Ajker Patrika

জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আ. লীগ কর্মী নিহত

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আ. লীগ কর্মী নিহত

বগুড়ার শিবগঞ্জে দোকান দখল করা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। গতকাল রোববার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের খেউনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত আওয়ামী লীগ কর্মীর নাম বজলুর রশিদ ওরফে বুলু মিয়া (৪৮)। তিনি মাঝিহট্ট ইউনিয়নের খেউনি বিন্নাচাপড় গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য।

জানা গেছে, খেউনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সোয়া শতাংশ জায়গা নিয়ে একই এলাকার রঞ্জুর সঙ্গে হাফিজারের বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য রঞ্জু ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠকও হয়। বৈঠকে রঞ্জুর দলিল পরে হওয়ায় চেয়ারম্যান তাঁকে দখলে যেতে নিষেধ করেন। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করে দিতে চান ইউপি চেয়ারম্যান।

এরই মধ্যে গত শুক্রবার মাঝিহট্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুর সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে হাফিজারের দোকান ঘর ভাঙচুর করে রঞ্জুকে দখল করে দেন। এরপর থেকেই সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

রোববার বেলা ১২টার দিকে রঞ্জুর দখল করা দোকান ঘর উচ্ছেদ করতে যান প্রতিপক্ষের লোকজন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে বজলুর রশিদ বুলু মিয়া (৪৮), তাঁর ছেলে মিনহাজ (২৪), সাইফুল ইসলাম (৩২) ও দুদু মিয়াকে (৩২) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টার মারা যান আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রশিদ বুলু মিয়া।

মাঝিহট্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসকেন্দার আলী সাহানা বলেন, দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলি। কিন্তু শুক্রবার আওয়ামী লীগ নেতা গফুর মাঝিহট্ট ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই নাসিরকে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতেই হাফিজারের দোকান ঘর ভাঙচুর করে রঞ্জুকে দখল করে দেন। এ নিয়ে রোববার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বুলু মিয়া মারা যান।

মাঝিহট্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুর বলেন, ‘আমি কোনো দখলের সঙ্গে জড়িত নই। নিহত বুলু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য।’

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের মধ্যে পূর্বশত্রুতা ছিল। শনিবার দুপুরে ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে সংঘর্ষের খবর শুনে সেখানে এসআই মিজানকে পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। মামলাও করেননি কেউ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত