রাজশাহী প্রতিনিধি
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের গ্রাহকদের সঙ্গে ঝগড়া–ফ্যাসাদে না জড়িয়ে ধৈর্যশীল হতে বলেছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল। তিনি বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে উত্তেজনা থাকতে পারে। তাই বিদ্যুৎ বিভাগের যেসব কর্মকর্তা গ্রাহক পর্যায়ে যান তাঁদের ধৈর্যশীল হতে হবে। তাঁরা যেন গ্রাহকদের সঙ্গে উত্তেজিত না হন। ঝগড়া-ফ্যাসাদ না করেন। সুযোগ হলে তাঁরা গ্রাহকদের সমস্যার কথা বোঝানোর চেষ্টা করবেন, কিন্তু কোনোভাবেই ফ্যাসাদে জড়াবেন না।’
রাজশাহী জেলায় কখনো প্রতিদিন অন্তত ৬ ঘণ্টা থেকে ৭ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। শহরে মোটামুটি সময়সূচি মানা হলেও সংকটের কারণে লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি গ্রামে। বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা লোডশেডিংয়ের সময়সূচিও ঠিক রাখা যাচ্ছে না।
চলমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড ও পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে সার্কিট হাউসে এ সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।
সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রাজশাহীতে দৈনিক চাহিদার ১০ থেকে ১২ ভাগ লোডশেডিং করার কথা। বাস্তবে এর চেয়েও বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। নেসকো ও পল্লি বিদ্যুতের চাহিদার ঘাটতি থাকছে ২৫ ভাগের বেশি। তাই লোডশেডিংয়ের যে সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে তা মানা সম্ভব হচ্ছে না।
তাঁরা আরও জানান, শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও বিদ্যুৎ সব সময় রাখতে বলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে যতটা সম্ভব কম লোডশেডিং করা হচ্ছে। শুধু কল-কারখানার জন্য আলাদা বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন না থাকায় শিল্প এলাকায় এটা মানা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কোনো এলাকায় লোডশেডিং করতে হলে সেই এলাকার শিল্প-কারখানাতেও সংযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কারখানার মালিকেরা অভিযোগ করছেন। তবে বৈশ্বিক সংকটের বিষয়টি সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছেন। তাঁরা লোডশেডিং মেনে নিয়েছেন। গ্রাহকদের পক্ষ থেকে কোনো হুমকি নেই।
সভায় জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাত ৮টার মধ্যেই যেন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয় সে বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবে জেলা প্রশাসন।’ বিদ্যুতের আলাদা সঞ্চালন লাইন নিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সাধারণ গ্রাহক ও শিল্প-কারখানার জন্য বিদ্যুতের আলাদা সঞ্চালন লাইন করতে পারলে ভালো হতো। তাহলে এমন হতো যে—একটা বাটন চাপ দিলেই সাধারণ গ্রাহকদের সংযোগ বন্ধ থাকবে। আবার এক বাটনেই শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ যাবে। এখন না হলেও ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ বিভাগকে এমন পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করতে হবে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) রাজশাহী অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক ছানোয়ার হোসেন, নেসকোর নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) গোলাম আহমেদ, বিতরণ জোনের প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশিদ, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রোকনুজ্জামান প্রমুখ।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের গ্রাহকদের সঙ্গে ঝগড়া–ফ্যাসাদে না জড়িয়ে ধৈর্যশীল হতে বলেছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল। তিনি বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে উত্তেজনা থাকতে পারে। তাই বিদ্যুৎ বিভাগের যেসব কর্মকর্তা গ্রাহক পর্যায়ে যান তাঁদের ধৈর্যশীল হতে হবে। তাঁরা যেন গ্রাহকদের সঙ্গে উত্তেজিত না হন। ঝগড়া-ফ্যাসাদ না করেন। সুযোগ হলে তাঁরা গ্রাহকদের সমস্যার কথা বোঝানোর চেষ্টা করবেন, কিন্তু কোনোভাবেই ফ্যাসাদে জড়াবেন না।’
রাজশাহী জেলায় কখনো প্রতিদিন অন্তত ৬ ঘণ্টা থেকে ৭ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। শহরে মোটামুটি সময়সূচি মানা হলেও সংকটের কারণে লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি গ্রামে। বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা লোডশেডিংয়ের সময়সূচিও ঠিক রাখা যাচ্ছে না।
চলমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড ও পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে সার্কিট হাউসে এ সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।
সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রাজশাহীতে দৈনিক চাহিদার ১০ থেকে ১২ ভাগ লোডশেডিং করার কথা। বাস্তবে এর চেয়েও বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। নেসকো ও পল্লি বিদ্যুতের চাহিদার ঘাটতি থাকছে ২৫ ভাগের বেশি। তাই লোডশেডিংয়ের যে সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে তা মানা সম্ভব হচ্ছে না।
তাঁরা আরও জানান, শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও বিদ্যুৎ সব সময় রাখতে বলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে যতটা সম্ভব কম লোডশেডিং করা হচ্ছে। শুধু কল-কারখানার জন্য আলাদা বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন না থাকায় শিল্প এলাকায় এটা মানা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কোনো এলাকায় লোডশেডিং করতে হলে সেই এলাকার শিল্প-কারখানাতেও সংযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কারখানার মালিকেরা অভিযোগ করছেন। তবে বৈশ্বিক সংকটের বিষয়টি সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছেন। তাঁরা লোডশেডিং মেনে নিয়েছেন। গ্রাহকদের পক্ষ থেকে কোনো হুমকি নেই।
সভায় জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাত ৮টার মধ্যেই যেন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয় সে বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবে জেলা প্রশাসন।’ বিদ্যুতের আলাদা সঞ্চালন লাইন নিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সাধারণ গ্রাহক ও শিল্প-কারখানার জন্য বিদ্যুতের আলাদা সঞ্চালন লাইন করতে পারলে ভালো হতো। তাহলে এমন হতো যে—একটা বাটন চাপ দিলেই সাধারণ গ্রাহকদের সংযোগ বন্ধ থাকবে। আবার এক বাটনেই শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ যাবে। এখন না হলেও ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ বিভাগকে এমন পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করতে হবে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) রাজশাহী অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক ছানোয়ার হোসেন, নেসকোর নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) গোলাম আহমেদ, বিতরণ জোনের প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশিদ, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রোকনুজ্জামান প্রমুখ।
মৌলভীবাজারের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে নদী আর ছড়া। এ জেলায় রয়েছে কয়েক শ ছড়া। কিন্তু সিলিকা বালু লুটের কারণে এসব ছড়া শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এখানকার অর্ধশতাধিক ছড়া থেকে রাতের আঁধারে একটি মহল বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে; কিন্তু তা ঠেকানোর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রশাস
১ ঘণ্টা আগেসন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বছরে জমির নামজারি বা খারিজ হয় ৭ হাজারের অধিক। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ড কার্যালয়ের এলআর (লোকাল রিলেশনস) ফান্ডের নামে নেওয়া হয় ২ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে পৌর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোর কন্টিনজেন্সি বিলের (খাতা, কলমসহ আনুষঙ্গিক খরচ) জন্য বরাদ্দ আসে বছরে সাড়ে ৩ থেকে ৫
২ ঘণ্টা আগেকৃষি ব্যাংকের খুলনার পূর্ব রূপসা শাখা থেকে লকার ভেঙে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরেরা। শুক্রবার রাতে বিষয়টি ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে কোনো এক সময়ে এ চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। ব্যাংক এবং আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরদের শনাক্ত করার চেষ্টা
৩ ঘণ্টা আগে