সিরাজগঞ্জ থেকে রিমন রহমান
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক রায়হান শরীফ কোনো কারণ ছাড়াই শ্রেণিকক্ষে ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। তাতে তাঁর ডান ঊরুতে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ আরাফাতকে সহপাঠীরা হাসপাতালে নিতে গেলে তাঁদের বাধা দেন রায়হান শরীফ।
ঘটনার সময় ক্লাসে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাহির বলেন, ‘ক্লাসে আমরা প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী ছিলাম। হঠাৎ তিনি ব্যাগ থেকে অস্ত্র বের করে আমাদের দুই-তিনজনের দিকে টার্গেট করেন। এরপর জিজ্ঞেস করেন, “তোমরা কি কেউ পোষা পাখি পালো? এইটা হলো আমার পোষা পাখি। এটা আমি পুষি।” এরপরই তিনি হঠাৎ শুট করে দিলেন। আরাফাতের পায়ে লাগল।’
মাহির বলেন, ‘এই ঘটনা দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। আমরা আরাফাতকে হাসপাতালে নিতে চাইলেও তিনি বাধা দেন। বলেন, “হাসপাতালে নেওয়ার দরকার নাই, এমনিই ঠিক হয়ে যাবে।” পরে আমরা ধরাধরি করে আরাফাতকে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম।’
মাহির আরও বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই এই শিক্ষক গুলি চালিয়েছেন। তাঁর কাছে সব সময় একটা ব্যাগ থাকে। সেই ব্যাগে অস্ত্র, ছুরি, চাপাতি—সবই থাকে। এসব আমরা মৌখিকভাবে কর্তৃপক্ষকে ভয়ে ভয়ে জানিয়েছি। কারণ, এই শিক্ষকের হাতে আমাদের নম্বর থাকে। তখন নাম জানতে পারলে সমস্যা করতেন। কর্তৃপক্ষ সব জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
কলেজের চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, ‘রায়হান শরীফ সব সময়ই অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করতেন। ক্লাসে, ভাইভা রুমে, খাবারের ডাইনিং, আড্ডা দেওয়ার স্থান—সবখানেই অস্ত্র দেখিয়ে বেড়াতেন। আমাদের মাথায় পিস্তল ধরে গুলি ছাড়া আগেও ফায়ার করেছেন। তবে এবার ফায়ার করেছেন গুলিসহ। অল্পের জন্য আরাফাতের প্রাণ বেঁচেছে।’
জাহিদ হাসান মনে করেন, কলেজের কারও না কারও প্রশ্রয়ে তিনি এমন বেপরোয়া ছিলেন। জাহিদ বলেন, ‘তাঁকে কেউ সাপোর্ট না দিলে তিনি এত সাহস পেতেন না। কে তাঁকে সাহস দিতেন, সেটা আমরা জানতে চাই। তাঁর বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বলেন, ‘একজন টিচার হিসেবে যে যোগ্যতা থাকার দরকার, তার কিছুই ছিল না রায়হান শরীফের। বেশির ভাগ সময় তিনি আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা ক্লাস নিতেন। এটা আমাদের কোনো কাজেই লাগত না। বরং সারা দিনের ক্লান্তির পর এটা আমাদের কাছে আরও বিরক্ত লাগত। তিনি সব সময় ফেল করানোর ভয় দেখাতেন।’
সাব্বির হোসেন বলেন, ‘এই শিক্ষক রাতের বেলায় আমাদের ব্যাচমেট মেয়েদের কল দিতেন। কেউ ফোন না ধরলে অন্যজনকে ফোন করে বলতেন। এভাবে কল ধরতে চাপ দিতেন। তারপরও কেউ কল না ধরলে পরদিন ক্লাসে সবার সামনেই বলতেন “এই, তুই রাতে আমার ফোন রিসিভ করিসনি কেন?” এভাবে তিনি ছাত্রীদের অপমান করতেন।’
গতকাল সোমবার বিকেলে ক্লাস নেওয়ার একপর্যায়ে শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে লক্ষ্য করে গুলি চালান কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফ। এ ঘটনার পর তাঁকে আটকে রাখা হলে খবর পেয়ে পুলিশ এসে আটক করে। পরে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলা অবৈধ অস্ত্র সঙ্গে রাখার অপরাধে, অন্যটি ছাত্রকে গুলি করার ঘটনায়।
এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি তদন্ত কমিটি করেছে। কমিটির সদস্যরা আজ মঙ্গলবারই কলেজে এসেছেন। তাঁরা সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক রায়হান শরীফ কোনো কারণ ছাড়াই শ্রেণিকক্ষে ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। তাতে তাঁর ডান ঊরুতে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ আরাফাতকে সহপাঠীরা হাসপাতালে নিতে গেলে তাঁদের বাধা দেন রায়হান শরীফ।
ঘটনার সময় ক্লাসে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাহির বলেন, ‘ক্লাসে আমরা প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী ছিলাম। হঠাৎ তিনি ব্যাগ থেকে অস্ত্র বের করে আমাদের দুই-তিনজনের দিকে টার্গেট করেন। এরপর জিজ্ঞেস করেন, “তোমরা কি কেউ পোষা পাখি পালো? এইটা হলো আমার পোষা পাখি। এটা আমি পুষি।” এরপরই তিনি হঠাৎ শুট করে দিলেন। আরাফাতের পায়ে লাগল।’
মাহির বলেন, ‘এই ঘটনা দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। আমরা আরাফাতকে হাসপাতালে নিতে চাইলেও তিনি বাধা দেন। বলেন, “হাসপাতালে নেওয়ার দরকার নাই, এমনিই ঠিক হয়ে যাবে।” পরে আমরা ধরাধরি করে আরাফাতকে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম।’
মাহির আরও বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই এই শিক্ষক গুলি চালিয়েছেন। তাঁর কাছে সব সময় একটা ব্যাগ থাকে। সেই ব্যাগে অস্ত্র, ছুরি, চাপাতি—সবই থাকে। এসব আমরা মৌখিকভাবে কর্তৃপক্ষকে ভয়ে ভয়ে জানিয়েছি। কারণ, এই শিক্ষকের হাতে আমাদের নম্বর থাকে। তখন নাম জানতে পারলে সমস্যা করতেন। কর্তৃপক্ষ সব জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
কলেজের চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, ‘রায়হান শরীফ সব সময়ই অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করতেন। ক্লাসে, ভাইভা রুমে, খাবারের ডাইনিং, আড্ডা দেওয়ার স্থান—সবখানেই অস্ত্র দেখিয়ে বেড়াতেন। আমাদের মাথায় পিস্তল ধরে গুলি ছাড়া আগেও ফায়ার করেছেন। তবে এবার ফায়ার করেছেন গুলিসহ। অল্পের জন্য আরাফাতের প্রাণ বেঁচেছে।’
জাহিদ হাসান মনে করেন, কলেজের কারও না কারও প্রশ্রয়ে তিনি এমন বেপরোয়া ছিলেন। জাহিদ বলেন, ‘তাঁকে কেউ সাপোর্ট না দিলে তিনি এত সাহস পেতেন না। কে তাঁকে সাহস দিতেন, সেটা আমরা জানতে চাই। তাঁর বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বলেন, ‘একজন টিচার হিসেবে যে যোগ্যতা থাকার দরকার, তার কিছুই ছিল না রায়হান শরীফের। বেশির ভাগ সময় তিনি আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা ক্লাস নিতেন। এটা আমাদের কোনো কাজেই লাগত না। বরং সারা দিনের ক্লান্তির পর এটা আমাদের কাছে আরও বিরক্ত লাগত। তিনি সব সময় ফেল করানোর ভয় দেখাতেন।’
সাব্বির হোসেন বলেন, ‘এই শিক্ষক রাতের বেলায় আমাদের ব্যাচমেট মেয়েদের কল দিতেন। কেউ ফোন না ধরলে অন্যজনকে ফোন করে বলতেন। এভাবে কল ধরতে চাপ দিতেন। তারপরও কেউ কল না ধরলে পরদিন ক্লাসে সবার সামনেই বলতেন “এই, তুই রাতে আমার ফোন রিসিভ করিসনি কেন?” এভাবে তিনি ছাত্রীদের অপমান করতেন।’
গতকাল সোমবার বিকেলে ক্লাস নেওয়ার একপর্যায়ে শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে লক্ষ্য করে গুলি চালান কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফ। এ ঘটনার পর তাঁকে আটকে রাখা হলে খবর পেয়ে পুলিশ এসে আটক করে। পরে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলা অবৈধ অস্ত্র সঙ্গে রাখার অপরাধে, অন্যটি ছাত্রকে গুলি করার ঘটনায়।
এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি তদন্ত কমিটি করেছে। কমিটির সদস্যরা আজ মঙ্গলবারই কলেজে এসেছেন। তাঁরা সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
১৯৭১ সালের গণহত্যায় জড়িত পাকিস্তানের ছাত্রসংগঠন জমিয়ত-ই-তলাবা নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
৫ মিনিট আগেমাগুরার মহম্মদপুরে কমিরুল মোল্যা (৩০) নামের এক যুবককে জ্যান্ত কবর দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
৮ মিনিট আগেময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার আহমদাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে আর্থিক বিরোধের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রতনপুরে আজ সোমবার সকালে এই সংঘর্ষ ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
২১ মিনিট আগে