বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় এক কৃষককে সহযোগিতা করতে তাঁর জমির ধান কেটে দিয়েছেন যুবদল ও যুবলীগের দুই নেতা। কিন্তু ওই জমির মালিক দাবি করা অপর ব্যক্তির অভিযোগ, তাঁর জমি দখল করে চাষাবাদ, ধান কেটে নেওয়া ও পুকুরের মাছ লুট করা হয়েছে। এ ছাড়া মেহগনি ও আমবাগানের গাছ কেটে নেওয়ারও অভিযোগ তোলেন ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে।
আজ শনিবার উপজেলার নগর ইউনিয়নের মশিন্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই কৃষকের নাম আকুল হোসেন (৬৫)। তিনি উপজেলার মশিন্দা গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার নগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান এবং একই ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শহীদুল শাহ।
কৃষক আকুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ৫০ বছর যাবৎ আমি ও আমার ভাইয়েরা মশিন্দা মৌজার ১৭৮ ও ৩১৭ নম্বর খতিয়ানের একটি পুকুরসহ ২৯ বিঘা জমি ভোগদখল করে আসছিলাম। কয়েক বছর আগে মশিন্দা গ্রামের আকরাম হোসেন, আমিরুল ইসলামসহ তাঁর স্বজনেরা ওই জমি তাঁদের দাবি করে আদালতে মামলা করেন। বর্তমানে আদালতে মামলা চলমান আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই জমি ব্যবহারে অপরপক্ষের মামলার নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পরবর্তী সময় তাঁরা আদালতে মামলা করেন। এরই মধ্যে আতাউর রহমান ও শহীদুল শাহর নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রায় ১২ বিঘা জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দেন। গত মঙ্গলবার তাঁরা ওই জমি থেকে ধান কেটে নেওয়াসহ একটি পুকুরের সব মাছ লুট করে নেয়। এ সময় আরও জমিতে থাকা আম ও মেহগনিবাগানের গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করেন।’ তিনি জানান, আকরাম হোসেন, আমিরুল ইসলাম যুবদল ও যুবলীগের পক্ষের লোক।
এ ঘটনায় আজ শনিবার বিকেলে আকুল হোসেনের ভাই মনিরুল হোসেন বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আকরাম হোসেন বলেন, ‘জমির কাগজপত্রে মালিক আমরা। তাই মালিকানা দাবিতে মামলা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা (আকুল হোসেন) নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিল। আবেদন না মঞ্জুর হওয়ায় আমরা দখল করেছি।’
আকরাম হোসেনের আইনজীবী আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমার মক্কেলের জমির মালিকানা ঠিক থাকায় আকুল হোসেন নিষেধাজ্ঞা পায় নাই। তাই আকরাম হোসেনদের জমিতে তারা চাষাবাদ করছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আতাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাদের জমি তারাই ধান কেটে নিয়ে চাষ করছে, আমরা সহযোগিতা করেছি।’
যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক হয়ে জমি দখল করে ধান কাটা ও মাছ মারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় চাহিদা মেনে এমনটি করতে হয়েছে।
ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শহীদুল শাহর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওখানে জমিজমা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মামলা চলমান আছে। তবে জমি দখল, ধান কাটা ও মাছ মারার বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় এক কৃষককে সহযোগিতা করতে তাঁর জমির ধান কেটে দিয়েছেন যুবদল ও যুবলীগের দুই নেতা। কিন্তু ওই জমির মালিক দাবি করা অপর ব্যক্তির অভিযোগ, তাঁর জমি দখল করে চাষাবাদ, ধান কেটে নেওয়া ও পুকুরের মাছ লুট করা হয়েছে। এ ছাড়া মেহগনি ও আমবাগানের গাছ কেটে নেওয়ারও অভিযোগ তোলেন ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে।
আজ শনিবার উপজেলার নগর ইউনিয়নের মশিন্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই কৃষকের নাম আকুল হোসেন (৬৫)। তিনি উপজেলার মশিন্দা গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার নগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান এবং একই ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শহীদুল শাহ।
কৃষক আকুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ৫০ বছর যাবৎ আমি ও আমার ভাইয়েরা মশিন্দা মৌজার ১৭৮ ও ৩১৭ নম্বর খতিয়ানের একটি পুকুরসহ ২৯ বিঘা জমি ভোগদখল করে আসছিলাম। কয়েক বছর আগে মশিন্দা গ্রামের আকরাম হোসেন, আমিরুল ইসলামসহ তাঁর স্বজনেরা ওই জমি তাঁদের দাবি করে আদালতে মামলা করেন। বর্তমানে আদালতে মামলা চলমান আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই জমি ব্যবহারে অপরপক্ষের মামলার নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পরবর্তী সময় তাঁরা আদালতে মামলা করেন। এরই মধ্যে আতাউর রহমান ও শহীদুল শাহর নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রায় ১২ বিঘা জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দেন। গত মঙ্গলবার তাঁরা ওই জমি থেকে ধান কেটে নেওয়াসহ একটি পুকুরের সব মাছ লুট করে নেয়। এ সময় আরও জমিতে থাকা আম ও মেহগনিবাগানের গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করেন।’ তিনি জানান, আকরাম হোসেন, আমিরুল ইসলাম যুবদল ও যুবলীগের পক্ষের লোক।
এ ঘটনায় আজ শনিবার বিকেলে আকুল হোসেনের ভাই মনিরুল হোসেন বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আকরাম হোসেন বলেন, ‘জমির কাগজপত্রে মালিক আমরা। তাই মালিকানা দাবিতে মামলা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা (আকুল হোসেন) নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিল। আবেদন না মঞ্জুর হওয়ায় আমরা দখল করেছি।’
আকরাম হোসেনের আইনজীবী আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমার মক্কেলের জমির মালিকানা ঠিক থাকায় আকুল হোসেন নিষেধাজ্ঞা পায় নাই। তাই আকরাম হোসেনদের জমিতে তারা চাষাবাদ করছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আতাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাদের জমি তারাই ধান কেটে নিয়ে চাষ করছে, আমরা সহযোগিতা করেছি।’
যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক হয়ে জমি দখল করে ধান কাটা ও মাছ মারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় চাহিদা মেনে এমনটি করতে হয়েছে।
ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শহীদুল শাহর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওখানে জমিজমা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মামলা চলমান আছে। তবে জমি দখল, ধান কাটা ও মাছ মারার বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
২৪ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
১ ঘণ্টা আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১ ঘণ্টা আগে