রিমন রহমান, রাজশাহী
প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে শিক্ষার্থীদের নাম নিবন্ধনে জটিলতার শেষ নেই। একসঙ্গে সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের নিবন্ধন চলার কারণে ওয়েবসাইটে অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। এতে সার্ভারের সমস্যার কারণে শিক্ষকেরা দিনের বেলায় ওয়েবসাইটে ঢুকতেই পারেননি। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব শিশুর নাম নিবন্ধন করা যায়নি।
শিক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজশাহীর অনেক শিশুর নাম নিবন্ধন করা সম্ভব হয়নি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। শিক্ষা কর্মকর্তাদের আশা, নিবন্ধনের জন্য আবার নতুন করে সময় দেওয়া হবে। আর সারা দিন স্কুলে ক্লাস নেওয়ার পর রাত জেগে নিবন্ধনের কাজ করানোর কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেক শিক্ষক। তাঁরা এ কাজে নানা ভোগান্তির কথাও জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ মাসের শুরুর দিকে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইনে নাম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ২৪ মে পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। তারপরও নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হয়নি। আবারও নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া না হলে বহু শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হবে।
রাজশাহী নগরের কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোহিনূর বেগম বলেন, ‘অনলাইনে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নানা রকম জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সার্ভারের জটিলতা তো আছেই, পাশাপাশি অভিভাবকেরা প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে দিতে পারছেন না। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীর নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা যায়নি।’
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওয়েবসাইটে ঢুকে শিক্ষার্থীর নাম, শ্রেণি, রোল, শাখা, জন্মতারিখ, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, ভাইবোনের সংখ্যা, মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, তাঁদের জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর এবং মোবাইল ব্যাংকিং নগদের নম্বর দিতে হয়। এসব তথ্য দেওয়ার জন্য তিনবার ক্যাপচাও মিলিয়ে দিতে হয়। সার্ভার ঠিকমতো কাজ না করার কারণে এত কাজ শিক্ষকেরা সময়মতো করতে পারেননি বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক জানান, নিবন্ধনের কাজ করেন শ্রেণি শিক্ষক। কিন্তু ওয়েবসাইটে ঢোকার সময় প্রতিবারই প্রধান শিক্ষকের মোবাইলে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) যায়। সেটি জেনে নিয়ে শ্রেণি শিক্ষককে ওয়েবসাইটে ঢুকতে হয়। অথচ সারা দিন ওয়েবসাইটে ঢোকা যায়নি। রাতে ঢোকা গেছে। ওই রাতেই প্রধান শিক্ষককে ফোন করে ওটিপি জানতে হয়েছে। এটা তাঁদের জন্য বিড়ম্বনার।
আরেক শ্রেণি শিক্ষক জানান, ওয়েবসাইটে ঢুকে কাজ করার সময় হঠাৎ করেই আবার লগ আউট হয়ে যায়। তখন আবার প্রধান শিক্ষকের মোবাইলে ওটিপি নিয়ে ওয়েবসাইটে ঢুকতে হয়। আবার অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার সময় দুবার ক্যাপচা দিতে হয়। ওই সময়ও অটোমেটিক লগ আউট হয়ে যায়। এতে তাঁদের ভীষণ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
অফিস টাইমের বাইরে রাতবিরাতে এ কাজ করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেক শিক্ষক বলেন, ‘সারা দিনে ওয়েবসাইটে ঢোকা যায় না। আমি রাত ২টাতেই কাজ করেছি। আমি কেন রাত ২টায় এ কাজ করতে যাব? সারা দিন স্কুল করে আমারও তো ঘর-সংসার আছে। দিনের বেলায় অফিস টাইমেই কাজটা করে নিতে পারলে তাও কষ্ট মনে হতো না।’
এ বিষয়ে নগরের বোয়ালিয়া থানার শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আমার মহানগর এলাকায় ৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। নিবন্ধন কার্যক্রমে সমস্যা হয়েছে, তা জানি। কিন্তু এতে আমাদের কিছু করার নেই। এটা কেন্দ্রীয়ভাবেই অধিদপ্তর থেকে নিয়ন্ত্রণ হয়। যাদের নিবন্ধন এখনো হয়নি তাদের জন্য আবার সুযোগ দেওয়া হবে বলে আমরা আশা করছি।’
রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিবন্ধন শেষ না হওয়ার কারণে ২৪ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। তারপরও কাজ শেষ করা যায়নি সার্ভারের জটিলতার কারণে। আমরা শিক্ষকদের অনুরোধ করেছিলাম, দয়া করে আপনারা ভোরের দিকে বসেন। তাহলে সার্ভারে কাজ করা যাবে। তারপরও শেষ হয়নি। আশা করছি, অধিদপ্তর আবার নিবন্ধনের সুযোগ দেবে। তা না হলে অনেক শিশু বঞ্চিত হবে।’
প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে শিক্ষার্থীদের নাম নিবন্ধনে জটিলতার শেষ নেই। একসঙ্গে সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের নিবন্ধন চলার কারণে ওয়েবসাইটে অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। এতে সার্ভারের সমস্যার কারণে শিক্ষকেরা দিনের বেলায় ওয়েবসাইটে ঢুকতেই পারেননি। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব শিশুর নাম নিবন্ধন করা যায়নি।
শিক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজশাহীর অনেক শিশুর নাম নিবন্ধন করা সম্ভব হয়নি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। শিক্ষা কর্মকর্তাদের আশা, নিবন্ধনের জন্য আবার নতুন করে সময় দেওয়া হবে। আর সারা দিন স্কুলে ক্লাস নেওয়ার পর রাত জেগে নিবন্ধনের কাজ করানোর কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেক শিক্ষক। তাঁরা এ কাজে নানা ভোগান্তির কথাও জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ মাসের শুরুর দিকে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইনে নাম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ২৪ মে পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। তারপরও নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হয়নি। আবারও নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া না হলে বহু শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হবে।
রাজশাহী নগরের কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোহিনূর বেগম বলেন, ‘অনলাইনে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নানা রকম জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সার্ভারের জটিলতা তো আছেই, পাশাপাশি অভিভাবকেরা প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে দিতে পারছেন না। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীর নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা যায়নি।’
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওয়েবসাইটে ঢুকে শিক্ষার্থীর নাম, শ্রেণি, রোল, শাখা, জন্মতারিখ, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, ভাইবোনের সংখ্যা, মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, তাঁদের জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর এবং মোবাইল ব্যাংকিং নগদের নম্বর দিতে হয়। এসব তথ্য দেওয়ার জন্য তিনবার ক্যাপচাও মিলিয়ে দিতে হয়। সার্ভার ঠিকমতো কাজ না করার কারণে এত কাজ শিক্ষকেরা সময়মতো করতে পারেননি বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক জানান, নিবন্ধনের কাজ করেন শ্রেণি শিক্ষক। কিন্তু ওয়েবসাইটে ঢোকার সময় প্রতিবারই প্রধান শিক্ষকের মোবাইলে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) যায়। সেটি জেনে নিয়ে শ্রেণি শিক্ষককে ওয়েবসাইটে ঢুকতে হয়। অথচ সারা দিন ওয়েবসাইটে ঢোকা যায়নি। রাতে ঢোকা গেছে। ওই রাতেই প্রধান শিক্ষককে ফোন করে ওটিপি জানতে হয়েছে। এটা তাঁদের জন্য বিড়ম্বনার।
আরেক শ্রেণি শিক্ষক জানান, ওয়েবসাইটে ঢুকে কাজ করার সময় হঠাৎ করেই আবার লগ আউট হয়ে যায়। তখন আবার প্রধান শিক্ষকের মোবাইলে ওটিপি নিয়ে ওয়েবসাইটে ঢুকতে হয়। আবার অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার সময় দুবার ক্যাপচা দিতে হয়। ওই সময়ও অটোমেটিক লগ আউট হয়ে যায়। এতে তাঁদের ভীষণ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
অফিস টাইমের বাইরে রাতবিরাতে এ কাজ করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেক শিক্ষক বলেন, ‘সারা দিনে ওয়েবসাইটে ঢোকা যায় না। আমি রাত ২টাতেই কাজ করেছি। আমি কেন রাত ২টায় এ কাজ করতে যাব? সারা দিন স্কুল করে আমারও তো ঘর-সংসার আছে। দিনের বেলায় অফিস টাইমেই কাজটা করে নিতে পারলে তাও কষ্ট মনে হতো না।’
এ বিষয়ে নগরের বোয়ালিয়া থানার শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আমার মহানগর এলাকায় ৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। নিবন্ধন কার্যক্রমে সমস্যা হয়েছে, তা জানি। কিন্তু এতে আমাদের কিছু করার নেই। এটা কেন্দ্রীয়ভাবেই অধিদপ্তর থেকে নিয়ন্ত্রণ হয়। যাদের নিবন্ধন এখনো হয়নি তাদের জন্য আবার সুযোগ দেওয়া হবে বলে আমরা আশা করছি।’
রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিবন্ধন শেষ না হওয়ার কারণে ২৪ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। তারপরও কাজ শেষ করা যায়নি সার্ভারের জটিলতার কারণে। আমরা শিক্ষকদের অনুরোধ করেছিলাম, দয়া করে আপনারা ভোরের দিকে বসেন। তাহলে সার্ভারে কাজ করা যাবে। তারপরও শেষ হয়নি। আশা করছি, অধিদপ্তর আবার নিবন্ধনের সুযোগ দেবে। তা না হলে অনেক শিশু বঞ্চিত হবে।’
ঢাকার আশুলিয়ায় উল্টো পথে চলা একটি অটোরিকশা লরির নিচে চাপা পড়ে নারী ও শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহতরা হলেন আলতাফ (৫০), নূরজাহান (২৪) ও শিশু আব্দুল্লাহ (৪)। দুর্ঘটনাটি ঘটে রোববার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে।
১ ঘণ্টা আগেপৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যকুল সরদারপাড়ায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে, তলিয়ে গেছে চলাচলের একমাত্র পথ। ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া খ্রিষ্টান মিশনের পাশের সড়কেও পানি উঠে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেপার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট কূটনীতিক সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘আজকের এই কৃষি যন্ত্রপাতি হস্তান্তর শুধু যন্ত্র সরবরাহ নয়, এটি রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সমতল হোক কিংবা পাহাড়—কোথাও খাদ্যঘাটতির জায়গা থাকবে না।’
১ ঘণ্টা আগেগত বছর ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামের মিরাজ। তিনি ছিলেন মৃত আব্দুস ছালামের বড় ছেলে। মাত্র ৫ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করার ইচ্ছে ছিল তাঁদের। কিন্তু প্রতিবেশী দুলাল মণ্ডল দলিল থাকা সত্ত্বেও জমিটি দখলে নিতে দেননি।
২ ঘণ্টা আগে