Ajker Patrika

‘শিশুদের ৯০ শতাংশ ক্যানসার নিরাময়যোগ্য’

পাবনা প্রতিনিধি
সেমিনারে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন উপাচার্য। আজ সোমবার দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সেমিনারে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন উপাচার্য। আজ সোমবার দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা

পৃথিবীতে প্রতিবছর দুই কোটি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয় এবং এর মধ্যে এক কোটি মানুষ মারা যায়। প্রাথমিক অবস্থায় দ্রুত রোগ নির্ণয় করতে হবে এবং সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা দিতে হবে। অনেক অসুখের মতো ক্যানসারকেও একটি অসুখ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এ রোগ ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের ওপর প্রভাব ফেলে। শিশুদের ৯০ শতাংশ ক্যানসার নিরাময়যোগ্য। একজন ব্যক্তি প্রতিদিন টানা ৪০ মিনিট হাঁটলে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যানসার সচেতনতাবিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান বক্তার বক্তব্যে ক্যানসার এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ইন বাংলাদেশের পরিচালক ড. মুস্তাক ইবনে আইয়ুব এসব কথা বলেন। ইউনেসকো ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে পাবিপ্রবির ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের উদ্যোগে আজ সোমবার দুপুরে কনভেনশন হলে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারের শিরোনাম ছিল ‘আউটস্ট্যান্ডিং দ্য গ্যাপস্ ইন ক্যানসার এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ফাইন্ডিং প্রসপেকটিভ সলিউশনস: এ স্পেশাল এম্ফাসিস অন স্টিগমাস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অ্যামং উইমেন’।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান। প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ক্যানসার এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ইন বাংলাদেশের পরিচালক ড. মুস্তাক ইবনে আইয়ুব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘একজন ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিবারকেও অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয়। আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। খাবারের কারণে বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। আমাদের পূর্বপুরুষেরা ভেজালমুক্ত খাবার খেতেন, সে জন্য তাঁদের রোগও কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে মানুষের ভেজাল খাবারের কারণে রোগও বেশি হচ্ছে। সচেতনতা অবলম্বন করে রোগ প্রতিরোধ করতে হবে।’

এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন ও অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রশিদ। সভাপতিত্ব করেন ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাশেদুল হক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সেমিনারে অংশ নেন। সঞ্চালনা করেন আইসিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তরুন দেবনাথ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবিতে ‘তুর্কি এনজিও সমর্থিত’ সংগঠনের ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ মানচিত্রে ভারতের অংশ, বললেন জয়শঙ্কর

কালো জাদুর অভিযোগে মবের তাণ্ডব, এক পরিবারে পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

অদৃশ্য শর্তে বাংলাদেশের জন্য ট্রাম্পের ১৫% শুল্ক ছাড়

নারী আসন নিয়ে সিদ্ধান্ত হচ্ছে নারীদের ছাড়াই

সাপের বিষে তৈরি যে মদ পাওয়া যায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত