মনিরুজ্জামান ফারুক, ভাঙ্গুড়া (পাবনা)
ঘুড়ি উড়ানোর শখ ছিল মিজানুর রহমানের। ১৯৮৮ সালে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে একদিন সকালে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ বিদ্যুতের তারে আটকে যায় শখের ঘুড়িটি। বৈদ্যুতিক খুঁটি বেয়ে ঘুড়িটা নামাতে গিয়ে নিজেই আটকে পড়েন বিদ্যুতের তারে। পরে চিকিৎসায় জীবন বেঁচে গেলেও কেটে ফেলতে হয় বাম হাত ও বাম পা। তারপর দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে শখের ঘুড়িই হয়ে গেল তাঁর দুটি অঙ্গহানির কারণ।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল জব্বার ফকিরের ছেলে মিজানুর রহমান। তাঁর বয়স এখন ৫২ বছর। চৌদ্দ বছর ধরে তিনি বাস করছেন একই ইউনিয়নের চণ্ডীপুর গ্রামে। চার ছেলে ও তিন মেয়ের জনক তিনি। বড় দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, বাকিরা সবাই ছোট।
বর্তমানে বেশ দারিদ্র্যের মধ্যে কাটছে মিজানুর রহমানের জীবন। চলাফেরার জন্য নেই একটা হুইল চেয়ার। অন্যের ভিটেয় ছোট্ট একটা ঝুপড়ি ঘরে স্ত্রী–সন্তান নিয়ে প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমানের বসবাস। থালা-বাসন, হাঁড়ি-পাতিল ছাড়া ঘরে নেই কোন আসবাবপত্র। দুটি চকিতে কাটে পরিবারের সব সদস্যের রাত। ঘরে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। নেই খাবার পানির চাহিদা মেটানোর কোনো ব্যবস্থা। প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া সরকারি কোন সাহায্য-সহযোগিতাও পান না তিনি। সহায়-সম্বলহীন অসহায় প্রতিবন্ধী মিজানুরের কপালে জোটেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটা ঘর।
সরেজমিন দেখা যায় মিজানুরের দুঃসহ জীবন। পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করলেও তাঁর খোঁজ নেয়নি কেউই। বেঁচে থাকার তাগিদে এক হাত আর এক পা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে তাঁর জীবন-সংগ্রাম।
জীবিকার তাড়না, ঘর না থাকলেও একটি ঘোড়া পালেন মিজানুর। পালেন না বলে পালতে বাধ্য হচ্ছেনও বলা যায়। কারণ, ধান ও শস্যের মৌসুমে ঘোড়ার গাড়িতে কৃষিপণ্য পরিবহন করে সংসার চালান তিনি। যা উপার্জন হয় তার বেশির ভাগই ঘোড়ার পেছনে লেগে যায়। আর বর্ষাকালে হাতে কোন কাজ না থাকায় সন্তানাদি নিয়ে চলতে হয় আরও কষ্টে। অসহায় এই মানুষটি জানান, তিনি শুনেছেন যাদের ঘর নেই, দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই ঘর কপালে জোটেনি তাঁর। একটা হুইল চেয়ারের অভাবে চলাফেরা করতেও কষ্ট হয় তাঁর।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলহাজ্ব উদ্দিন জানান, প্রতিবন্ধী মিজানুর একজন অসচ্ছল মানুষ। তাঁর কোন জায়গা-জমি না থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে সরকারি ঘর দেওয়া যায়নি।
ঘুড়ি উড়ানোর শখ ছিল মিজানুর রহমানের। ১৯৮৮ সালে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে একদিন সকালে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ বিদ্যুতের তারে আটকে যায় শখের ঘুড়িটি। বৈদ্যুতিক খুঁটি বেয়ে ঘুড়িটা নামাতে গিয়ে নিজেই আটকে পড়েন বিদ্যুতের তারে। পরে চিকিৎসায় জীবন বেঁচে গেলেও কেটে ফেলতে হয় বাম হাত ও বাম পা। তারপর দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে শখের ঘুড়িই হয়ে গেল তাঁর দুটি অঙ্গহানির কারণ।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল জব্বার ফকিরের ছেলে মিজানুর রহমান। তাঁর বয়স এখন ৫২ বছর। চৌদ্দ বছর ধরে তিনি বাস করছেন একই ইউনিয়নের চণ্ডীপুর গ্রামে। চার ছেলে ও তিন মেয়ের জনক তিনি। বড় দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, বাকিরা সবাই ছোট।
বর্তমানে বেশ দারিদ্র্যের মধ্যে কাটছে মিজানুর রহমানের জীবন। চলাফেরার জন্য নেই একটা হুইল চেয়ার। অন্যের ভিটেয় ছোট্ট একটা ঝুপড়ি ঘরে স্ত্রী–সন্তান নিয়ে প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমানের বসবাস। থালা-বাসন, হাঁড়ি-পাতিল ছাড়া ঘরে নেই কোন আসবাবপত্র। দুটি চকিতে কাটে পরিবারের সব সদস্যের রাত। ঘরে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। নেই খাবার পানির চাহিদা মেটানোর কোনো ব্যবস্থা। প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া সরকারি কোন সাহায্য-সহযোগিতাও পান না তিনি। সহায়-সম্বলহীন অসহায় প্রতিবন্ধী মিজানুরের কপালে জোটেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটা ঘর।
সরেজমিন দেখা যায় মিজানুরের দুঃসহ জীবন। পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করলেও তাঁর খোঁজ নেয়নি কেউই। বেঁচে থাকার তাগিদে এক হাত আর এক পা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে তাঁর জীবন-সংগ্রাম।
জীবিকার তাড়না, ঘর না থাকলেও একটি ঘোড়া পালেন মিজানুর। পালেন না বলে পালতে বাধ্য হচ্ছেনও বলা যায়। কারণ, ধান ও শস্যের মৌসুমে ঘোড়ার গাড়িতে কৃষিপণ্য পরিবহন করে সংসার চালান তিনি। যা উপার্জন হয় তার বেশির ভাগই ঘোড়ার পেছনে লেগে যায়। আর বর্ষাকালে হাতে কোন কাজ না থাকায় সন্তানাদি নিয়ে চলতে হয় আরও কষ্টে। অসহায় এই মানুষটি জানান, তিনি শুনেছেন যাদের ঘর নেই, দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই ঘর কপালে জোটেনি তাঁর। একটা হুইল চেয়ারের অভাবে চলাফেরা করতেও কষ্ট হয় তাঁর।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলহাজ্ব উদ্দিন জানান, প্রতিবন্ধী মিজানুর একজন অসচ্ছল মানুষ। তাঁর কোন জায়গা-জমি না থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে সরকারি ঘর দেওয়া যায়নি।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে