Ajker Patrika

গুরুদাসপুরের সেই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার

নাটোর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২২, ১২: ৪৩
গুরুদাসপুরের সেই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার

নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্র মো. মামুন হোসেনকে (২২) বিয়ের আট মাসের মাথায় কলেজশিক্ষক খাইরুন নাহারের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

আজ রোববার সকাল ৭টার দিকে কলেজশিক্ষক খাইরুন নাহারের মরদেহ শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এটি হত্যা না আত্মহত্যা, এ ব্যাপারে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা আজকের পত্রিকা বলেন, ‘এই দম্পতির খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়। এই সমালোচনার কারণেই খাইরুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটির তদন্ত করছে। ’

নবদম্পতি খাইরুন নাহার (৪৫) ও মো. মামুন হোসেন (২২)।এলাকাবাসী মামুনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সকালে ফজরের নামাজ পড়ে মামুন বাড়িতে ঢুকে দরজায় নক করেন। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ভেতরে এসে দেখেন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন খাইরুন নাহার।

ভাড়া বাসার দারোয়ান নিজাম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাত ১১টায় বাসায় ঢোকেন মামুন। আবার আড়াইটার দিকে বের হন। এ সময় কেন বের হচ্ছে জানতে চাইলে মামুন বলেন, ওষুধ কিনতে যাচ্ছেন। পরে সকাল ৬টায় মামুন আবার ফিরে আসেন। এরপর তিনি আমাকে ডাকেন। আমি চারতলায় গিয়ে দেখি লাশ সিলিং ফ্যান থেকে নামানো।’

এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজি অফিসে গিয়ে কলেজশিক্ষক খাইরুন নাহার ও ছাত্র মো. মামুন হোসেন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষ দিকে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। জানাজানি হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

খাইরুন নাহার গুরুদাসপুরের খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত