Ajker Patrika

নওগাঁর মহাদেবপুর

সাড়ে ১০ কোটির সাইলো নির্মাণকাজ অনিশ্চিত

  • খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় প্রকল্প বাস্তবায়নে।
  • তিন বছরে শুধু জমি অধিগ্রহণ ও মাটি ভরাটের আংশিক কাজ হয়েছে।
  • আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পলাতক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন।
বদলগাছী (নওগাঁ) সংবাদদাতা
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০৮: ৫৭
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর এলাকায় আধুনিক সাইলো নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি। ছবি: আজকের পত্রিকা
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর এলাকায় আধুনিক সাইলো নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি। ছবি: আজকের পত্রিকা

উত্তরাঞ্চলের খাদ্যশস্যসমৃদ্ধ অন্যতম জেলা নওগাঁ। কৃষকদের সুবিধার্থে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর এলাকায় আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার (সাইলো) নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৫ একর জায়গা নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু তিন বছর আগে জমি অধিগ্রহণ ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে থমকে আছে কাজ। এরই মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঠিকাদার গা ঢাকা দিয়েছেন। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

জানা গেছে, ২০২২ সালের মাঝামাঝি ভীমপুর এলাকায় ১০ কোটি ৫৬ লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দে আধুনিক সাইলো নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর মধ্যে শুধু মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সাইলোর ধারণ ক্ষমতা ৪৮ হাজার টন। এটি নির্মাণে কার্যাদেশ পেয়েছে ঢাকার মেসার্স চন্দ্রদ্বীপ কনস্ট্রাকশন, রাজশাহীর মেসার্স ডন এন্টারপ্রাইজ ও নওগাঁর মেসার্স ইথেন এন্টারপ্রাইজ। শুরুতে দ্রুতগতিতে কাজ চললেও অল্প কিছু দিনের মধ্যে থমকে যায় সবকিছু। প্রকল্পের নির্ধারিত জমি ফাঁকা পড়ে আছে। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভূমি উন্নয়নকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর ঠিকাদারেরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, প্রকল্পের নির্ধারিত স্থানে মাটি ভরাটের কাজ বাকি। কোথাও আগাছা জন্মে আছে। নির্মাণকাজের কোনো চিহ্ন নেই। কোনো শ্রমিক বা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানেরও কাউকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় কৃষক আরমান হোসেন বলেন, ‘সাইলো যদি চালু হতো, তাহলে আমরা ফড়িয়াদের কাছে ধান বিক্রি না করে ভালো দামে সরকারকে দিতে পারতাম।’

মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুজ্জামান বলেন, ‘প্রকল্পটির বর্তমান কোনো আপডেট জানা নেই। আমি আসার পর থেকেই কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে কী কারণে কাজ বন্ধ হয়ে আছে, আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জানাতে পারব।’

নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার বলেন, ‘মাটি ভরাটের ঠিকাদার গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পালিয়েছেন। আপাতত ওই জায়গায় দেয়াল নির্মাণ করে কিছু গাছ লাগানো হবে। এরপর এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। তা ছাড়া এটা একটা প্রকল্পের কাজ; যা ঢাকা থেকে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুলিশের তিন পদে অতিরিক্ত: তিনজনে একজন বাড়তি

ট্রেনের কেবিনের বালিশ, চাদর, কম্বলের ভাড়া দ্বিগুণ করার চিন্তা

ভারতে পোশাকের অর্ডার স্থগিত করছে মার্কিন ক্রেতারা, বাংলাদেশ-ভিয়েতনামে কারখানা স্থানান্তরের পরামর্শ

মোবাইল-টাকা ছিনতাইয়ের পর দুই তরুণীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

ডোপ টেস্টে পজিটিভ, চবিতে শিক্ষকতা থেকে বাদ দুই প্রার্থী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত