Ajker Patrika

প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি: শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনে জটিলতা

  • সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একসঙ্গে নিবন্ধন চলায় ওয়েবসাইটে অতিরিক্ত চাপ।
  • সার্ভারের সমস্যায় দিনের বেলায় ওয়েবসাইটে ঢুকতেই পারেননি শিক্ষকেরা।
  • নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করা যায়নি সব শিক্ষার্থীর নাম।
 রিমন রহমান, রাজশাহী
প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি: শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনে জটিলতা

প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে শিক্ষার্থীদের নাম নিবন্ধনে জটিলতার শেষ নেই। একসঙ্গে সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের নিবন্ধন চলার কারণে ওয়েবসাইটে অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। এতে সার্ভারের সমস্যার কারণে শিক্ষকেরা দিনের বেলায় ওয়েবসাইটে ঢুকতেই পারেননি। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব শিশুর নাম নিবন্ধন করা যায়নি।

শিক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজশাহীর অনেক শিশুর নাম নিবন্ধন করা সম্ভব হয়নি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। শিক্ষা কর্মকর্তাদের আশা, নিবন্ধনের জন্য আবার নতুন করে সময় দেওয়া হবে। আর সারা দিন স্কুলে ক্লাস নেওয়ার পর রাত জেগে নিবন্ধনের কাজ করানোর কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেক শিক্ষক। তাঁরা এ কাজে নানা ভোগান্তির কথাও জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ মাসের শুরুর দিকে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইনে নাম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ২৪ মে পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। তারপরও নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হয়নি। আবারও নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া না হলে বহু শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হবে।

রাজশাহী নগরের কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোহিনূর বেগম বলেন, ‘অনলাইনে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নানা রকম জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সার্ভারের জটিলতা তো আছেই, পাশাপাশি অভিভাবকেরা প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে দিতে পারছেন না। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীর নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা যায়নি।’

শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওয়েবসাইটে ঢুকে শিক্ষার্থীর নাম, শ্রেণি, রোল, শাখা, জন্মতারিখ, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, ভাইবোনের সংখ্যা, মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, তাঁদের জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর এবং মোবাইল ব্যাংকিং নগদের নম্বর দিতে হয়। এসব তথ্য দেওয়ার জন্য তিনবার ক্যাপচাও মিলিয়ে দিতে হয়। সার্ভার ঠিকমতো কাজ না করার কারণে এত কাজ শিক্ষকেরা সময়মতো করতে পারেননি বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক জানান, নিবন্ধনের কাজ করেন শ্রেণি শিক্ষক। কিন্তু ওয়েবসাইটে ঢোকার সময় প্রতিবারই প্রধান শিক্ষকের মোবাইলে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) যায়। সেটি জেনে নিয়ে শ্রেণি শিক্ষককে ওয়েবসাইটে ঢুকতে হয়। অথচ সারা দিন ওয়েবসাইটে ঢোকা যায়নি। রাতে ঢোকা গেছে। ওই রাতেই প্রধান শিক্ষককে ফোন করে ওটিপি জানতে হয়েছে। এটা তাঁদের জন্য বিড়ম্বনার।

আরেক শ্রেণি শিক্ষক জানান, ওয়েবসাইটে ঢুকে কাজ করার সময় হঠাৎ করেই আবার লগ আউট হয়ে যায়। তখন আবার প্রধান শিক্ষকের মোবাইলে ওটিপি নিয়ে ওয়েবসাইটে ঢুকতে হয়। আবার অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার সময় দুবার ক্যাপচা দিতে হয়। ওই সময়ও অটোমেটিক লগ আউট হয়ে যায়। এতে তাঁদের ভীষণ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

অফিস টাইমের বাইরে রাতবিরাতে এ কাজ করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেক শিক্ষক বলেন, ‘সারা দিনে ওয়েবসাইটে ঢোকা যায় না। আমি রাত ২টাতেই কাজ করেছি। আমি কেন রাত ২টায় এ কাজ করতে যাব? সারা দিন স্কুল করে আমারও তো ঘর-সংসার আছে। দিনের বেলায় অফিস টাইমেই কাজটা করে নিতে পারলে তাও কষ্ট মনে হতো না।’

এ বিষয়ে নগরের বোয়ালিয়া থানার শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আমার মহানগর এলাকায় ৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। নিবন্ধন কার্যক্রমে সমস্যা হয়েছে, তা জানি। কিন্তু এতে আমাদের কিছু করার নেই। এটা কেন্দ্রীয়ভাবেই অধিদপ্তর থেকে নিয়ন্ত্রণ হয়। যাদের নিবন্ধন এখনো হয়নি তাদের জন্য আবার সুযোগ দেওয়া হবে বলে আমরা আশা করছি।’

রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিবন্ধন শেষ না হওয়ার কারণে ২৪ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। তারপরও কাজ শেষ করা যায়নি সার্ভারের জটিলতার কারণে। আমরা শিক্ষকদের অনুরোধ করেছিলাম, দয়া করে আপনারা ভোরের দিকে বসেন। তাহলে সার্ভারে কাজ করা যাবে। তারপরও শেষ হয়নি। আশা করছি, অধিদপ্তর আবার নিবন্ধনের সুযোগ দেবে। তা না হলে অনেক শিশু বঞ্চিত হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, মাদকাসক্ত ছেলে আটক

পাবনা প্রতিনিধি
আটক করতে গেলে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান অভিযুক্ত ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক করতে গেলে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান অভিযুক্ত ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন বাবা নিজাম প্রামাণিক (৬০)। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজ পড়তে জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় সুযোগ বুঝে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে মোস্তফা প্রামাণিক। এমনই এক লোমহর্ষ ঘটনা ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরোনো ভাদুরডাঙ্গি গ্রামে।

গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে মোস্তফাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে তাঁকে আটক করতে গিয়ে আহত হয়েছেন সদর থানার তিন উপপরিদর্শক (এসআই)। ‎নিহত নিজাম প্রামাণিক পুরোনো ভাদুরডাঙ্গি গ্রামের মৃত ইন্তাজ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন। অভিযুক্ত ছেলে মোস্তফা ছিলেন মাদকাসক্ত।

‎পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাতের খাবার শেষে ঘরে এশার নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা নিজাম। এ সময় দরজা আটকে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর ঘর থেকে বের হন ছেলে মোস্তফা। এরপর নিজেই পাশের কক্ষ দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন তিনি। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে ঘরে গিয়ে নিজামের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর মোস্তফাকে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে পুলিশে খবর দেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এরপর মোস্তফাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

আটকের সময় অভিযুক্তের ছুরিকাঘাতে সদর থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক, এসআই জিয়াউর রহমান ও এসআই আবু রায়হান আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে এসআই জিয়াউর রহমানকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

‎নিহতের আরেক ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষে রুমে শুয়েছিলাম। এ সময় রুম আটকে নামাজরত অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে মোস্তফা। এর আগে সে আমাকেও মেহগনি ডাল দিয়ে মারাত্মক আহত করেছিল। আজকেও গামছার মধ্যে হাঁসুয়া নিয়ে আমাকে মারার জন্য মাঠের মধ্যে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে মাদকের জন্য প্রায়ই বাবা ও আমাদের কাছে টাকা চাইত। না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর চালাত। তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।’

এ বিষয়ে ‎পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, লাশ উদ্ধারের পর সোমবার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অভিযুক্ত মোস্তফাকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছেন। পরে সেই মামলায় আটক মোস্তফাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গজারিয়ায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি, ৩৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট

গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থল পরিদর্শন পুলিশের। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থল পরিদর্শন পুলিশের। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা জানান, জানালার গ্রিল কেটে একে একে ১৫ থেকে ২০ জন ডাকাত বিল্ডিংয়ে ঢোকে করে। ডাকাতদের হাতে রামদা, চায়নিজ কুড়াল, ছেনিসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। তাঁরা প্রতিটি ঘরে ঢুকে পরিবারের নারী, পুরুষ, শিশুদের অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে ঘরে রাখা টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়।

বাড়ির মালিক ফজলুল হক বলেন, ‘ডাকাত দল ঘরে ঢুকে আমার নাতির গলায় রামদা ধরে। একে একে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। আমার স্ত্রী ও তিন ছেলের বউয়ের ৩৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৯টি বিদেশি মোবাইল ফোন, কসমেটিকসসহ ঘরের মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়। এসবের বর্তমান বাজারমূল্য ৭৫ থেকে ৮০ লাখ টাকা।’

ফজলুল হকের বড় ছেলের বউ ফরিদা বলেন, বাচ্চাদের গলায় অস্ত্র ধরে রাখায় আলমারিতে রাখা স্বর্ণালংকার, টাকার পাশাপাশি, গায়ে থাকা গলার চেইন, কানের দুল, এমন কি নাকে থাকা ফুলও খুলে নিয়ে যায় ডাকাতের দল।  

ডাকাতির ঘটনায় গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জিয়া নামের এক যুবক বলেন, গ্রামে ছিঁচকে চুরির ঘটনা ঘটলেও এমন ডাকাতি এ প্রথম।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও আশপাশে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টানা বৃষ্টিতে ময়মনসিংহে ফসলের ক্ষতির শঙ্কা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের সবজিখেত। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের সবজিখেত। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের জমির কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে ধান কাটতে পারছেন না। বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ময়মনসিংহের বয়রা গ্রামের কৃষক শাম্মত আলী বলেন, ‘নভেম্বরের এ সময়ে এত বৃষ্টিপাত দেখিনি কখনো। বাড়ির সামনের ১৫ শতক জমিতে সবজির আবাদ করেছি। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে। গাছগুলো মরে যাচ্ছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপপরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, জেলার ১৩টি ‍উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ বছর ৪১ হাজার ৬৫০ হেক্টরে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; কিন্তু বৃষ্টির কারণে সরিষা আবাদ করা যাচ্ছে না। ২১ হাজার ৬০০ হেক্টরে শাকসবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হেলেও ইতিমধ্যে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। বৃষ্টিতে ধান ও সবজির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছেম তা নিরূপণ করে সহযোগিতা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শিক্ষককে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষককে খাতা ছুড়ে মারার ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া ছবি। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষককে খাতা ছুড়ে মারার ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া ছবি। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, ঘটনার সময় তাঁর মানসিক সমস্যা ছিল।

অভিযোগপত্রে অধ্যাপক সাজু সরকার উল্লেখ করেন, গত ১৫ মে বিভাগের ৫১৮ নম্বর কক্ষে ২০২১–২২ ও ২০২২–২৩ সেশনের (বিবিএ তৃতীয় ও দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ২০২৪) শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরুর আগে রোল কল নেওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, রোল কলের একপর্যায়ে ২২১২৫৩৮১৩১ নম্বর রোলধারী শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান মীমকে ডাকলে তিনি প্রথমে চুপ করে বসে থাকেন। পুনরায় ডাকলে তিনি হঠাৎ করে ব্যাগ ছুড়ে মারেন।

অধ্যাপক সাজু সরকার অভিযোগপত্রে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত মীমের বন্ধু আবিদ বিন আনাম বিষয়টিকে ‘‘জিনের আসরের সমস্যা’’ বলে দাবি করেন এবং ইউটিউব থেকে উচ্চশব্দে কিছু বাজাতে শুরু করেন। তবে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে অপমানিত করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে।’

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান মীম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমার মানসিক সমস্যা ছিল। এটি দুই-তিন মাস আগের ঘটনা। মানসিক সমস্যার কারণে এমন আচরণ করেছিলাম, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না। এখন এত দিন পর তিনি অভিযোগ করায় মনে হচ্ছে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মানহানি করতে চাইছেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি, যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী তার বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করেছে। তবে এক পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। আমরা শিক্ষার্থীর সঙ্গেও কথা বলব, এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত