Ajker Patrika

বগুড়ায় দাদিশাশুড়ি ও নাতবউকে গলা কেটে হত্যা

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫, ০০: ২২
বগুড়ায় হত্যার ঘটনায় স্বজনদের আর্তনাদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়ায় হত্যার ঘটনায় স্বজনদের আর্তনাদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় নিজ বাড়িতে দাদিশাশুড়ি ও তাঁর নাতবউকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার রাত সাড়ে আটটা থেকে নয়টার মধ্যে বগুড়া পৌর এলাকার ইসলামপুর (হরিগাড়ি) পশ্চিম পাড়ায় এই খুনের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুস বুলুর স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৮০) এবং তাঁর নাতি পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। এ সময় পারভেজের ছোট বোন বন্যাকেও (১৫) ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। নিহতের স্বজনেরা প্রাথমিকভাবে বন্যার সাবেক প্রেমিক একই এলাকার সোহেলের ছেলে সৈকত ইসলামকে খুনের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন।

নিহতের পরিবারের সদস্য মোসলেম উদ্দিন ও খোকন মিয়া জানান, বন্যা এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। স্কুলে পড়াশোনার সময় স্থানীয় প্রতিবেশী সোহেলের ছেলে সৈকত নামের এক যুবকের সঙ্গে বন্যার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সৈকত নেশাগ্রস্ত হওয়ায় পরিবারের চাপে সৈকতের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে। এ কারণে সৈকত প্রায়ই বন্যাকে উত্ত্যক্ত করতেন এবং বিয়ে করার জন্য বন্যার পরিবারের ওপর চাপ দিতেন। বন্যার বাবা বুলবুলের ওই পাড়াতেই মুদিদোকান রয়েছে। ঘটনার সময় তিনি স্ত্রী পারভীনসহ দোকানে অবস্থান করছিলেন। তাঁর দুই ছেলে পারভেজ বাড়ির বাইরে এবং ছোট ছেলে কৌশিক প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। বাড়িতে ছিলেন বুলবুলের মা, ছেলের বউ, মেয়ে এবং সাত মাস বয়সী নাতি।

স্থানীয়রা জানান, বন্যা পেটে ছুরিকাহত অবস্থায় বাড়ি থেকে চিৎকার দিয়ে বের হয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা দৌড়ে বের হয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখেন, বারান্দায় বেসিনের কাছে হাবিবার গলাকাটা লাশ এবং ঘরে লাইলী বেওয়ার লাশ পড়ে আছে। আর হাবিবার সাত মাস বয়সী শিশুসন্তান রক্তে গড়াগড়ি খাচ্ছে। প্রতিবেশীরা দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ছুরিকাহত বন্যাকে হাসপাতালে ভর্তি করান।

বন্যার ফুফাতো ভাই খোকন মিয়া জানান, সৈকত বন্যাকে পছন্দ করে বলে প্রায়ই বিরক্ত করতেন। বুধবার বাড়িতে কোনো পুরুষ না থাকায় সৈকতসহ আরও সাত-আটজন বাড়িতে ঢোকেন। তখন বন্যার ভাবি হাবিবা তাঁদের দেখে গালিগালাজ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে হাবিবাকে গলায় ছুরিকাঘাত এবং পরে লাইলী বেওয়াকেও গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। তখন বন্যা ছুটে এলে বন্যার পেটে ছুরিকাঘাত করে তাঁরা পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছুরিকাহত বন্যা পুলিশকে সৈকতের নাম বলেছে। এরপর থেকে পুলিশের একাধিক টিম সৈকতকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে। সৈকত গ্রেপ্তার হলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লুটপাটে শেষ ৫ কোটির প্রকল্প: ইউএনও-উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শুনানি কাল

চীন–রাশিয়া থেকে ভারতকে দূরে রাখতে কয়েক দশকের মার্কিন প্রচেষ্টা ভেস্তে দিচ্ছেন ট্রাম্প: জন বোল্টন

‘হানি ট্র্যাপের’ ঘটনা ভিডিও করায় খুন হন সাংবাদিক তুহিন: পুলিশ

আটজন উপদেষ্টার ‘সীমাহীন’ দুর্নীতির প্রমাণ আছে: সাবেক সচিব

স্ত্রীকে মেরে ফেলেছি, আমাকে নিয়ে যান— ৯৯৯–এ স্বামীর ফোন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত