রিপন চন্দ্র রায়, রাবি
আর পাঁচটা শিশুর মতোই জন্ম তাঁর। ধীরে ধীরে বেড়ে উঠতে থাকেন তিনি। কিন্তু বিধি বাম। মাত্র তিন বছর বয়সেই পড়ে গিয়ে ভেঙে যায় মেরুদণ্ডের হাড়। হাঁটা শুরু হতে না হতেই থেমে যেতে হয় তাঁকে। তাতে তাঁর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। কিন্তু অদম্য, ইচ্ছাশক্তি ও মনোবল থামাতে পারেনি তাঁর চলার গতি। মায়ের কোলে চড়ে একে একে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েছেন। সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে আজ মায়ের কোলে চড়েই তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন। পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
মাত্র ৩৮ ইঞ্চি উচ্চতার সোনা বাবুর পুরো নাম সম্রাট হোসেন সোনা বাবু। তিনি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে। বাবা তোজাম্মেল হক প্রান্তিক কৃষক ও মা রাজিয়া সুলতানা গৃহিণী। দুই ভাইবোনের মধ্যে সোনা বাবু ছোট। একই সমস্যার কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধী তাঁর বড় বোনও।
সোনা বাবু ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বড় হয়ে শিক্ষক হবেন। পড়াশোনার প্রতি প্রবল আগ্রহ তাঁর। নিজে চলতে না পারলেও মায়ের কোলে চড়ে স্কুলে যাওয়া শুরু করেন। মাঝেমধ্যে হয়তো কিছুটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলতেন মা। কিন্তু সন্তানের প্রবল আগ্রহ তাঁকে থেমে যেতে দেয়নি। প্রতিদিন কোলে করেই সোনা বাবুকে স্কুলে নিয়ে যান মা রাজিয়া সুলতানা। তবে সংসার দেখাশোনা করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে স্কুল মিস হয়।
সোনা বাবুকে মাধ্যমিক পর্যন্ত কোলে করেই নিয়ে যেতেন তাঁর মা। কিন্তু মাধ্যমিক পাশ করার পর কলেজ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় আর কোলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তখন একটি ভ্যানগাড়ি ঠিক করে দেন। কিন্তু সব সময়ই সঙ্গে ছিল মা রাজিয়া সুলতানা। পরবর্তীতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। মূলত উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আগ্রহ জন্মে সোনা বাবুর। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর অন্য সবার মতো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করতে পারেননি। তবে ‘ইংলিশ মজা’ নামের একটি অনলাইন মাধ্যমে কোচিং করেন তিনি। সেখানেই সম্পন্ন করেন প্রস্তুতি। এরপর প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। সেই পরীক্ষার ফলের বিষয়েও অনেকটা আশাবাদী সোনা বাবু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় গেটের সামনে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (পিডিএফ) বুথে মায়ের সঙ্গে বসে ছিলেন সোনা বাবু। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। আলাপকালে সোনা বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শারীরিকভাবে আমার প্রতিবন্ধকতা আছে ঠিকই, কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমার পড়ালেখার প্রতি অত্যন্ত ঝোঁক ছিল। আমার মা আমাকে সাপোর্ট দিয়েছেন। হয়তো মায়ের কারণেই আজ আমি এত দূর আসতে পেরেছি। এই পর্যন্ত আসতে আমাকে অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে। কিন্তু আমার লক্ষ্যে আমি অবিচল ছিলাম। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় সহপাঠীরাও আমাকে অনেক সাহস দিত এবং আমার প্রতি অনেক সহানুভূতিশীল ছিল।’
সোনা বাবু আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল শিক্ষক হব। এখন যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাই, তাহলে ভালো পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাই।’
সোনা বাবুর মা রাজিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পরিবার দরিদ্র পরিবার। পরিবারের হাল ধরার মতো তেমন কেউ নেই। বড় মেয়েটাও পঙ্গু। একমাত্র সোনা বাবুই আমাদের ভরসা। ছোটবেলা থেকেই ওর স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হবে। আমি একজন মা হিসেবে আমার দায়িত্বটা পালন করার চেষ্টা করছি। এখন ওর যদি কোথাও সরকারি চাকরি হয়, তাহলে আমরা হয়তো একটু ভালোভাবে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারব। এ জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
আর পাঁচটা শিশুর মতোই জন্ম তাঁর। ধীরে ধীরে বেড়ে উঠতে থাকেন তিনি। কিন্তু বিধি বাম। মাত্র তিন বছর বয়সেই পড়ে গিয়ে ভেঙে যায় মেরুদণ্ডের হাড়। হাঁটা শুরু হতে না হতেই থেমে যেতে হয় তাঁকে। তাতে তাঁর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। কিন্তু অদম্য, ইচ্ছাশক্তি ও মনোবল থামাতে পারেনি তাঁর চলার গতি। মায়ের কোলে চড়ে একে একে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েছেন। সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে আজ মায়ের কোলে চড়েই তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন। পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
মাত্র ৩৮ ইঞ্চি উচ্চতার সোনা বাবুর পুরো নাম সম্রাট হোসেন সোনা বাবু। তিনি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে। বাবা তোজাম্মেল হক প্রান্তিক কৃষক ও মা রাজিয়া সুলতানা গৃহিণী। দুই ভাইবোনের মধ্যে সোনা বাবু ছোট। একই সমস্যার কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধী তাঁর বড় বোনও।
সোনা বাবু ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বড় হয়ে শিক্ষক হবেন। পড়াশোনার প্রতি প্রবল আগ্রহ তাঁর। নিজে চলতে না পারলেও মায়ের কোলে চড়ে স্কুলে যাওয়া শুরু করেন। মাঝেমধ্যে হয়তো কিছুটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলতেন মা। কিন্তু সন্তানের প্রবল আগ্রহ তাঁকে থেমে যেতে দেয়নি। প্রতিদিন কোলে করেই সোনা বাবুকে স্কুলে নিয়ে যান মা রাজিয়া সুলতানা। তবে সংসার দেখাশোনা করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে স্কুল মিস হয়।
সোনা বাবুকে মাধ্যমিক পর্যন্ত কোলে করেই নিয়ে যেতেন তাঁর মা। কিন্তু মাধ্যমিক পাশ করার পর কলেজ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় আর কোলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তখন একটি ভ্যানগাড়ি ঠিক করে দেন। কিন্তু সব সময়ই সঙ্গে ছিল মা রাজিয়া সুলতানা। পরবর্তীতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। মূলত উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আগ্রহ জন্মে সোনা বাবুর। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর অন্য সবার মতো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করতে পারেননি। তবে ‘ইংলিশ মজা’ নামের একটি অনলাইন মাধ্যমে কোচিং করেন তিনি। সেখানেই সম্পন্ন করেন প্রস্তুতি। এরপর প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। সেই পরীক্ষার ফলের বিষয়েও অনেকটা আশাবাদী সোনা বাবু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় গেটের সামনে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (পিডিএফ) বুথে মায়ের সঙ্গে বসে ছিলেন সোনা বাবু। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। আলাপকালে সোনা বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শারীরিকভাবে আমার প্রতিবন্ধকতা আছে ঠিকই, কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমার পড়ালেখার প্রতি অত্যন্ত ঝোঁক ছিল। আমার মা আমাকে সাপোর্ট দিয়েছেন। হয়তো মায়ের কারণেই আজ আমি এত দূর আসতে পেরেছি। এই পর্যন্ত আসতে আমাকে অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে। কিন্তু আমার লক্ষ্যে আমি অবিচল ছিলাম। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় সহপাঠীরাও আমাকে অনেক সাহস দিত এবং আমার প্রতি অনেক সহানুভূতিশীল ছিল।’
সোনা বাবু আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল শিক্ষক হব। এখন যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাই, তাহলে ভালো পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাই।’
সোনা বাবুর মা রাজিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পরিবার দরিদ্র পরিবার। পরিবারের হাল ধরার মতো তেমন কেউ নেই। বড় মেয়েটাও পঙ্গু। একমাত্র সোনা বাবুই আমাদের ভরসা। ছোটবেলা থেকেই ওর স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হবে। আমি একজন মা হিসেবে আমার দায়িত্বটা পালন করার চেষ্টা করছি। এখন ওর যদি কোথাও সরকারি চাকরি হয়, তাহলে আমরা হয়তো একটু ভালোভাবে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারব। এ জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
নওগাঁর ধামইরহাটে সহাসড়ক থেকে শাহাদাত হোসেন (২৮) নামের এক যুবককের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ধানতারা মোড়ের দক্ষিণে ধামইরহাট-পত্নীতলা আঞ্চলিক মহাসড়কে লাশটি পাওয়া যায়।
২ ঘণ্টা আগেবরিশালের আইএসিআইবি নার্সিং ইনস্টিটিউটে এবার ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ৫০ আসনের বিপরীতে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হননি। অন্যদিকে পটুয়াখালীর ড. জাফর নার্সিং কলেজে সমানসংখ্যক আসনের বিপরীতে মাত্র ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের (ভিডব্লিউবি) সুবিধাভোগী আজনুর আক্তার। দুই দিন ধরে ইউপি কার্যালয়ে ঘুরছেন ৫ মাসের বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলনের জন্য। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের...
৯ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে নরসুন্দর বাবা-ছেলেকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) রাত ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে জগন্নাথ হল ও অন্যান্য হল ও ছাত্র...
১০ ঘণ্টা আগে