Ajker Patrika

শাজাহানপুরে তালাবদ্ধ ঘরে নারীর ঝুলন্ত লাশ, স্বামী পলাতক

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি  
বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় তালাবদ্ধ ঘরে লাশ পাওয়ার খবর শুনে স্থানীয় লোকজন এসে ভিড় করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় তালাবদ্ধ ঘরে লাশ পাওয়ার খবর শুনে স্থানীয় লোকজন এসে ভিড় করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে সুমাইয়া আকতার (৩২) নামের এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে আড়িয়া ইউনিয়নের শালুকগাড়ি গ্রামে পুকুরপাড় এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, চার মাস আগে রাজু নামের এক ব্যক্তি ও সুমাইয়া স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওই বাসা ভাড়া নেন। বাড়ির মালিক ওয়াহেদ আলী। ওই দম্পতির কক্ষ বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। পুলিশ এসে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমাইয়ার লাশ পায়। তাঁর শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

জানা গেছে, সুমাইয়া উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের পারতেখুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত জাকারিয়া হোসেনের মেয়ে। স্বামী পরিচয়ে তাঁর সঙ্গে ওঠা যুবকের নাম রাজু। তিনি খড়না ইউনিয়নের ধাওয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। দম্পতি হিসেবে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করলেও সুমাইয়া উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের টিকাদারপাড়া গ্রামের বাপ্পির স্ত্রী বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে রাজু পলাতক।

বাড়ির মালিক ওয়াহেদ আলী বলেন, ‘চার মাস আগে রাজু ও সুমাইয়া স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে আমার বাসা ভাড়া নেন। তাঁদের ঠিকানা বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকায় বলে জানিয়েছিলেন। তাঁরা দুপুরে ঘুম থেকে উঠতেন। আমাদের সঙ্গে তাঁদের খুব একটা কথা হতো না। রাজু একটি মাইক্রোবাস চালাতেন বলে আমাকে বলেছিলেন। রাজুর সঙ্গে তাঁর ভাতিজা পরিচয়ে আরেক যুবক এই বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন।’

ওয়াহেদ আলী আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার সারা দিনে সুমাইয়া ঘরের দরজা খোলেননি। বারান্দার লাইট জ্বলেছিল। আজ (বুধবার) ভোরে তাঁদের বারান্দায় গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পাই। পরে সন্দেহ হলে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তাজুল ইসলামকে ফোন দিই এবং আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনি। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বাসার ভেতরে ঢুকে সুমাইয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা সুমাইয়ার ভাই বলেন, ‘সুমাইয়া বেশ কিছুদিন ধরে মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধরও করেন। সপ্তাহখানেক আগে সুমাইয়াকে আসামি করে থানায় মামলা করেছি।’

ঘটনাস্থলে আসা সুমাইয়ার স্বামী বাপ্পী বলেন, ‘সুমাইয়া আমার বাড়িতেই ছিল। আমি ঢাকায় থাকি। কোরবানির ঈদে আমরা একসঙ্গে ছিলাম।’

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না। আপাতত থানায় অপমৃত্যু মামলা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত