Ajker Patrika

যে দাবিতে সড়কে দাঁড়ালেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন বর্জন

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি 
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩-এর সামনে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কে মানববন্ধন হয়। আজ শনিবার সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩-এর সামনে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কে মানববন্ধন হয়। আজ শনিবার সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হলেও এবার সব আয়োজন বর্জন করেছেন তাঁরা।

আজ সকালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩-এর সামনে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কে মানববন্ধন হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী কালো ব্যাজ পরে অংশ নেন। ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি না মানা হলে আগামীকাল রোববার থেকে উত্তরবঙ্গের সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৎকালীন জমিদারির অন্তর্গত খাসজমিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মিত হওয়ার কথা। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে কোনো অর্থই বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। পরপর সাতবার ডিপিপি সংশোধন করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমান সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতিকে বিবেচনায় রেখে সর্বশেষ ৫১৯.১৫ কোটি টাকার ডিপিপি উপস্থাপন করে। পরিকল্পনা বিভাগে গত ৭ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তা আলোচিত হয়।

বক্তারা বলেন, ওই একনেক সভায় সভাপতি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়টি কেবল স্থাপনের কথাই বলেননি, কবিগুরুর নামের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে গুণগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন আন্তর্জাতিক মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থাপিত হয়, সে ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন।

বক্তারা আরও বলেন, ওই একনেক সভার প্রায় সবাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ঐকমত্যে পৌঁছালেও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রস্তাবিত ক্যাম্পাস সরেজমিনে দেখতে চান। গত ১৬ জুন তিনি শাহজাদপুরের বুড়ি পোতাজিয়ায় গিয়ে ক্যাম্পাসের স্থান দেখে যান এবং প্রতিবেদন জমা দেন।

মানববন্ধনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, ওই প্রতিবেদনে তিনি কী লিখলেন, আমরা তা জানি না। প্রধান উপদেষ্টার ইতিবাচক মনোভাব ও উপদেষ্টা রিজওয়ানার পরিদর্শনের পর একাধিক একনেক সভা হলেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পটি অ্যাজেন্ডাভুক্ত না হওয়া দুরভিসন্ধিমূলক কি না, তা নিয়ে আশঙ্কার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। কেন বা কী কারণে এমনটি হচ্ছে, তার কোনো ব্যাখ্যাও সরকার জানায়নি। এটি কেবল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি উপেক্ষা নয়, এটি বাংলাদেশের বিপ্লবী ছাত্রসমাজের স্বার্থের প্রতি অবজ্ঞা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত