Ajker Patrika

বসা নিয়ে আ.লীগের সংঘর্ষের পর সমাবেশ, তবুও আসন পেলেন না নারী এমপি ও মেয়র

নাটোর প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ মে ২০২৩, ১৮: ৫৭
বসা নিয়ে আ.লীগের সংঘর্ষের পর সমাবেশ, তবুও আসন পেলেন না নারী এমপি ও মেয়র

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্মার্ট কর্নার উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় চেয়ার না পেয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর পুনরায় সমাবেশ শুরু হলেও সেখানে আসন না পেয়ে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে অংশ নিয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ ও নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরি।

আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

আজ মঙ্গলবার বেলা ২টায় জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ের চত্বরে স্মার্ট কর্নার উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে। 

এমপি রত্না আহমেদ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মেয়র উমা চৌধুরি জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টায় সভামঞ্চে বক্তব্য শুরু করেন কবির বিন আনোয়ার। এর কিছু পরই চেয়ারে বসা নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলাকালে কবির বিন আনোয়ার চার সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে কার্যালয়সংলগ্ন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মালেক শেখের অফিসে অবস্থান নেন। 

সভায় বক্তব্য চলাকালীন চেয়ারে বসা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়এদিকে সংঘর্ষ থামার পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আবার সভা শুরু হয়। এরপর তাঁরা বেরিয়ে এসে সভায় অংশ নেন।  ছড়িয়ে থাকা কর্মীরা কার্যালয়ে প্রবেশ করলে বক্তব্য শুরু করেন কবির বিন আনোয়ার। কিন্তু ততক্ষণে সকল খালি চেয়ারে বসে পড়েছেন কর্মীরা। মালেক শেখের অফিস থেকে বেরিয়ে এমপি রত্না ও মেয়র উমা বসার জন্য চেয়ার খুঁজতে থাকেন। চেয়ার না পেয়ে কার্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে যান তাঁরা। প্রায় আধঘণ্টা সময় তাঁরা দাঁড়িয়ে সভায় অংশ নেন। এ সময় তাঁদের আশপাশে থাকা কেউ নিজেদের চেয়ার ছেড়ে তাঁদের বসতে দেননি। সভামঞ্চে বসে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এমপি, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলসহ জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির নেতারা, সাত উপজেলা ও আট পৌর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। 

দাঁড়িয়ে থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সভা শেষে নারী সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে বলার কিছু নেই। কী বলব বলেন! দলের সকল প্রোগ্রামেও কি আমাকে ডাকা হয়?’ এই মন্তব্য করে তিনি কার্যালয় ছেড়ে চলে যান। 

এ বিষয়ে পৌর মেয়র উমা চৌধুরি বলেন, ‘ক্ষমতা ভাগাভাগির রাজনীতি করি না, রাজনীতি করি শেখ হাসিনার। যেখানে একজন সংসদ সদস্যকে বসতে দিয়ে সম্মান জানানো হয় না, সেখানে আমি মেয়র আমাকে কেন ওরা বসতে দেবে।’ 

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মালেক শেখ বলেন, ‘এটা ভুল হয়েছে। যেহেতু একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে, সেহেতু হয়তো কারও তাঁদের দিকে মনোযোগ ছিল না। আমরাও চিন্তিত ছিলাম আবারও সন্ত্রাসীরা কার্যালয়ে ঢুকে হামলা করে কি না। ভবিষ্যতে আমরা এ ধরনের ঘটনা (দাঁড়িয়ে থাকা) যাতে না ঘটে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত