Ajker Patrika

গঙ্গার পানির জন্য মমতার কাছে দৌড়াতে হবে কেন, প্রশ্ন আসিফ নজরুলের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৬ মে ২০২৩, ২১: ৪৪
গঙ্গার পানির জন্য মমতার কাছে দৌড়াতে হবে কেন, প্রশ্ন আসিফ নজরুলের

ভারতের কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক নদী আইন বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, পানির হিস্যা আদায়ে চুক্তি করতে হবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে। সেখানে মমতা ব্যানার্জি গুরুত্বপূর্ণ নন। 

ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে রাজশাহীতে ‘গঙ্গা চুক্তির অবসানে বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ আয়োজন করে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের রাজশাহী শাখা এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ রাজশাহী। 

এ সময় আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘আমরা একটা ভুল করি সব সময়। বলি, তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না সে জন্য মমতার দোষ। কি আশ্চর্য কথা! ভারত যে কথা আমার-আপনার মুখ দিয়ে বলাতে চায়, সেটা আমরা অবলীলায় বলে দিই। আচ্ছা, মমতা যদি সমস্যা হয় তাহলে ১৯৭৭ সালেও তো ভারতের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছিল। তখনো তো পশ্চিমবঙ্গ আমাদের পানি দিতে চায়নি। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সব চুক্তি কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। 

‘কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে আমাদের সঙ্গে চুক্তি করবে, এখানে প্রদেশের কিচ্ছু বলার নাই। বলতে পারেন, বাস্তবায়নে সমস্যা হবে। বাস্তবায়নে সমস্যা হলে সেটা ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমরা ভারতের সঙ্গে চুক্তি না করে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সমঝোতা করতে এগোই। পশ্চিমবঙ্গের সমান স্ট্যাটাস আমাদের? আমরা স্বতন্ত্র দেশ, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটা প্রদেশ। কেন আমাকে মমতার কাছে দৌড়াতে হবে যে চুক্তি করো? কেন? আমেরিকার সঙ্গে যদি ফ্রান্স চুক্তি করে, তাহলে কি নিউ জার্সির গভর্নরের অনুমতি নিতে হয়? ফ্লোরিডায় দৌড়াবে?’ 

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘আমরা তো ভারতকে বলব, পশ্চিমবঙ্গ কে? তুমিও স্বতন্ত্র দেশ, আমিও স্বতন্ত্র দেশ। পানি দাও। পানি না দিলে তোমার সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি হবে না। ইন্ডিয়ার মানুষ এখানে চাকরি করতে পারবে না। এটা আমরা বলতে পারি না। এ রকম করলে ভারত পশ্চিমবঙ্গকে বিকল্প আধার থেকে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করত। এই অবস্থানটা আমাদের নিতে হবে।’ 

ভারতের ফারাক্কা বাঁধের কারণে পদ্মার করুণ দশার কথা বলতে গিয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘ভারতের উত্তর প্রদেশে অসংখ্য প্রকল্প আছে পানি প্রত্যাহারের। সেখান থেকে ভারত ইচ্ছেমতো পানি প্রত্যাহার করে। কী পরিমাণ পানি প্রত্যাহার করে সেটা বাংলাদেশকে জানায় না। তারপর বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে পানি প্রত্যাহার করে। তারপর অবশিষ্ট যে পানিটা ফারাক্কায় আসে, সেটা ভাগ করে নেয় বাংলাদেশের সঙ্গে। ভারত এটাকে বলে ন্যায়সংগত। আর আমরাও গাধার মতো বলি, খুবই ন্যায়সংগত একটা চুক্তি হয়েছে।’ 

বাংলাদেশে পানি আইন নিয়ে মানুষের ভ্রান্ত ধারণা এবং জ্ঞানের পরিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমাদের সমস্যা হচ্ছে জ্ঞানের। আমার খুব দুঃখ লাগে বলতে, আমাদের ১৭ কোটি মানুষের দেশ। কিন্তু আন্তর্জাতিক নদী আইনে আমি ছাড়া আর কারও পিএইচডি নেই। এটা কি সম্ভব একটা দেশে? নেপালের জনসংখ্যা কত কম, সেখানেও প্রায় ছয়-সাতজন আছেন। আমাদের দেশে আর কেউ নেই। আমি ১৯৯৮ সালে দেশে এসেছি। তারপর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ওয়ান-ইলেভেন অনেক সরকার এসেছে, অথচ আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে যাওয়ার আগে তাঁদের একটা লোকও পরামর্শ চায়নি পানির ন্যায্য হিস্যাটা আদায়ের ব্যাপারে। এই দেশে কী মূল্য আছে পড়াশোনার? কী মূল্য গবেষণার?’ 

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘দিনের পর দিন পানির অধিকার হারিয়ে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, এটাই স্বাভাবিক। জ্ঞানী মানুষ হিসেবে পরিচিত বহু লোকের থেকে শুনেছি, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে কেন যায় না? বাংলাদেশের তো যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক আদালতের যে নিয়ম সেখানে বাংলাদেশ নিজেই সাইন করেনি। ভারত সাইন করেছে, কিন্তু বলেছে ভারতের বিরুদ্ধে পানিসংক্রান্ত বিষয়ে কোনো অভিযোগ তোলা যাবে না।’ 

সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আবদুর রহমান সিদ্দিকী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি ও নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মো. আনোয়ার সাদাত। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের রাজশাহী শাখার সভাপতি ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ। সেমিনারে তিনি স্বাগত বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠকের বাসায় দুর্বৃত্তের আগুন

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য। ছবি : আজকের পত্রিকা
আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য। ছবি : আজকের পত্রিকা

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগের বাড়ির ফটকে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার গজিনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এ কাজ করেছে বলে দাবি করেন প্রীতম সোহাগ।

প্রীতম সোহাগ বলেন, ‘রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কে বা কারা বাড়ির ফটকের সামনে আগুন দেয়। এতে আমার স্ত্রীর স্যান্ডেল, পাপোশ পুড়ে যায়। এ ছাড়া ওপরে থাকা বিদ্যুতের কার্ড মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি, আগুন নিভে যায়। আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে পাশের বাড়ির লোকজন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে বিষয়টি জানান।’

প্রীতম সোহাগ বলেন, ‘ধারণা করছি, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এই অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। যারা রাজনৈতিকভাবে আমার সঙ্গে পেরে উঠছে না। তবে এসবে আমি ভীত নই। যারা এই হীন কাজ করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি থানা-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি।’

আগুনে পুড়ে যাওয়া অংশের ভিডিও করে প্রীতম সোহাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর নিজস্ব আইডিতে আজ সকাল ৭টার দিকে পোস্ট করেন। এতে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ‘এনসিপি নেতার বাড়ির গেটে আগুন দিয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিনদুপুরে ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়।

ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে তাঁদের হাসপাতালের সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলির শব্দ শুনে হাসপাতালের মেইন গেটের সামনের এসে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভেতরে আনা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলে নিহতের পূর্বপরিচিত ফাইজুল হক অপু জানান, সকালে তারিক সাইফ মামুনের ফোন নম্বর থেকে তাঁকে কল করে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেলে এসে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঘুমন্ত বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে আটক

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের শিবচরে পারিবারিক বিরোধের জেরে ঘুমন্ত বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মতি মিয়া (৬৬)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলারহাট উপজেলার বড়হাটি গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে ফারুক মিয়াকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতি মিয়া ও তাঁর ছেলে ফারুক মিয়া দুজনেই শিবচরের বাঁশকান্দি এলাকায় থাকতেন এবং মতি মিয়া ওই এলাকায় শ্রমিক হিসেবে কৃষিকাজ করতেন। ফারুক মিয়া সাধারণত ঢাকায় কাজ করলেও গত বুধবার (৫ নভেম্বর) শিবচরে তাঁর বাবার কাছে আসেন এবং বাবার সঙ্গে থাকা শুরু করেন। গতকাল রোববার বিকেলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা মতি মিয়ার সঙ্গে ছেলে ফারুক মিয়ার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

এই বিরোধের জেরে রাত ১২টার দিকে বাবা মতি মিয়া ঘুমিয়ে থাকলে ছেলে ফারুক মিয়া তাঁকে কোদাল (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ছেলে ফারুক মিয়া লাশের পাশেই বসে ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ফারুক মিয়াকে আটক করে।

স্থানীয়দের ধারণা, ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয় এবং অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়।’ তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

নিহত মতি মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ১২
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’র সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে একটি মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি এসে প্রবর্তনার সামনে রাস্তার ওপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। দুটি ককটেলই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে কেয়ারটেকার ও আশপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, দুষ্কৃতকারীরা ব্যবসায়ী ওই প্রতিষ্ঠানটি লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে ঘটনার কারণ বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত