এসেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম।

দুদকের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় থেকে গত ১১ সেপ্টেম্বর নতুন কমিটির বিষয়ে একটি চিঠি জারি করা হয়। গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) চিঠিটি দুদকের পটুয়াখালী জেলা সমন্বিত কার্যালয় থেকে বাউফল উপজেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন কমিটির তালিকা ছড়িয়ে পড়লে উপজেলায় আলোচনা-সমালোচনা হয়।

নবগঠিত ৯ সদস্যের কমিটিতে সদস্য হয়েছেন বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম, যিনি এর আগে শিক্ষার্থীদের রোদে দাঁড় করিয়ে ইউএনও ও তাঁর স্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ায় সমালোচিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া নবগঠিত কমিটিতে এমন ব্যক্তিও আছেন, যিনি আগে সদস্যপদ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এমনকি দুজন সদস্যের পরিচয়ও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁদের নামের পাশে দেওয়া ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর ভুল ছিল।

দুদক পটুয়াখালী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক তানভির আহমেদ বলেন, ‘ইউএনওর পাঠানো তালিকা অনুযায়ী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি যাচাই করে আগামী রোববার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে ইউএনও আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সভাপতি এ এইচ এম শহিদুল হককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমি প্রজাতন্ত্রের এমন কর্মচারী, যে মালিককেও শাস্তি দিতে পারি।’ সেই ঘটনার পর আবারও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নতুন তালিকা ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ইউএনও আমিনুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

নবগঠিত কমিটির সহসভাপতি ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘আমাকে সভাপতি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছি। এখন সহসভাপতি করা হয়েছে, কিন্তু আমি এই কমিটিতে থাকতে আগ্রহী নই।’

কমিটির সভাপতি ও ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইনায়েত হোসেন বলেন, ‘কমিটি গঠনের আগে সদস্যদের বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আজই প্রথম চিঠি পেয়ে বিষয়টি জেনেছি। পরিচিতি সভায় এসব বিষয় তুলে ধরা হবে।’

জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। তবে দুদক ও ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নবগঠিত কমিটির অন্য দুই সদস্য নারগিস আক্তার ও আসমা বেগমের ঠিকানা ও ফোন নম্বর যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের চেনেন না। তাঁদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত