রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নির্মাণাধীন ১০ তলা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের একাংশ ধসের ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রশাসনের নিজের লোক আখ্যা দিয়ে স্বাধীন কোনো পক্ষকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া মানববন্ধন থেকে ভবনের নির্মাণকাজের গুণগত মান পরীক্ষা, আহত শ্রমিকদের পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ, কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়িত্বে অবহেলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমীরুল ইনলাম কনক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে যেখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী থাকবে, সেই হল নির্মাণের আগেই ধসে পড়ছে। এখানে নির্মাণকাজে এমন একটা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যেটি জাতীয়ভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। আমরা চাই, উপযুক্ত পরীক্ষক দিয়ে পুরো ভবনের গুণগত মান পরীক্ষা করে তারপর কাজ শুরু করা হোক।’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘এটাকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না। কোনো গাফিলতি না থাকলে এভাবে নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ার কথা না। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শালা-দুলাভাইয়ের মতো। আর এখানে যারা তদন্ত করছে তারাও প্রশাসনেরই লোক। কাজেই স্বাধীন কোনো পক্ষের তদন্তের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজা উচিত।’
সালেহ হাসান নকীব আরও বলেন, ‘ছাদ ধসের ঘটনায় তদন্ত শুরু করতেও গড়িমসি করছে বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু নির্মাণকাজ চলছেই। তদন্ত শেষ করার আগে নির্মাণকাজ চলা মানে সামনে আরেকটি দুর্ঘটনার জন্য অপেক্ষা করা। তাই এই ধসের সঠিক তদন্ত শেষ করার পর নির্মাণকাজ শুরুর দাবি জানাচ্ছি।’
অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘যে কোম্পানি এটা করেছে, তারা ঠিকভাবে নীতিমালা অনুসরণ করেনি। এখানে প্রশাসনের গাফিলতি আছে। কেন তদন্ত শেষ না করে তারা কাজ শুরু করে দিল? একটা সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে এর সত্যতা যাচাই করা হোক। কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহির মধ্যে আনা উচিত।’
মানববন্ধনে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান গাজী মহারাজ বলেন, ‘এখানে কাজ করেছে মজিদ অ্যান্ড সন্স। আগেও এদের দুর্নীতির রেকর্ড আছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় কাজ করছে। আগেও এই ভবনে দুজন শ্রমিক মারা গেছেন। কিন্তু শ্রমিক মৃত্যুর এই ঘটনায় কোনো তদন্ত বা কারণ বের না করেই নির্মাণকাজ চলছিল। এখন আবার ছাদ ধসে পড়েছে, এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে এই কাজে আরও কতটা দুর্নীতি হয়েছে, সেটা বের করতে হবে। এর আগে পর্যন্ত হলের এই নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হোক।’
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণকাজ চলাকালীন ১০ তলা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের একাংশের ছাদ ধসে পড়ে। তাতে ৯ জন শ্রমিক আহত হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় এক জরুরি সভায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নির্মাণাধীন ১০ তলা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের একাংশ ধসের ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রশাসনের নিজের লোক আখ্যা দিয়ে স্বাধীন কোনো পক্ষকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া মানববন্ধন থেকে ভবনের নির্মাণকাজের গুণগত মান পরীক্ষা, আহত শ্রমিকদের পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ, কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়িত্বে অবহেলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমীরুল ইনলাম কনক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে যেখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী থাকবে, সেই হল নির্মাণের আগেই ধসে পড়ছে। এখানে নির্মাণকাজে এমন একটা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যেটি জাতীয়ভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। আমরা চাই, উপযুক্ত পরীক্ষক দিয়ে পুরো ভবনের গুণগত মান পরীক্ষা করে তারপর কাজ শুরু করা হোক।’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘এটাকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না। কোনো গাফিলতি না থাকলে এভাবে নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ার কথা না। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শালা-দুলাভাইয়ের মতো। আর এখানে যারা তদন্ত করছে তারাও প্রশাসনেরই লোক। কাজেই স্বাধীন কোনো পক্ষের তদন্তের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজা উচিত।’
সালেহ হাসান নকীব আরও বলেন, ‘ছাদ ধসের ঘটনায় তদন্ত শুরু করতেও গড়িমসি করছে বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু নির্মাণকাজ চলছেই। তদন্ত শেষ করার আগে নির্মাণকাজ চলা মানে সামনে আরেকটি দুর্ঘটনার জন্য অপেক্ষা করা। তাই এই ধসের সঠিক তদন্ত শেষ করার পর নির্মাণকাজ শুরুর দাবি জানাচ্ছি।’
অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘যে কোম্পানি এটা করেছে, তারা ঠিকভাবে নীতিমালা অনুসরণ করেনি। এখানে প্রশাসনের গাফিলতি আছে। কেন তদন্ত শেষ না করে তারা কাজ শুরু করে দিল? একটা সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে এর সত্যতা যাচাই করা হোক। কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহির মধ্যে আনা উচিত।’
মানববন্ধনে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান গাজী মহারাজ বলেন, ‘এখানে কাজ করেছে মজিদ অ্যান্ড সন্স। আগেও এদের দুর্নীতির রেকর্ড আছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় কাজ করছে। আগেও এই ভবনে দুজন শ্রমিক মারা গেছেন। কিন্তু শ্রমিক মৃত্যুর এই ঘটনায় কোনো তদন্ত বা কারণ বের না করেই নির্মাণকাজ চলছিল। এখন আবার ছাদ ধসে পড়েছে, এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে এই কাজে আরও কতটা দুর্নীতি হয়েছে, সেটা বের করতে হবে। এর আগে পর্যন্ত হলের এই নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হোক।’
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণকাজ চলাকালীন ১০ তলা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের একাংশের ছাদ ধসে পড়ে। তাতে ৯ জন শ্রমিক আহত হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় এক জরুরি সভায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে কথা-কাটাকাটির জেরে এক কম্পিউটার ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টেনে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে অপর এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার থানা রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগেফরিদপুরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে গণি খা (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এই রায় দেন।
৯ মিনিট আগেনেত্রকোনায় ৩১ দফা রূপরেখা তুলে ধরে জনসংযোগ কর্মসূচি চালিয়েছে বিএনপি।
১১ মিনিট আগেলালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে আরও সাতজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ সীমান্ত দিয়ে তাঁদের ঠেলে দেওয়া হয়।
১৮ মিনিট আগে