Ajker Patrika

আসছে বর্ষাকাল, চলছে নৌকা তৈরির ধুম

প্রতিনিধি
আসছে বর্ষাকাল, চলছে নৌকা তৈরির ধুম

ভাঙ্গুরা (পাবনা): আসছে বর্ষাকাল। চলছে নৌকা তৈরি ও পুরোনো নৌকা মেরামতের ধুম। প্রতিবছর বর্ষা আসার আগেই চলনবিল অধ্যুষিত পাবনার ভাঙ্গুরায় শুরু হয় নৌকা তৈরির কাজ। এ সময়টাতে নৌকার কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বর্ষাকালে এ উপজেলার অধিকাংশ জনপদ পানিতে থই থই করে। ডুবে যায় রাস্তাঘাট, নদী-নালা ও খাল-বিল। নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। মৎস্যজীবীরাও মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করেন ছোটবড় নৌকা। তাই বর্ষা মৌসুম আসলেই এ অঞ্চলে বেড়ে যায় নৌকার কদর।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পৌরশহরের কালিবাড়ি, জগাতলা ও উপজেলার অষ্টমনিষায় প্রায় ৫০-৬০টি কাঠমিস্ত্রি রয়েছে। এ সকল কাঠমিস্ত্রিরা বর্ষা মৌসুম শুরুর মাসখানেক আগে থেকেই নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বছরের বাকি সময়টা তাঁরা চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালাসহ অন্যান্য আসবাবপত্র তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

নৌকার কারিগর কাঠমিস্ত্রি মহাদেব সূত্রধর জানান, কাঠের কাজ তাঁর পেশা। বর্ষাকাল শুরুর ১-২ মাস আগে থেকেই তিনি নৌকা তৈরির কাজ শুরু করেন। বর্ষায় নৌকা আর বছরের বাকি সময়টা চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালা তৈরি করে চলে তার সংসার।

এলাকার প্রবীণ কাঠমিস্ত্রি বিশনো সূত্রধর জানান, নয় হাত লম্বা একটি নৌকা ৩ / ৪ হাজার টাকা এবং ১২ হাত নৌকা ৫ / ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। কারখানা ছাড়া হাটবাজারে তিনি নৌকা বিক্রি করেন না। এ ছাড়াও ভাঙ্গুরাসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষ এসে তার কাছ থেকে নৌকা তৈরি করে নিয়ে যায়। শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নয়, মুসলমানদের অনেকেই এখন এ পেশার সঙ্গে জড়িত। এ মৌসুমে নৌকা তৈরির কাজ বেশি পান। গত কয়েক দিনে তিনি বেশ কয়েকটি নৌকা বিক্রি করেছেন।

ভবানীপুর গ্রামের নৌকা ক্রেতা বাবলু ফকির জানান, তিনি সাড়ে ৯ হাত লম্বা একটি নৌকা সাড়ে ৫ হাজার টাকায় কিনেছেন। বর্ষা মাসে তিনি কচুরিপানা কাটার কাজে নৌকা ব্যবহার করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত