নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
‘প্রতিদিন বাবা ২০ টাকা দিলে স্কুলে যাওয়া হতো, না দিলে কোনো দিন পায়ে হেঁটে যেতাম আবার কোনো দিন স্কুলে যেতে পারতাম না। স্কুলে যেতে না পারলে খুব খারাপ লাগত। বাবা কৃষি কাজ করে কোনোরকমে সংসার পরিচালনা করেন। সেখান থেকেই আমাকে স্কুলের খরচ দিতেন বাবা। কিছু সময় আমিও মাঠে কাজ করি। ধান লাগিয়ে, মাড়াই করে, আগাছা পরিষ্কার করে যে টাকা পাই তা দিয়ে আমার পড়াশোনার কাজে লাগাতাম।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের সাইকেল নিতে এসে এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করছিলেন নওগাঁ জেলার ভবানীপুর গার্লস স্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মলিনা হাঁসদা (১৩)। মলিনা হাঁসদা উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ভাবিচা জাবড়িপাড়া গ্রামের লক্ষ্মণ হাঁসদার মেয়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৮০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে সাইকেল বিতরণ করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সাইকেল নিতে আসা মলিনা হাঁসদা জানান, তাঁর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল একটি নিজের সাইকেলের। সেই সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাবে। কিন্তু পারিবারিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় তাঁর স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। নিজের গ্রামে স্কুল না থাকায় দুই কিলোমিটার দূরে ভবানীপুর গার্লস স্কুলে যেতে হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গ্রামে ভালো রাস্তা নেই, কাঁচা রাস্তা। বর্ষার সময় সেই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তখন জমির আইল দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। এখন প্রধানমন্ত্রী সাইকেল দিছে, স্কুলোত যাইতে আমাঘরে আর সমস্যা হবে না।’
মেলিনার বাবা লক্ষ্মণ হাঁসদা বলেন, ‘অভাবের তাড়নায় মেয়েটিকে এত দিন সাইকেল কিনে দিতে পারিনি। কাজ না থাকলে মেয়েটিকে যাতায়াত ভাড়া দিতে পারতাম না। তখন খুব খারাপ লাগত। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সাইকেল পেয়ে মেয়েটি বেজায় খুশি। নিজে কিনে না দিতে পারলেও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি তিনি যেন অনেক দিন বেঁচে থাকেন।’
শিক্ষার্থীদের সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল মানুষের কথা চিন্তা করেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।’
এ সময় সাইকেল পাওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা সঠিকভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাও, তোমাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।’
‘প্রতিদিন বাবা ২০ টাকা দিলে স্কুলে যাওয়া হতো, না দিলে কোনো দিন পায়ে হেঁটে যেতাম আবার কোনো দিন স্কুলে যেতে পারতাম না। স্কুলে যেতে না পারলে খুব খারাপ লাগত। বাবা কৃষি কাজ করে কোনোরকমে সংসার পরিচালনা করেন। সেখান থেকেই আমাকে স্কুলের খরচ দিতেন বাবা। কিছু সময় আমিও মাঠে কাজ করি। ধান লাগিয়ে, মাড়াই করে, আগাছা পরিষ্কার করে যে টাকা পাই তা দিয়ে আমার পড়াশোনার কাজে লাগাতাম।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের সাইকেল নিতে এসে এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করছিলেন নওগাঁ জেলার ভবানীপুর গার্লস স্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মলিনা হাঁসদা (১৩)। মলিনা হাঁসদা উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ভাবিচা জাবড়িপাড়া গ্রামের লক্ষ্মণ হাঁসদার মেয়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৮০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে সাইকেল বিতরণ করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সাইকেল নিতে আসা মলিনা হাঁসদা জানান, তাঁর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল একটি নিজের সাইকেলের। সেই সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাবে। কিন্তু পারিবারিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় তাঁর স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। নিজের গ্রামে স্কুল না থাকায় দুই কিলোমিটার দূরে ভবানীপুর গার্লস স্কুলে যেতে হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গ্রামে ভালো রাস্তা নেই, কাঁচা রাস্তা। বর্ষার সময় সেই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তখন জমির আইল দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। এখন প্রধানমন্ত্রী সাইকেল দিছে, স্কুলোত যাইতে আমাঘরে আর সমস্যা হবে না।’
মেলিনার বাবা লক্ষ্মণ হাঁসদা বলেন, ‘অভাবের তাড়নায় মেয়েটিকে এত দিন সাইকেল কিনে দিতে পারিনি। কাজ না থাকলে মেয়েটিকে যাতায়াত ভাড়া দিতে পারতাম না। তখন খুব খারাপ লাগত। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সাইকেল পেয়ে মেয়েটি বেজায় খুশি। নিজে কিনে না দিতে পারলেও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি তিনি যেন অনেক দিন বেঁচে থাকেন।’
শিক্ষার্থীদের সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল মানুষের কথা চিন্তা করেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।’
এ সময় সাইকেল পাওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা সঠিকভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাও, তোমাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।’
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
৯ মিনিট আগেরাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
৩ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের শিবচরে নিজের ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে আড়িয়াল খাঁ নদে ফেলে দিয়েছেন এক মা। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের হাজি শরীয়তুল্লাহ সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী ছেলের বোঝা বইতে না পেরে ছেলেকে নদে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই নারী।
৪ ঘণ্টা আগে