Ajker Patrika

বন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যাহত

আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বন্যার পানি। ছবি: আজকের পত্রিকা
একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বন্যার পানি। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্যাকবলিত পাঁচটি ইউনিয়নে ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের কানছিড়া জ্যাটপাড়া গ্রামের বরেন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে রয়েছে। সেখানে গত বৃহস্পতিবার থেকে পাঠদান বন্ধ রেখেছেন শিক্ষকেরা। অবশ্য গত রোববার শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ে এলেও অভিভাবকেরা শিশুশিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাতে অনাগ্রহ দেখানোয় সেদিন কোনো পাঠদান হয়নি। সেদিন থেকে পুরো প্রশাসনিক কাজ ও পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া একই ইউনিয়নের হাসানপুর লক্ষ্মীপুর পাঁকা উচ্চবিদ্যালয়ও বন্ধ দেখা গেছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় জানিয়েছে, সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতলি ইউনিয়নের ১৩টি এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, দূর্লভপুর ও উজিরপুর ইউনিয়নের ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে যাওয়ায় পুরো পাঠদান বন্ধ রেখেছে।

এদিকে জেলা শিক্ষা কার্যালয়ের তথ্যমতে, শিবগঞ্জ উপজেলার নয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চারদিকে পানি উঠে যাওয়ায় আপাতত এসব প্রতিষ্ঠানে বন্যার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বরেন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতি খাতুন বলে, পানিতে স্কুল ডুবে যাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে।

হাসানপুর লক্ষ্মীপুর পাঁকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. আসিফ বলে, ‘স্কুলের আশপাশে পানি থাকায় আমাদের বাবা-মা স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ আছে। কবে স্কুল খুলবে, স্যারেরা কিছুই বলেননি।’

জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেছের আলী জানান, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষের ভেতরে পানি ঢুকে গেছে, সেসবের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। আর কিছু প্রতিষ্ঠানের চারদিকে পানি রয়েছে। সেসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলছে। তবে তিনি বলেন, ‘কতটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, তার তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা চেষ্টা করছি, বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের কোনো বাড়ি কিংবা উঁচু স্থানে পাঠদান চালু রাখতে।’

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি উপজেলার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই সেসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত