বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে চুক্তির সেই টাকা দেননি। এই হত্যাকাণ্ডে সুমন ও মাবিয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া আরেক সহযোগী মোসলেম উদ্দিনের (২৮) আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানা গেছে।
জবানবন্দিতে মোসলেম উল্লেখ করেন, সুমন তাঁর শৈশবের বন্ধু এবং তাঁরা একসঙ্গে মাদক সেবন করতেন। দুজনের বাড়ি দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালুচ পশ্চিমপাড়া গ্রামে।
জবানবন্দির তথ্য অনুযায়ী, মাবিয়া স্থানীয় অটোভ্যানচালক সুমনকে চার লাখ টাকায় সালমাকে হত্যার দায়িত্ব দেন। সুমন ও তাঁর বন্ধু মোসলেম মাবিয়ার পরিকল্পনায় ১০ নভেম্বর সালমার বাসায় যান। সেখানে রান্নাঘরে কাজ করার সময় সালমাকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যার পর লাশ একটি ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন তাঁরা। এ সময় মাবিয়া দুজনকে জানান, আলমারিতে ছয়–সাত লাখ টাকা আছে। কুড়াল দিয়ে আলমারি ভাঙার চেষ্টা করলে বিকট শব্দ হওয়ায় তা আর ভাঙেননি তাঁরা।
একপর্যায়ে দেয়ালে রাউটার দেখে মোসলেম মনে করেন, এটি সিসি ক্যামেরা। হত্যার ঘটনা সেখানে ধরা পড়েছে। এই ভয়ে রাউটার খুলে নিয়ে তিনজনে চারতলায় মাবিয়ার বাসায় যান। সেখান থেকে রাউটার নিয়ে সুমন এবং মোবাইল ফোন নিয়ে মোসলেম ভ্যানে তালুচ বাজারে চলে যান। ঘটনার পরদিন মোসলেম সালমার বাটন ফোন ও স্মার্টফোনটি ব্যবহার শুরু করেন। ১৪ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তালুচ বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
মোসলেম জবানবন্দিতে আরও বলেন, ‘মাবিয়া সালমাকে হত্যার জন্য সুমনকে চার লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু পরে সেই টাকা আর দেয়নি।’
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর সালমা খুনের ঘটনায় সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রিমান্ডে থাকাকালে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় মোসলেমকে শনাক্ত করি। পরে মোসলেমকে গ্রেপ্তারের পর সুমন ও মাবিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারাও দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে সুমন ও মোসলেম অজ্ঞান পার্টির সদস্য। সালমার লাশ উদ্ধারের সময় সেখানে একটি খালি কৌটা পাওয়া যায়। এক পুলিশ সদস্য কৌটায় নাক দিলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সালমাকে হত্যার আগে ওড়নার সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে তাঁর নাক–মুখ পেঁচিয়ে ধরা হয়।’
পুলিশ জানায়, মাবিয়া আগে দুটি বিয়ে করেছিলেন। নানা কারণে তাঁর দুই ছেলে ও দ্বিতীয় স্বামী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। চার মাস আগে জয়পুরপাড়ার বাসার মালিক মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের বাসায় ভাড়া নেন মাবিয়া। সেই বাসায় অপরিচিত মানুষের আনাগোনা বাড়ায় তাঁকে বাসা ছাড়তে বলেছিলেন তাঁরা। বাসা ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়ার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে মাবিয়া এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন।
আরও পড়ুন:
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে চুক্তির সেই টাকা দেননি। এই হত্যাকাণ্ডে সুমন ও মাবিয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া আরেক সহযোগী মোসলেম উদ্দিনের (২৮) আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানা গেছে।
জবানবন্দিতে মোসলেম উল্লেখ করেন, সুমন তাঁর শৈশবের বন্ধু এবং তাঁরা একসঙ্গে মাদক সেবন করতেন। দুজনের বাড়ি দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালুচ পশ্চিমপাড়া গ্রামে।
জবানবন্দির তথ্য অনুযায়ী, মাবিয়া স্থানীয় অটোভ্যানচালক সুমনকে চার লাখ টাকায় সালমাকে হত্যার দায়িত্ব দেন। সুমন ও তাঁর বন্ধু মোসলেম মাবিয়ার পরিকল্পনায় ১০ নভেম্বর সালমার বাসায় যান। সেখানে রান্নাঘরে কাজ করার সময় সালমাকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যার পর লাশ একটি ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন তাঁরা। এ সময় মাবিয়া দুজনকে জানান, আলমারিতে ছয়–সাত লাখ টাকা আছে। কুড়াল দিয়ে আলমারি ভাঙার চেষ্টা করলে বিকট শব্দ হওয়ায় তা আর ভাঙেননি তাঁরা।
একপর্যায়ে দেয়ালে রাউটার দেখে মোসলেম মনে করেন, এটি সিসি ক্যামেরা। হত্যার ঘটনা সেখানে ধরা পড়েছে। এই ভয়ে রাউটার খুলে নিয়ে তিনজনে চারতলায় মাবিয়ার বাসায় যান। সেখান থেকে রাউটার নিয়ে সুমন এবং মোবাইল ফোন নিয়ে মোসলেম ভ্যানে তালুচ বাজারে চলে যান। ঘটনার পরদিন মোসলেম সালমার বাটন ফোন ও স্মার্টফোনটি ব্যবহার শুরু করেন। ১৪ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তালুচ বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
মোসলেম জবানবন্দিতে আরও বলেন, ‘মাবিয়া সালমাকে হত্যার জন্য সুমনকে চার লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু পরে সেই টাকা আর দেয়নি।’
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর সালমা খুনের ঘটনায় সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রিমান্ডে থাকাকালে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় মোসলেমকে শনাক্ত করি। পরে মোসলেমকে গ্রেপ্তারের পর সুমন ও মাবিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারাও দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে সুমন ও মোসলেম অজ্ঞান পার্টির সদস্য। সালমার লাশ উদ্ধারের সময় সেখানে একটি খালি কৌটা পাওয়া যায়। এক পুলিশ সদস্য কৌটায় নাক দিলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সালমাকে হত্যার আগে ওড়নার সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে তাঁর নাক–মুখ পেঁচিয়ে ধরা হয়।’
পুলিশ জানায়, মাবিয়া আগে দুটি বিয়ে করেছিলেন। নানা কারণে তাঁর দুই ছেলে ও দ্বিতীয় স্বামী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। চার মাস আগে জয়পুরপাড়ার বাসার মালিক মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের বাসায় ভাড়া নেন মাবিয়া। সেই বাসায় অপরিচিত মানুষের আনাগোনা বাড়ায় তাঁকে বাসা ছাড়তে বলেছিলেন তাঁরা। বাসা ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়ার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে মাবিয়া এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন।
আরও পড়ুন:
গত ২৮ জুলাই নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত, মৌখিক ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে অংশ নিলে দুজনের শরীরে গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি মেলে।
১ মিনিট আগেমুফিজুল হক সিকদার দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) আসরের নামাজের পর রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহনগর গ্রামের ফতেহ মোহাম্মদ সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
৬ মিনিট আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ঘাতক বাসচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাকির আলম (৩৫) সিলেটের বিশ্বনাথের...
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর সদর, রাজৈর, কালকিনি, শিবচর ও ডাসার উপজেলায় কাগজে-কলমে ১৭টি নদনদী থাকলেও বর্তমানে দৃশ্যমান ১০টি। এর মধ্যে পদ্মা, পালরদী, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিষারকান্দি ও কুমার নদ উল্লেখযোগ্য। এসব নদনদী ঘিরে জেলার ৫ উপজেলায় ৩৪টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯টি পুরোপুরি অকেজো, আর বাকি ৫টিও
১ ঘণ্টা আগে