ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
বাহারি রঙের পোশাক আর সাজসজ্জায় সেজেছেন একদল নারী ও পুরুষ। কারও মাথায় ফুল, কারও মাথায় রঙিন কলস। পুরুষেরা মাদল বাজাচ্ছেন আর নারীরা তালে তালে নাচছেন। আর এই আয়োজন দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভিড় করে মানুষ।
নওগাঁর ধামইরহাটে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের গোয়ালপূজা ঘিরে ২১তম ঐতিহ্যবাহী এই সোহরাই উৎসব উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার আগ্রাদ্বীগুণ ইউনিয়নের কুমরইল (বেড়াআড়া) আদিবাসী স্কুল মাঠে মোমবাতি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুন।
এক দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী সোহরাই উৎসব ঘিরে দুপুরের পর থেকে নওগাঁ, নিয়ামতপুর, গবরচোপা, বদলগাছি, সাপাহার, দেবিপুর, পত্নীতলা, চাপাই, রহনপুর, ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর, পোরশাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নৃত্য পরিবেশনের জন্য দলবদ্ধ হয়ে অনুষ্ঠানে সমবেত হতে শুরু করেন সাঁওতাল, মুন্ডা ও ওঁরাও সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বয়সী নৃত্যশিল্পীরা।
নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দিতে এই উৎসবের আয়োজন করে কমরইল (বেড়াআড়া) সোহরাই উৎসব কমিটি ও এলাকাবাসী।
খোলা মাঠে বাঁশের মাথায় সাদা পতাকা (ঝান্ডি) বেঁধে এর চারদিক ঘিরে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে নারী-পুরুষের নাচ-গান। এতে ৪৬টি সাংস্কৃতিক দল নাচ-গান পরিবেশন করে। এ সময় নারীদের হলুদ, লাল ও সাদা, লাল পাড়ের শাড়ি, শাখা-সিঁদুর, গায়ে অলংকার, খোঁপায় বাহারি রঙের ফুল, হাতে ফুলের চুরি, পায়ে নুপুর, মাথায় ফুলের কলসসহ নানা সাজে অনুষ্ঠানে সমবেত হয়ে নৃত্য পরিবেশন করতে দেখা যায়। উৎসব দেখতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ওঁরাও ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শত শত মানুষ ভিড় করেন। বাদ যায়নি শিশু-কিশোরেরাও।
অন্যদিকে পুরুষেরা পরনে সাদা ধুতি, গায়ে গেঞ্জি, মাথায় পাগড়ি ও গলায় মাদল ঝুলিয়ে দলবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ, হাতে হাত রেখে ঢাকঢোল পিটিয়ে নৃত্য পরিবেশন করেন। এই নৃত্য চলে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। আর এই নৃত্যই বিখ্যাত সোহরাই বা ঝান্ডি উৎসব নামে পরিচিত, যা হাজার বছর ধরে তাঁদের বংশপরম্পরায় ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালন করে আসছেন। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়।
উৎসবে আগত বদলগাছি উপজেলার জুয়েলপুর এলাকার দলনেতা রাঙ্গা বিহারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোহরাই উৎসব উত্তরবঙ্গের উড়াও, পাহান, সাঁওতাল, মালো, মাহাতো, বইমেলী, রাজোয়ার, মাহালিসহ আদিবাসীদের ধর্মীয় প্রধান ও সামাজিক উৎসব। এক দিনব্যাপী গোয়ালপূজা ও নৃত্যের ছন্দে হাজার বছর ধরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী একত্র হয়ে এই উৎসব পালন করে থাকে। এ কারণে তাঁর দল নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করতে এসেছেন।
ধামইরহাট উপজেলা শাখা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার মহন্ত বলেন, ওঁরাওরা নিজ নিজ বাড়ি, বাড়ির চারপাশ, তুলসীতলা, ধানখেত, বাঁশবাগান ও সমাধিস্থলে মাটির তৈরি প্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু করেন ‘সোহরাই’। সকাল থেকে চলে গোয়ালপূজা ও গবাদিপশুর বিশেষ যত্নআত্তি। বাড়িঘর ধুয়েমুছে উঠোন নিংড়ে বয়স্করা হাঁড়িয়া পান করেন। এই উৎসব ঘিরে বিবাহিত মেয়েরা তাঁদের বাবার বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ পান। কারণ পারিবারিকভাবে মেয়েদের আমন্ত্রণ জানানো ধর্মীয় রেওয়াজ।
ইউএনও আসমা খাতুন বলেন, সোহরাই হলো পাশের ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড়, ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যগুলোর ফসল কাটার উৎসব। একে গরুর উৎসবও বলা হয়। এটি ফসল কাটার পরে উদ্যাপিত হয় এবং দীপাবলি উৎসবের সঙ্গে মিলে যায়।
তিনি আরও বলেন, আদিবাসীরা বাঙালি জাতির শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এই অবদানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মিলিতভাবে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সোহরাই উৎসব কমিটির সভাপতি বিশত তিগ্যা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মোছা. জেসমিন আক্তার, ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বিপিএম পিপিএম, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ডেভিড হেম্ব্রম, ধামইরহাট উপজেলা শাখা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি প্রদীপ কুমার আগারওয়ালা প্রমুখ।
বাহারি রঙের পোশাক আর সাজসজ্জায় সেজেছেন একদল নারী ও পুরুষ। কারও মাথায় ফুল, কারও মাথায় রঙিন কলস। পুরুষেরা মাদল বাজাচ্ছেন আর নারীরা তালে তালে নাচছেন। আর এই আয়োজন দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভিড় করে মানুষ।
নওগাঁর ধামইরহাটে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের গোয়ালপূজা ঘিরে ২১তম ঐতিহ্যবাহী এই সোহরাই উৎসব উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার আগ্রাদ্বীগুণ ইউনিয়নের কুমরইল (বেড়াআড়া) আদিবাসী স্কুল মাঠে মোমবাতি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুন।
এক দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী সোহরাই উৎসব ঘিরে দুপুরের পর থেকে নওগাঁ, নিয়ামতপুর, গবরচোপা, বদলগাছি, সাপাহার, দেবিপুর, পত্নীতলা, চাপাই, রহনপুর, ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর, পোরশাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নৃত্য পরিবেশনের জন্য দলবদ্ধ হয়ে অনুষ্ঠানে সমবেত হতে শুরু করেন সাঁওতাল, মুন্ডা ও ওঁরাও সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বয়সী নৃত্যশিল্পীরা।
নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দিতে এই উৎসবের আয়োজন করে কমরইল (বেড়াআড়া) সোহরাই উৎসব কমিটি ও এলাকাবাসী।
খোলা মাঠে বাঁশের মাথায় সাদা পতাকা (ঝান্ডি) বেঁধে এর চারদিক ঘিরে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে নারী-পুরুষের নাচ-গান। এতে ৪৬টি সাংস্কৃতিক দল নাচ-গান পরিবেশন করে। এ সময় নারীদের হলুদ, লাল ও সাদা, লাল পাড়ের শাড়ি, শাখা-সিঁদুর, গায়ে অলংকার, খোঁপায় বাহারি রঙের ফুল, হাতে ফুলের চুরি, পায়ে নুপুর, মাথায় ফুলের কলসসহ নানা সাজে অনুষ্ঠানে সমবেত হয়ে নৃত্য পরিবেশন করতে দেখা যায়। উৎসব দেখতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ওঁরাও ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শত শত মানুষ ভিড় করেন। বাদ যায়নি শিশু-কিশোরেরাও।
অন্যদিকে পুরুষেরা পরনে সাদা ধুতি, গায়ে গেঞ্জি, মাথায় পাগড়ি ও গলায় মাদল ঝুলিয়ে দলবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ, হাতে হাত রেখে ঢাকঢোল পিটিয়ে নৃত্য পরিবেশন করেন। এই নৃত্য চলে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। আর এই নৃত্যই বিখ্যাত সোহরাই বা ঝান্ডি উৎসব নামে পরিচিত, যা হাজার বছর ধরে তাঁদের বংশপরম্পরায় ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালন করে আসছেন। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়।
উৎসবে আগত বদলগাছি উপজেলার জুয়েলপুর এলাকার দলনেতা রাঙ্গা বিহারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোহরাই উৎসব উত্তরবঙ্গের উড়াও, পাহান, সাঁওতাল, মালো, মাহাতো, বইমেলী, রাজোয়ার, মাহালিসহ আদিবাসীদের ধর্মীয় প্রধান ও সামাজিক উৎসব। এক দিনব্যাপী গোয়ালপূজা ও নৃত্যের ছন্দে হাজার বছর ধরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী একত্র হয়ে এই উৎসব পালন করে থাকে। এ কারণে তাঁর দল নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করতে এসেছেন।
ধামইরহাট উপজেলা শাখা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার মহন্ত বলেন, ওঁরাওরা নিজ নিজ বাড়ি, বাড়ির চারপাশ, তুলসীতলা, ধানখেত, বাঁশবাগান ও সমাধিস্থলে মাটির তৈরি প্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু করেন ‘সোহরাই’। সকাল থেকে চলে গোয়ালপূজা ও গবাদিপশুর বিশেষ যত্নআত্তি। বাড়িঘর ধুয়েমুছে উঠোন নিংড়ে বয়স্করা হাঁড়িয়া পান করেন। এই উৎসব ঘিরে বিবাহিত মেয়েরা তাঁদের বাবার বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ পান। কারণ পারিবারিকভাবে মেয়েদের আমন্ত্রণ জানানো ধর্মীয় রেওয়াজ।
ইউএনও আসমা খাতুন বলেন, সোহরাই হলো পাশের ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড়, ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যগুলোর ফসল কাটার উৎসব। একে গরুর উৎসবও বলা হয়। এটি ফসল কাটার পরে উদ্যাপিত হয় এবং দীপাবলি উৎসবের সঙ্গে মিলে যায়।
তিনি আরও বলেন, আদিবাসীরা বাঙালি জাতির শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এই অবদানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মিলিতভাবে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সোহরাই উৎসব কমিটির সভাপতি বিশত তিগ্যা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মোছা. জেসমিন আক্তার, ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বিপিএম পিপিএম, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ডেভিড হেম্ব্রম, ধামইরহাট উপজেলা শাখা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি প্রদীপ কুমার আগারওয়ালা প্রমুখ।
গত ২৮ জুলাই নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত, মৌখিক ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে অংশ নিলে দুজনের শরীরে গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি মেলে।
২ মিনিট আগেমুফিজুল হক সিকদার দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) আসরের নামাজের পর রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহনগর গ্রামের ফতেহ মোহাম্মদ সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
৬ মিনিট আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ঘাতক বাসচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাকির আলম (৩৫) সিলেটের বিশ্বনাথের...
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর সদর, রাজৈর, কালকিনি, শিবচর ও ডাসার উপজেলায় কাগজে-কলমে ১৭টি নদনদী থাকলেও বর্তমানে দৃশ্যমান ১০টি। এর মধ্যে পদ্মা, পালরদী, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিষারকান্দি ও কুমার নদ উল্লেখযোগ্য। এসব নদনদী ঘিরে জেলার ৫ উপজেলায় ৩৪টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯টি পুরোপুরি অকেজো, আর বাকি ৫টিও
১ ঘণ্টা আগে