Ajker Patrika

পুঠিয়ায় প্রতীক বরাদ্দের আগেই মার্কাসহ নির্বাচনী প্রচারণা 

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৪২
পুঠিয়ায় প্রতীক বরাদ্দের আগেই মার্কাসহ নির্বাচনী প্রচারণা 

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ইউপি নির্বাচনের জন্য প্রতীক বরাদ্দ করতে আরও ছয় দিন বাকি। এরই মধ্যে আগাম মার্কাসহ নির্বাচনী পোস্টার ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছেন বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। এ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে চরম অসন্তোষ। 

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ও বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ জানুয়ারি। এর জন্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল গত ৯ ডিসেম্বর। আর যাচাইবাছাই হয়েছে ১২ ডিসেম্বর। আগামী ১৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ ডিসেম্বর। 

চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তরে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তবে তাঁরা রহস্যজনক কারণে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। 

সাদেকুল ইসলাম নামের একজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থক বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল কালাম আজাদ প্রভাব খাঁটিয়ে মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই শেষ না হতেই নির্বাচনী মার্কাসহ পোস্টার নিয়ে প্রচারণা করছেন। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। 

বানেশ্বর ইউনিয়নের একজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বলেন, এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরই মধ্যে সবাই নির্বাচনী আইন মেনে চললেও ব্যতিক্রম আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না নির্বাচনী কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে বানেশ্বর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত দলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দলের কিছু ছেলে মার্কা ঘোষণার আগেই নির্বাচনী পোস্টার ও প্রচারণা শুরু করেছেন। এরই মধ্যে কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি নির্বাচন কর্মকর্তা অবহিত করার পর আমরা দলের ছেলেদের নির্বাচনী পোস্টার মুছে দেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি। আশা করি আর এ রকম হবে না।’ 

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘মার্কা ঘোষণার আগেই সামাজিক মাধ্যমে নির্বাচনী পোস্টার ছড়িয়ে পড়েছে—এ বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। ওই প্রার্থীকে নির্বাচনী পোস্টার সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’ 

নির্বাচন কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রার্থীরা আইন ভঙ্গ করলে অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত