Ajker Patrika

মামলায় কাজ বন্ধ, সেতুর সংযোগ সড়কে ভোগান্তি

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
মামলায় কাজ বন্ধ, সেতুর সংযোগ সড়কে ভোগান্তি

আদালতে মামলার কারণে নাটোরের লালপুর উপজেলা পরিষদের সংলগ্ন সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এতে উপজেলার প্রধান জেলা সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। গত রোববার সংযোগ সড়কে বালু ভর্তি একটি ট্রাকের চাকা গর্তে পড়ে আটকে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে যায় চালক ও যাত্রীরা। 

জানা যায়, উপজেলা পরিষদের সংলগ্ন এলাকায় সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করা হয়। কিন্তু সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় গোপাল চন্দ্র কুণ্ড বাধা দেন। তিনি সেখানে তার ব্যক্তিগত এক শতাংশ জমি দাবি করেন এবং গত ২৭ জুন থানায় মামলা (মামলা নম্বর-২২৬) দায়ের করেন। এ নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞার ফলে সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এতে নির্মিত নতুন সেতু ব্যবহার করতে পারছেন না চালক ও পথচারীরা। 

নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর হাবিবুল আলম চুক্তি মোতাবেক ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে লালপুর উপজেলা পরিষদের সংলগ্ন সেতুর কাজ শুরু করে। কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে। প্রাক্কলন ২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর দৈর্ঘ্য ২০ মিটার ও প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫ মিটার। সেতুর দুই পার্শ্বে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। 

ট্রাকের চালক আব্দুল বারেক জানান, ডোমার থেকে বালু ভর্তি ট্রাক নিয়ে গোপালপুরে আসছিলেন। উপজেলা পরিষদের সেতুর সংযোগ রাস্তায় হঠাৎ ট্রাকের চাকা দেবে ভোগান্তিতে পড়েন। অপর একটি ট্রাকে বালু স্থানান্তর করার পর রেহাই পান। 

পথচারী তালিমুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানান তিনি। 

জমির দাবিতে মামলাকারী গোপাল চন্দ্র বলেন, সমঝোতার মাধ্যমে আদালতে মামলার নিষ্পত্তি করা হলে রাস্তা নির্মাণে কোনো বাঁধা থাকবে না। 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তদারককারী মীর আমিরুল ইসলাম জাহান বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করা হবে। 

নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, সেতুর উত্তর পার্শ্বে এক ব্যক্তির মালিকানা সম্পত্তি দাবিতে আদালতে মামলা থাকায় সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। কাজের মেয়াদ শেষ হলেও তা বাড়ানোর জন্য ঠিকাদার আবেদন করেছেন। অনুমোদন হলে বাড়তি সময় পাবেন। অন্যথায় পূর্বের চুক্তি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত