প্রতিনিধি, রাবি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে বক্তারা এই দাবি জানান। ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, ‘সেলিম হোসেনের ঘটনা যখন ঘটছে, ঠিক একই মুহূর্তে বাংলাদেশে গতকাল আরেকটা ঘটনা ঘটেছে। বুয়েটের ২০ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছে এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। কিন্তু কেন একজন শিক্ষার্থী মারা যাচ্ছে, আবার সেই বিচারে ২০ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে, এ প্রশ্ন আমরা তুলছি না।’
কাজী মামুন হায়দার আরও বলেন, ‘অনেকে হয়তো প্রশ্ন তুলতে পারেন, লোভ নিয়ে শিক্ষক সেলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট হয়েছিলেন। প্রভোস্ট একটা পদ, কাউকে না কাউকে তো দায়িত্ব পালন করতেই হবে। সবাই যদি আমরা প্রভোস্ট গিরি ছেড়ে দিই, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় চলবে কীভাবে? যে কাঠামোর মধ্যে আমরা প্রভোস্ট হচ্ছি, ভিসি হচ্ছি, প্রক্টর হচ্ছি তা নিয়ে আমরা কেউ প্রশ্ন তুলছি না।’
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকিব বলেন, ‘কুয়েট শিক্ষক সেলিম হোসেনকে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা অপমান করেছেন। তিনি হয়তো সংবেদনশীল মানুষ ছিলেন তাই অপমান নিতে পারেননি। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের প্রতিনিয়ত এই সমস্ত অসভ্য ছাত্রনেতা নামধারী যারা আছেন, তাদের আচার-আচরণে অপমানিত হতে হয়। সে অপমান হজম করেই শিক্ষকদের দায়িত্ব পালন করতে হয়।’ এ অবস্থার উত্তরণের জন্য ছাত্র-শিক্ষক ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন বলেন, ‘আবরারের ঘটনায় আমরা দেখেছি ছাত্রলীগ তাঁকে ফিজিক্যালি টর্চার করেছে। কিন্তু কুয়েট শিক্ষক সেলিমে বেলায় কোনো সহিংসতা ঘটেনি। তবে ভাষার মাধ্যমেও ‘ভায়োলেন্স’ চর্চা করছে ছাত্রলীগ। যা আমরা প্রতিমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও দেখতে পেলাম। প্রতিমন্ত্রী কী ভয়ংকর ভাষাগত ‘ভায়োলেন্স’ ঘটালেন। এ ভায়োলেন্স যার সাথেই ঘটানো হচ্ছে, তারা মানসিক এবং শারীরিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অধ্যাপক সেলিমের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি করছি।’
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি রঞ্চু আহমেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের রাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ প্রমুখ। এ ছাড়া কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে বক্তারা এই দাবি জানান। ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, ‘সেলিম হোসেনের ঘটনা যখন ঘটছে, ঠিক একই মুহূর্তে বাংলাদেশে গতকাল আরেকটা ঘটনা ঘটেছে। বুয়েটের ২০ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছে এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। কিন্তু কেন একজন শিক্ষার্থী মারা যাচ্ছে, আবার সেই বিচারে ২০ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে, এ প্রশ্ন আমরা তুলছি না।’
কাজী মামুন হায়দার আরও বলেন, ‘অনেকে হয়তো প্রশ্ন তুলতে পারেন, লোভ নিয়ে শিক্ষক সেলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট হয়েছিলেন। প্রভোস্ট একটা পদ, কাউকে না কাউকে তো দায়িত্ব পালন করতেই হবে। সবাই যদি আমরা প্রভোস্ট গিরি ছেড়ে দিই, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় চলবে কীভাবে? যে কাঠামোর মধ্যে আমরা প্রভোস্ট হচ্ছি, ভিসি হচ্ছি, প্রক্টর হচ্ছি তা নিয়ে আমরা কেউ প্রশ্ন তুলছি না।’
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকিব বলেন, ‘কুয়েট শিক্ষক সেলিম হোসেনকে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা অপমান করেছেন। তিনি হয়তো সংবেদনশীল মানুষ ছিলেন তাই অপমান নিতে পারেননি। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের প্রতিনিয়ত এই সমস্ত অসভ্য ছাত্রনেতা নামধারী যারা আছেন, তাদের আচার-আচরণে অপমানিত হতে হয়। সে অপমান হজম করেই শিক্ষকদের দায়িত্ব পালন করতে হয়।’ এ অবস্থার উত্তরণের জন্য ছাত্র-শিক্ষক ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন বলেন, ‘আবরারের ঘটনায় আমরা দেখেছি ছাত্রলীগ তাঁকে ফিজিক্যালি টর্চার করেছে। কিন্তু কুয়েট শিক্ষক সেলিমে বেলায় কোনো সহিংসতা ঘটেনি। তবে ভাষার মাধ্যমেও ‘ভায়োলেন্স’ চর্চা করছে ছাত্রলীগ। যা আমরা প্রতিমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও দেখতে পেলাম। প্রতিমন্ত্রী কী ভয়ংকর ভাষাগত ‘ভায়োলেন্স’ ঘটালেন। এ ভায়োলেন্স যার সাথেই ঘটানো হচ্ছে, তারা মানসিক এবং শারীরিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অধ্যাপক সেলিমের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি করছি।’
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি রঞ্চু আহমেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের রাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ প্রমুখ। এ ছাড়া কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ও বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলার বুক চিরে উত্তর-দক্ষিণে বয়ে গেছে ভৈরব নদ। নদের পশ্চিমে কচুয়া ইউনিয়ন। পূর্বে বাঘারপাড়ার ছাতিয়ানতলা ইউনিয়ন। ছাতিয়ানতলা বাজারের পাশেই এই নদীর ওপরে জরাজীর্ণ সেতুটি ছিল দুটি ইউনিয়নের অন্তত ৩০ গ্রামের যাতায়াতের ভরসা।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত সেই সানজিদা আহমেদ তন্বীসহ গবেষণা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদকে লড়বে ১১ জন। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের তথ্য যাচাই বাছাই শেষে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতি তাঁর সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে নোটিশ দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেপাহাড় ও বনের মিশেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর। তবে এ অঞ্চলের বনভূমির চিত্র আর আগের মতো নেই। একসময়ের বিশাল বনভূমি এখন অনেকটাই উজাড় হয়ে গেছে। বনের মূল্যবান গাছের অধিকাংশই শেষ পর্যন্ত ঠাঁই নিয়েছে করাতকলে।
৪ ঘণ্টা আগে