Ajker Patrika

রাজশাহীর দুটি সড়ক

সংস্কারে পুরোনো ইট-খোয়া

  • সড়ক দুটি সংস্কারে বরাদ্দ ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
  • পুরোনো উপকরণ ব্যবহার করায় ক্ষোভ স্থানীয়দের।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
সংস্কারের জন্য খোঁড়া হয়েছে সড়ক। কিন্তু পুরোনো উপকরণ সরানো হয়নি। সংস্কারে ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোও। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল রাজশাহী মহানগরীর চকপাড়া এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংস্কারের জন্য খোঁড়া হয়েছে সড়ক। কিন্তু পুরোনো উপকরণ সরানো হয়নি। সংস্কারে ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোও। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল রাজশাহী মহানগরীর চকপাড়া এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী।

বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় লোকাল গভর্নমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স ও রিকভারি (এলজিসিআরআরপি) প্রকল্পের আওতায় একই প্যাকেজে সড়ক দুটির সংস্কার হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে কাজ করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। সিটি করপোরেশন ওই প্রকল্প থেকে মোট ৫৩ কোটি টাকা পেয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভদ্রা জামালপুর এলাকা থেকে চকপাড়া পর্যন্ত ১ হাজার ৫০ মিটার এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডের হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক এমপি ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া ৩০০ মিটার সড়ক রয়েছে। জামালপুর-চকপাড়া সড়কের পাশে ৩০০ মিটার ড্রেন সংস্কারও রয়েছে এই প্যাকেজে। যৌথভাবে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গোলাম সারোয়ার ও আল হাদি ট্রেডার্স।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার ভদ্রা জামালপুর-চকপাড়া সড়কে গিয়ে দেখা যায়, পুরো সড়কেই রয়েছে আগের পুরোনো খোয়া এবং কার্পেটিং। তার ওপরই নতুন করে কার্পেটিং করার প্রস্তুতি চলছে। সড়ক ভেঙে যাওয়া রোধে দুই পাশে একটি করে ইট দেওয়া হচ্ছে। এসব ইটের বেশির ভাগই পুরোনো। মাঝে মাঝে কয়েকটি করে নতুন ইট দেখা গেছে।

ভদ্রা এলাকার বাসিন্দা সুজন আলী বলেন, ‘১০-১২ দিন ধরে রাস্তার কাজ চলছে। সাইডে দেখছি পুরোনো ইট দিচ্ছে। রাস্তার আগের কার্পেটিং এবং খোয়াও রেখে দিচ্ছে। এসব খোয়া তো নিম্নমানের। এসব দিয়ে কাজ করলে রাস্তা টিকবে না।’

নগরের হড়গ্রাম এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই সড়কটিও খোঁড়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সড়কটি ভালোই ছিল। তারপরও সংস্কারের নামে খোঁড়া হয়েছে। এতে তাঁদের চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। শুধু অর্থ লোপাট করতে ভালো সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের।

রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আহমদ আল মঈন জনসংযোগ শাখার মাধ্যমে পাঠানো লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ‘হড়গ্রামের রাস্তার জন্য পরিকল্পনা স্থায়ী কমিটিতে অনুমোদন এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ সাপেক্ষে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’ জামালপুরের রাস্তার ব্যাপারে তিনি বলেন, রাস্তাটির কার্পেটিং তুলে নতুন এজিং ও বেড প্রস্তুত করা হচ্ছে। এজিং সম্পন্ন হলে ব্ল্যাক টপ রাস্তায় ফেলে রোল করা হবে। এরপর নতুন খোয়া ফেলে নিয়ম অনুযায়ী কার্পেটিং করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘এটা ঠিকাদার পারেন না। আমি এটা দেখব।’ এখনো কাজ পরিদর্শন করতে না যাওয়ার ব্যাপারে সুব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘আমি কাজ শুরুর দিকে একবার গিয়েছিলাম। আর যাওয়া লাগে না। যখন কার্পেটিং হবে, তখন আবার আমি থাকব। এখন অন্যরা আছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাপুড়ের রক্তে তৈরি হলো বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর অ্যান্টিভেনম

পাথরঘাটায় তিন শিক্ষকের ওপর হামলার‌ অভিযোগ শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে

সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দেখলেই পুলিশে সোপর্দ করবেন: সামান্তা

কুষ্টিয়ায় দুই পুলিশকে আসামির হাতুড়িপেটা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত