আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পথশিশুরা ‘ড্যান্ডির’ (ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ তথা ড্যানড্রাইট নামের আঠা; যা মাদকসেবীদের কাছে ড্যান্ডি নামে পরিচিত) নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। নেশার টাকার জোগান দিতে অনেকে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলেও জানা যায়।
এ জাতীয় নেশার ফলে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে অভিভাবক ও সচেতন মহল। সংশ্লিষ্টরা শিশুদের নেশায় আসক্ত হওয়ার ব্যাপারে অভিভাবকদের অসচেতনতা ও বিক্রেতাদের দায়ী করছেন।
তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দাবি, ড্যান্ডির নেশায় আসক্ত শিশুদের কাউকে এখন পর্যন্ত তাদের চোখে পড়েনি। আর পুলিশ বলছে, এসব শিশুর ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ তাদের নজরদারিতে আছে। ওই সব শিশুর অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
৬ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রার সভাস্থলে এক শিশু ড্যান্ডির নেশা করছিল। পরে পুলিশ তাকে শাসন করে ছেড়ে দেয়। তখন থেকে এ জেলার শিশুদের ড্যান্ডির নেশায় আসক্তের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
আসক্ত শিশুদের দাবি, এ নেশায় তারা খুব আনন্দ পায়, উৎফুল্ল হয় এবং নিজেদের অন্য জগতের মানুষ হিসেবে মনে করে। এই আঠা কিনতে বিভিন্ন সময় তাদের অতিরিক্ত মূল্যও দিতে হয়।
পৌর এলাকার বাসিন্দা ও রিকশাচালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘১০ থেকে ১৩ বছরের শিশুরা দলবদ্ধ হয়ে শহরের ডিসি অফিসসংলগ্ন আমবাগান, ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, শান্তিমোড়, নিউমার্কেট, রেলওয়ে স্টেশন, পিটিআই বস্তিসহ বেশ কিছু এলাকায় ড্যান্ডির নেশা করে। এই নেশার টাকা জোগান দিতে তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সময়ের মধ্যে তাদের স্বাভাবিক জীবনে না ফেরানো গেলে, আগামীতে তারা বড় ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে।’
বালিয়াডাঙ্গা এলাকার রিকশাচালক সেনাউল ইসলাম বলেন, ‘কিছু দিন আগে আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর লাগোয়া নতুন সড়কটিতে কয়েক শিশু হাতে চাকু নিয়ে এক রিকশাচালককে একা পেয়ে পথ আটকানোর চেষ্টা করে। তারা ওই রিকশাচালকের কাছে টাকা দাবি করে। পরে সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আরেক রিকশাচালক দৃশ্যটি দেখে ওই শিশুদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এসব শিশু নেশার টাকা জোগান দিতেই এমন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’
মো. আখতার হোসেন নামের এক শিক্ষক বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরের শিশুরা ড্যান্ডির নেশায় সবচেয়ে বেশি আসক্ত। গ্রামাঞ্চলে শিশুদের অভিভাবকেরা কড়া শাসনের মধ্যে রাখেন। কিন্তু শহরের অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা জীবিকার তাগিদে তাদের শিশু সন্তানদের দিকে খেয়াল রাখতে পারে না। সেই সুযোগে শিশুরা তাদের সমবয়সীদের সঙ্গে আড্ডায় জড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে প্রথম ধাপে শুরু হয় ড্যান্ডির নেশা, পরে আস্তে আস্তে বিড়ি-সিগারেট, গাঁজার দিকে ঝুঁকে পড়ে তারা। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে।’
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, ‘৬ জুলাই শহরের নিউ মার্কেট এলাকা থেকে যে শিশুটিকে ড্যান্ডিসহ ধরা হয়েছিল, এর আগেও তার বিরুদ্ধে অটোরিকশা থেকে টাকা চুরির অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বয়স বিবেচনায় পরে তার অভিভাবককে ডেকে তাঁদের জিম্মায় দেওয়া হয়। এর মতোই উঠতি বয়সের ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’ নেশায় ব্যবহৃত ওই আঠা যাচাই-বাছাইয়ের পর শিশুদের কাছে বিক্রি করা গেলে তারা এই নেশা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পথশিশুদের ড্যান্ডি গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে জনসচেতনতাকেই একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে মানছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ড্যান্ডি নেশা করে এমন শিশু আমাদের চোখে পড়েনি। খোঁজখবর নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এসব শিশুকে আটক করে মাদকাসক্ত পুনর্বাসন নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হবে। যাতে করে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ড্যান্ডিতে আসক্তরা মনো-আচরণগত, শারীরিক ও সামাজিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া শরীরের শ্বসন, পরিপাক, স্নায়ু ও রক্ত সংবহনতন্ত্রের ওপর এ ধরনের নেশার ক্ষতিকারক উপাদানসমূহ নানা বিরূপ প্রভাব ফেলে। নেশার অতিমাত্রায় শ্বসন ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কিংবা শ্বাসরোধ হয়ে মারাও যেতে পারে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পথশিশুরা ‘ড্যান্ডির’ (ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ তথা ড্যানড্রাইট নামের আঠা; যা মাদকসেবীদের কাছে ড্যান্ডি নামে পরিচিত) নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। নেশার টাকার জোগান দিতে অনেকে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলেও জানা যায়।
এ জাতীয় নেশার ফলে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে অভিভাবক ও সচেতন মহল। সংশ্লিষ্টরা শিশুদের নেশায় আসক্ত হওয়ার ব্যাপারে অভিভাবকদের অসচেতনতা ও বিক্রেতাদের দায়ী করছেন।
তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দাবি, ড্যান্ডির নেশায় আসক্ত শিশুদের কাউকে এখন পর্যন্ত তাদের চোখে পড়েনি। আর পুলিশ বলছে, এসব শিশুর ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ তাদের নজরদারিতে আছে। ওই সব শিশুর অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
৬ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রার সভাস্থলে এক শিশু ড্যান্ডির নেশা করছিল। পরে পুলিশ তাকে শাসন করে ছেড়ে দেয়। তখন থেকে এ জেলার শিশুদের ড্যান্ডির নেশায় আসক্তের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
আসক্ত শিশুদের দাবি, এ নেশায় তারা খুব আনন্দ পায়, উৎফুল্ল হয় এবং নিজেদের অন্য জগতের মানুষ হিসেবে মনে করে। এই আঠা কিনতে বিভিন্ন সময় তাদের অতিরিক্ত মূল্যও দিতে হয়।
পৌর এলাকার বাসিন্দা ও রিকশাচালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘১০ থেকে ১৩ বছরের শিশুরা দলবদ্ধ হয়ে শহরের ডিসি অফিসসংলগ্ন আমবাগান, ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, শান্তিমোড়, নিউমার্কেট, রেলওয়ে স্টেশন, পিটিআই বস্তিসহ বেশ কিছু এলাকায় ড্যান্ডির নেশা করে। এই নেশার টাকা জোগান দিতে তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সময়ের মধ্যে তাদের স্বাভাবিক জীবনে না ফেরানো গেলে, আগামীতে তারা বড় ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে।’
বালিয়াডাঙ্গা এলাকার রিকশাচালক সেনাউল ইসলাম বলেন, ‘কিছু দিন আগে আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর লাগোয়া নতুন সড়কটিতে কয়েক শিশু হাতে চাকু নিয়ে এক রিকশাচালককে একা পেয়ে পথ আটকানোর চেষ্টা করে। তারা ওই রিকশাচালকের কাছে টাকা দাবি করে। পরে সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আরেক রিকশাচালক দৃশ্যটি দেখে ওই শিশুদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এসব শিশু নেশার টাকা জোগান দিতেই এমন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’
মো. আখতার হোসেন নামের এক শিক্ষক বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরের শিশুরা ড্যান্ডির নেশায় সবচেয়ে বেশি আসক্ত। গ্রামাঞ্চলে শিশুদের অভিভাবকেরা কড়া শাসনের মধ্যে রাখেন। কিন্তু শহরের অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা জীবিকার তাগিদে তাদের শিশু সন্তানদের দিকে খেয়াল রাখতে পারে না। সেই সুযোগে শিশুরা তাদের সমবয়সীদের সঙ্গে আড্ডায় জড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে প্রথম ধাপে শুরু হয় ড্যান্ডির নেশা, পরে আস্তে আস্তে বিড়ি-সিগারেট, গাঁজার দিকে ঝুঁকে পড়ে তারা। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে।’
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, ‘৬ জুলাই শহরের নিউ মার্কেট এলাকা থেকে যে শিশুটিকে ড্যান্ডিসহ ধরা হয়েছিল, এর আগেও তার বিরুদ্ধে অটোরিকশা থেকে টাকা চুরির অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বয়স বিবেচনায় পরে তার অভিভাবককে ডেকে তাঁদের জিম্মায় দেওয়া হয়। এর মতোই উঠতি বয়সের ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’ নেশায় ব্যবহৃত ওই আঠা যাচাই-বাছাইয়ের পর শিশুদের কাছে বিক্রি করা গেলে তারা এই নেশা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পথশিশুদের ড্যান্ডি গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে জনসচেতনতাকেই একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে মানছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ড্যান্ডি নেশা করে এমন শিশু আমাদের চোখে পড়েনি। খোঁজখবর নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এসব শিশুকে আটক করে মাদকাসক্ত পুনর্বাসন নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হবে। যাতে করে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ড্যান্ডিতে আসক্তরা মনো-আচরণগত, শারীরিক ও সামাজিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া শরীরের শ্বসন, পরিপাক, স্নায়ু ও রক্ত সংবহনতন্ত্রের ওপর এ ধরনের নেশার ক্ষতিকারক উপাদানসমূহ নানা বিরূপ প্রভাব ফেলে। নেশার অতিমাত্রায় শ্বসন ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কিংবা শ্বাসরোধ হয়ে মারাও যেতে পারে।’
গত ২৮ জুলাই নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত, মৌখিক ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে অংশ নিলে দুজনের শরীরে গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি মেলে।
৪ মিনিট আগেমুফিজুল হক সিকদার দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) আসরের নামাজের পর রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহনগর গ্রামের ফতেহ মোহাম্মদ সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
৮ মিনিট আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ঘাতক বাসচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাকির আলম (৩৫) সিলেটের বিশ্বনাথের...
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর সদর, রাজৈর, কালকিনি, শিবচর ও ডাসার উপজেলায় কাগজে-কলমে ১৭টি নদনদী থাকলেও বর্তমানে দৃশ্যমান ১০টি। এর মধ্যে পদ্মা, পালরদী, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিষারকান্দি ও কুমার নদ উল্লেখযোগ্য। এসব নদনদী ঘিরে জেলার ৫ উপজেলায় ৩৪টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯টি পুরোপুরি অকেজো, আর বাকি ৫টিও
১ ঘণ্টা আগে