রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টর খেলা শেষে স্লেজিং (কটুকথা) করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শিক্ষক–শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ অন্তত ৩৪ জন আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বিকেল ৫টার দিকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় সাড়ে রাত ৮টার দিকে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাত ৯টায় জরুরি সভা ডেকে আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আগামীকাল দুই বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
আহতের সংখ্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক মাফরুহা সিদ্দিকী লিপি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’ এ ছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিক্ষকসহ অন্তত ৮ জন চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শংকর কুমার বিশ্বাস।
বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের রাউন্ড-১৬ এ মার্কেটিং বিভাগ মুখোমুখি হয় আইন বিভাগের। খেলায় ১-০ গোলে জয়ী হয় মার্কেটিং বিভাগ। খেলা চলাকালে উভয় পক্ষের দর্শকেরা স্টেডিয়ামে অবস্থান নেয়। গোল হওয়ার একপর্যায়ে উভয় পক্ষ একে-অপরকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিলে বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
খেলা শেষে স্টেডিয়াম গেটে আইন ও মার্কেটিং বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এ সময় উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। শিক্ষার্থীদের ইটের আঘাতে আহত হন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। পরে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিছু হটলে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করেন।
মিছিলের ভিডিও ধারণ করতে গেলে দৈনিক বণিক বার্তার রাবি প্রতিনিধি আবু সালেহকে মারধর করে মোবাইল ফোনের ভিডিও ডিলিট করতে বাধ্য করেন তারা। এতে তিনি আহত হন।
সন্ধ্যার দিকে লাঠিসোঁটাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের প্রধান ফটকে মার্কেটিং বিভাগ ও পেছনের ফটকে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। এতে পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ভবন ও আইন বিভাগে ভাঙচুর চালায়। পরে রাত ৮টার দিকে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
জানতে চাইলে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাঈদা আঞ্জু কথা বলতে রাজি হননি। অন্যদিকে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নুরুজ্জামানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
জরুরি সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামীকাল দুই বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সমাধানে কাল দুই বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘খেলাকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টর খেলা শেষে স্লেজিং (কটুকথা) করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শিক্ষক–শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ অন্তত ৩৪ জন আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বিকেল ৫টার দিকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় সাড়ে রাত ৮টার দিকে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাত ৯টায় জরুরি সভা ডেকে আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আগামীকাল দুই বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
আহতের সংখ্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক মাফরুহা সিদ্দিকী লিপি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’ এ ছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিক্ষকসহ অন্তত ৮ জন চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শংকর কুমার বিশ্বাস।
বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের রাউন্ড-১৬ এ মার্কেটিং বিভাগ মুখোমুখি হয় আইন বিভাগের। খেলায় ১-০ গোলে জয়ী হয় মার্কেটিং বিভাগ। খেলা চলাকালে উভয় পক্ষের দর্শকেরা স্টেডিয়ামে অবস্থান নেয়। গোল হওয়ার একপর্যায়ে উভয় পক্ষ একে-অপরকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিলে বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
খেলা শেষে স্টেডিয়াম গেটে আইন ও মার্কেটিং বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এ সময় উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। শিক্ষার্থীদের ইটের আঘাতে আহত হন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। পরে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিছু হটলে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করেন।
মিছিলের ভিডিও ধারণ করতে গেলে দৈনিক বণিক বার্তার রাবি প্রতিনিধি আবু সালেহকে মারধর করে মোবাইল ফোনের ভিডিও ডিলিট করতে বাধ্য করেন তারা। এতে তিনি আহত হন।
সন্ধ্যার দিকে লাঠিসোঁটাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের প্রধান ফটকে মার্কেটিং বিভাগ ও পেছনের ফটকে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। এতে পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ভবন ও আইন বিভাগে ভাঙচুর চালায়। পরে রাত ৮টার দিকে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
জানতে চাইলে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাঈদা আঞ্জু কথা বলতে রাজি হননি। অন্যদিকে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নুরুজ্জামানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
জরুরি সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামীকাল দুই বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সমাধানে কাল দুই বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘খেলাকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৫ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
৩০ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৫ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে