রাব্বিউল হাসান, কালাই (জয়পুরহাট)
ভোজ্যতেলের ক্রমবর্ধমান দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গম থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের দাম। তিন দিনের ব্যবধানে আটা-ময়দা এক লাফে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। এতে সংসার চালাতে বেসামাল হয়ে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা।
কালাই উপজেলার খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই গম থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের দাম এক লাফে বেড়েছে ১৫ টাকা। কেবল তাই নয়, তেলের বাজারও চড়া। পাইকারি তেলের দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারেও তাঁর প্রভাব পড়ছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারত গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর তিন দিন আগে প্রতি কেজি আটা ৩৫ টাকা, ময়দা ৪৫ টাকা, সুজি ৫০ টাকা, ভুসি ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অথচ বর্তমানে প্রতি কেজি আটা ৫০ টাকা, ময়দা ৬০ টাকা, সুজি ৬৫ টাকা ও ভুসি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, দিন দিন বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। এই অবস্থায় সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠেছে তাঁদের। সরকারি দামে তেল শুধু পত্রিকা, টেলিভিশনে দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে সেই হিসাব মেলে না। অন্যদিকে আটা, ময়দা, সুজি, ভুসিতে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। কারণ প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও আয় বাড়ছে না।
অন্যদিকে, ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গত ৭ মে শুক্রবার থেকে ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, বোতলজাত তেল ১৯৮ টাকা এবং পাম সুপার ১৭২ টাকায় বিক্রি হবে মর্মে জানিয়েছেন। অথচ উপজেলার বাজারগুলোতে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ২০০ টাকা, প্রতি কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাম ওয়েল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৯০ টাকা এবং কেজি ২১০ টাকা। এই সপ্তাহে কিছুটা বোতলজাত তেলের সরবরাহ থাকায় প্রতি লিটার বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। সরিষার তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।
উপজেলার তালখুর গ্রামের কালাই পৌর বাজারে ভোজ্যতেল কিনতে আসা হাবিবুল হাসান (৩৫) বলেন, ‘আয় বাড়েনি কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। যা রোজগার করি তা দিয়ে কোনোভাবে সংসার চলছিল। বর্তমানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠেছে। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।’
কালাই পূর্ব পাড়ার অটো ভ্যানচালক আজাহার প্রধান (৫৫)। পরিবারে ৫ জন সদস্য। তাঁর আয়েই চলে সংসার। তিনি বলেন, ‘সারা দিনে কামাই করি ২০০ / ৩০০ টাকা। যা কামাই করি চাল, তেল কিনতেই শেষ। বাজার করবার আসলে দেখি সব জিনিসের দাম বেশি। সব জিনিসের দাম বাড়লেও হামাগেরে ভাড়া বাড়ে না। এখন ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকায় কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ইঙ্কা করে দাম বাড়লে না খেয়ে মরা লাইগবে।’
উপজেলার মেসার্স নাবহান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মশিউর রহমান রুবেল বলেন, ‘ভোজ্যতেল কোম্পানি প্রতিনিধিগণ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বোতলজাত তেল সরবরাহ করছেন। প্রতি কার্টন বোতলজাত তেলের সঙ্গে খুচরা ব্যবসায়ীদের ১ কেজি প্যাকেটজাত মসলা অথবা প্যাকেটজাত আটার বস্তা নিতে হচ্ছে। এতে আমরা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। পাইকারি বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বেশি দাম ধরায় খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজার তদারকি অব্যাহত রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি নেওয়া হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জয়পুরহাট জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজার তদারকি অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে জয়পুরহাটে দুই দোকানিকে খোলা সয়াবিন তেল মজুত রাখায় ৪৩ হাজার লিটার তেল জব্দ এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোজ্যতেল ক্রয়ের মূল্যের সঙ্গে বিক্রয় মূল্য অসামঞ্জস্য হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভোজ্যতেলের ক্রমবর্ধমান দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গম থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের দাম। তিন দিনের ব্যবধানে আটা-ময়দা এক লাফে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। এতে সংসার চালাতে বেসামাল হয়ে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা।
