বগুড়া প্রতিনিধি
খায়রুল ইসলাম বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সংসারের অভাব মেটাতে তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান। সেই অটোরিকশায় ফেলে যাওয়া ১৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই তরুণ।
গতকাল শুক্রবার রাতে বগুড়া সদর থানায় স্বর্ণালংকার ও টাকা মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী শাহিন হোসেন জানান, তিনি ২৯ মার্চ ব্যবসার কাজে বগুড়ায় আসেন। এখান থেকে কেনা অলংকার ও টাকা একটি কালো ব্যাগে ভরে বিকেলে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে শহরের সাতমাথা থেকে অটোরিকশায় ওঠেন। পরে বনানী এলাকায় পৌঁছে নগরবাড়ীগামী বাস দেখে দ্রুত রিকশা থেকে নেমে বাসে উঠে যান। বাসটি শাজাহানপুর এলাকায় পৌঁছালে তিনি বুঝতে পারেন, কালো ব্যাগটি তাঁর হাতে নেই।
এদিকে অটোরিকশাচালক খায়রুল ইফতার করতে শহরতলির বেতগাড়ী এলাকার বাড়িতে চলে যান। ইফতারের পর তিনি দেখেন, রিকশার আসনের পেছনে একটি কালো ব্যাগ পড়ে আছে। পরে ব্যাগ খুলে ভেতরে কিছু কাপড়ের নিচে গয়না ও টাকা দেখতে পান। এতে তিনি অবাক হয়ে ব্যাগে আর তল্লাশি চালাতে সাহস করেননি।
খায়রুল পরে এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে নিজেই কয়েক দিন ধরে মালিকের খোঁজ করতে থাকেন। শেষে না পেয়ে শুক্রবার বিকেলে পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ ব্যাগ তল্লাশি করে একটি কাগজে লেখা ফোন নম্বরের সূত্র ধরে মালিক শাহিনকে সংবাদ দেন। সংবাদ পেয়ে রাতে শাহিন বগুড়া সদর থানায় আসেন। পরে কেনার রসিদ যাচাই-বাছাই করে তাঁকে গয়না ও টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
স্বর্ণের গয়নাসহ ব্যাগ ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত শাহিন বলেন, ‘আমি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী ছিলাম। গ্রাহকদের বিশ্বস্ততায় এবং তাঁদের সহযোগিতায় কিছুদিন আগে গোপালনগর বাজারে নিজেই দোকান দিই। বিভিন্ন গ্রাহকের অর্ডার নিয়ে বগুড়া থেকে স্বর্ণ কিনে গয়না তৈরি করে সরবরাহ করে থাকি। ব্যাগ হারিয়ে ভেবেছিলাম, সব হারিয়ে ফেলেছি। ব্যাগে ২৬ লাখ টাকার গয়না ছিল। ব্যাগ ফিরে না পেলে আমি নিঃস্ব হয়ে যেতাম। অটোরিকশাচালক খায়রুলের সততা আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘খায়রুলের মতো শিক্ষার্থীরা সমাজের জন্য আশার আলো। সে শুধু সৎ নয়, দায়িত্বশীল এবং মানবিকও।’
খায়রুল ইসলাম বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সংসারের অভাব মেটাতে তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান। সেই অটোরিকশায় ফেলে যাওয়া ১৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই তরুণ।
গতকাল শুক্রবার রাতে বগুড়া সদর থানায় স্বর্ণালংকার ও টাকা মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী শাহিন হোসেন জানান, তিনি ২৯ মার্চ ব্যবসার কাজে বগুড়ায় আসেন। এখান থেকে কেনা অলংকার ও টাকা একটি কালো ব্যাগে ভরে বিকেলে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে শহরের সাতমাথা থেকে অটোরিকশায় ওঠেন। পরে বনানী এলাকায় পৌঁছে নগরবাড়ীগামী বাস দেখে দ্রুত রিকশা থেকে নেমে বাসে উঠে যান। বাসটি শাজাহানপুর এলাকায় পৌঁছালে তিনি বুঝতে পারেন, কালো ব্যাগটি তাঁর হাতে নেই।
এদিকে অটোরিকশাচালক খায়রুল ইফতার করতে শহরতলির বেতগাড়ী এলাকার বাড়িতে চলে যান। ইফতারের পর তিনি দেখেন, রিকশার আসনের পেছনে একটি কালো ব্যাগ পড়ে আছে। পরে ব্যাগ খুলে ভেতরে কিছু কাপড়ের নিচে গয়না ও টাকা দেখতে পান। এতে তিনি অবাক হয়ে ব্যাগে আর তল্লাশি চালাতে সাহস করেননি।
খায়রুল পরে এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে নিজেই কয়েক দিন ধরে মালিকের খোঁজ করতে থাকেন। শেষে না পেয়ে শুক্রবার বিকেলে পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ ব্যাগ তল্লাশি করে একটি কাগজে লেখা ফোন নম্বরের সূত্র ধরে মালিক শাহিনকে সংবাদ দেন। সংবাদ পেয়ে রাতে শাহিন বগুড়া সদর থানায় আসেন। পরে কেনার রসিদ যাচাই-বাছাই করে তাঁকে গয়না ও টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
স্বর্ণের গয়নাসহ ব্যাগ ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত শাহিন বলেন, ‘আমি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী ছিলাম। গ্রাহকদের বিশ্বস্ততায় এবং তাঁদের সহযোগিতায় কিছুদিন আগে গোপালনগর বাজারে নিজেই দোকান দিই। বিভিন্ন গ্রাহকের অর্ডার নিয়ে বগুড়া থেকে স্বর্ণ কিনে গয়না তৈরি করে সরবরাহ করে থাকি। ব্যাগ হারিয়ে ভেবেছিলাম, সব হারিয়ে ফেলেছি। ব্যাগে ২৬ লাখ টাকার গয়না ছিল। ব্যাগ ফিরে না পেলে আমি নিঃস্ব হয়ে যেতাম। অটোরিকশাচালক খায়রুলের সততা আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘খায়রুলের মতো শিক্ষার্থীরা সমাজের জন্য আশার আলো। সে শুধু সৎ নয়, দায়িত্বশীল এবং মানবিকও।’
রনির বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে। তিনি ওই ইউনিয়নের বৃহত্তর রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মৃত মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিমের ছোট ছেলে।
২ মিনিট আগেগাইবান্ধা আদালতে দুই সন্তানের জনককে শিশু পরিচয়ে ভুয়া জন্মসনদ দেখিয়ে জামিনে মুক্ত করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আদালতের নথি জালিয়াতি, আসামির পরিচয় পরিবর্তন এবং শিশু আদালতকে ভুল পথে পরিচালিত করার অভিযোগ উঠেছে। মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৫ জুলাই সেনাবাহিনীর অভিযানে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুক কান
২ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) ক্লাস আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক
১৫ মিনিট আগেপুলিশ সুপার বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরও একটি বিভাগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কাজ করছে। তবে মাদক নির্মূলের জন্য সবার সহযোগিতা জরুরি। তিনি তথ্য দিয়ে কিংবা সামাজিক প্রতিরোধের মাধ্যমে মাদক নির্মূলের আহ্বান জানান। প্রয়োজনে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সামাজিকভাবে বয়কট করার পরামর্শও দে
১৮ মিনিট আগে