কালাই উপজেলার খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই গম থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের দাম এক লাফে বেড়েছে ১৫ টাকা। কেবল তাই নয়, তেলের বাজারও চড়া। পাইকারি তেলের দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারেও তাঁর প্রভাব পড়ছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারত গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর তিন দিন আগে প্রতি কেজি আটা ৩৫ টাকা, ময়দা ৪৫ টাকা, সুজি ৫০ টাকা, ভুসি ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অথচ বর্তমানে প্রতি কেজি আটা ৫০ টাকা, ময়দা ৬০ টাকা, সুজি ৬৫ টাকা ও ভুসি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, দিন দিন বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। এই অবস্থায় সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠেছে তাঁদের। সরকারি দামে তেল শুধু পত্রিকা, টেলিভিশনে দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে সেই হিসাব মেলে না। অন্যদিকে আটা, ময়দা, সুজি, ভুসিতে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। কারণ প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও আয় বাড়ছে না।
অন্যদিকে, ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গত ৭ মে শুক্রবার থেকে ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, বোতলজাত তেল ১৯৮ টাকা এবং পাম সুপার ১৭২ টাকায় বিক্রি হবে মর্মে জানিয়েছেন। অথচ উপজেলার বাজারগুলোতে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ২০০ টাকা, প্রতি কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাম ওয়েল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৯০ টাকা এবং কেজি ২১০ টাকা। এই সপ্তাহে কিছুটা বোতলজাত তেলের সরবরাহ থাকায় প্রতি লিটার বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। সরিষার তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।
উপজেলার তালখুর গ্রামের কালাই পৌর বাজারে ভোজ্যতেল কিনতে আসা হাবিবুল হাসান (৩৫) বলেন, ‘আয় বাড়েনি কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। যা রোজগার করি তা দিয়ে কোনোভাবে সংসার চলছিল। বর্তমানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠেছে। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।’
কালাই পূর্ব পাড়ার অটো ভ্যানচালক আজাহার প্রধান (৫৫)। পরিবারে ৫ জন সদস্য। তাঁর আয়েই চলে সংসার। তিনি বলেন, ‘সারা দিনে কামাই করি ২০০ / ৩০০ টাকা। যা কামাই করি চাল, তেল কিনতেই শেষ। বাজার করবার আসলে দেখি সব জিনিসের দাম বেশি। সব জিনিসের দাম বাড়লেও হামাগেরে ভাড়া বাড়ে না। এখন ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকায় কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ইঙ্কা করে দাম বাড়লে না খেয়ে মরা লাইগবে।’
উপজেলার মেসার্স নাবহান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মশিউর রহমান রুবেল বলেন, ‘ভোজ্যতেল কোম্পানি প্রতিনিধিগণ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বোতলজাত তেল সরবরাহ করছেন। প্রতি কার্টন বোতলজাত তেলের সঙ্গে খুচরা ব্যবসায়ীদের ১ কেজি প্যাকেটজাত মসলা অথবা প্যাকেটজাত আটার বস্তা নিতে হচ্ছে। এতে আমরা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। পাইকারি বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বেশি দাম ধরায় খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজার তদারকি অব্যাহত রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি নেওয়া হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জয়পুরহাট জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজার তদারকি অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে জয়পুরহাটে দুই দোকানিকে খোলা সয়াবিন তেল মজুত রাখায় ৪৩ হাজার লিটার তেল জব্দ এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোজ্যতেল ক্রয়ের মূল্যের সঙ্গে বিক্রয় মূল্য অসামঞ্জস্য হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরিশাল জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতারা পদ হারানোয় জুনিয়র নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বরিশাল প্রেসক্লাবে পৃথকভাবে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী। দলের কেন্দ্রীয়...
৫ মিনিট আগেআগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশ পেশাদারি ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এ নির্বাচনকে দেশে-বিদেশে একটি দৃষ্টান্তে পরিণত করার আশা ব্যক্ত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
৯ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে পুকুর থেকে দেড় বছর বয়সী শিশু আল মুনতাসিরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের ছোট পলাশবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৩১ মিনিট আগেগাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে গাজীপুর প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সভা হয়।
১ ঘণ্টা আগে