রিমন রহমান, রাজশাহী
আনোয়ার, চয়ন, বাবুল, ময়নালেরা স্বপ্ন দেখেছিলেন—এবার তাঁদের জমিতে বাতাসে দোল খাবে সোনালি ধান। কিন্তু তাঁদের স্বপ্নগুলো এবার ধূসর হতে বসেছে। কারণ, গভীর নলকূপ পরিচালনা কমিটির প্রভাবশালী সভাপতি তাঁদের সেচের পানি দিতে চান না—এমন অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায়।
দুর্গাপুর পৌরসভার রইপাড়া সরকারপাড়া মাঠে তাঁদের জমি। এই মাঠে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ আছে। এর আওতায় ১৫০ বিঘা বোরো ধানের জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু চাষ হতো ১০০ বিঘার মতো। এরই মধ্যে বেশ কিছু জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। তাই বোরো ধানের জমি কমেছে। এ অবস্থায় আবাদ বাড়াতে সম্প্রতি বিএমডিএ গভীর নলকূপ থেকে মাটির নিচ দিয়ে নালা সম্প্রসারণ করেছে। এখন আরও প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব।
কিন্তু বেঁকে বসেছেন গভীর নলকূপ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আলাউদ্দিন। নতুন জমিতে তিনি সেচ দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। অথচ এবার গভীর নলকূপের পানিতে বোরো ধানের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এই কৃষকেরা। তাঁরা বোরো ধানের চারাও তৈরি করেছেন। জমিতে লাগাতে কেউ কেউ চারা তুলেও ফেলেছেন। এখন জমিতে পানি পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী কৃষকদের পক্ষ থেকে বিএমডিএর দুর্গাপুর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তার পরও দুই দিনে বিষয়টির সুরাহা হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চাষিরা পানি পাননি।
মাঠের কৃষকেরা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপ থেকে জমি পর্যন্ত নালা ছিল না বলে এত দিন তাঁরা বোরো ধান চাষ করতে পারতেন না। শাক-সবজি চাষ করতেন দূর থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি এনে। এভাবে ধান চাষ সম্ভব নয়। এবার তাঁদের পানি দেওয়ার কথা বলে নালা সম্প্রসারণ করা হয়। এর জন্য কৃষকেরা ২০ হাজার টাকাও দিয়েছেন। কিন্তু নালার কাজ শেষে এখন গভীর নলকূপের অপারেটর বুদন আলী ও সভাপতি আলাউদ্দিন পানি দিতে চাইছেন না।
মাঠে ১৫ কাঠা জমি আছে কৃষক শাহাদ আলীর। তিনি বলেন, ‘আমার আর অন্য কোথাও কোনো জমি নাই। এটুকুই জমি, সেখানে এত দিন ধান হয়নি পানির অভাবে। শুধু শাক-সবজি করেছি। এখনো পেঁয়াজ আছে। কদিনের মধ্যে পেঁয়াজ উঠবে। তারপর ধান করব ভেবেছিলাম। আশা ছিল এবার কিছুদিন ঘরের ধানের ভাত খাব। কিন্তু এখন তো পানিই দিতে চাইছে না।’
স্কুলশিক্ষক হাফিজুর রহমানের দুই বিঘা জমি আছে এলাকায়। তিনি বলেন, ‘প্রায় ৫০ জন কৃষকের ৫০ বিঘা জমিকে ধান চাষের আওতায় আনতেই নতুন করে প্রায় ২০০ ফুট নালা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এখন এই ৫০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু কমিটির সভাপতি পানি দিতে চাইছেন না। কেন পানি দেবেন না, সেটাও তিনি বলছেন না।’
অভিযোগ অস্বীকার করে সভাপতি মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘পানি দেওয়া হবে না, তা ঠিক না। পানি দেওয়া হবে। এত দিন ডিপ (গভীর নলকূপ) বন্ধ ছিল। আজকেই ডিপ চালু করা হয়েছে। নতুন আরও ৫০ বিঘা জমিতে ধানখেতে পানি দেওয়ার সক্ষমতা এই ডিপের আছে। পানি দেওয়া হবে। কিন্তু কোন কৃষক অভিযোগ করেছেন, তা আমি জানি না।’
বিএমডিএর দুর্গাপুর কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী আজমল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন জমিতে সেচ দেওয়ার জন্যই নালা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কিন্তু ওখানে সভাপতির সঙ্গে কোনো কৃষকের হয়তো ব্যক্তিগত বিরোধ আছে। সে জন্য তিনি পানি দেননি। কিন্তু পানি না দিয়ে উপায় নেই। একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, আমি লোক পাঠিয়ে সমস্যার সমাধান করে দেব।’
আনোয়ার, চয়ন, বাবুল, ময়নালেরা স্বপ্ন দেখেছিলেন—এবার তাঁদের জমিতে বাতাসে দোল খাবে সোনালি ধান। কিন্তু তাঁদের স্বপ্নগুলো এবার ধূসর হতে বসেছে। কারণ, গভীর নলকূপ পরিচালনা কমিটির প্রভাবশালী সভাপতি তাঁদের সেচের পানি দিতে চান না—এমন অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায়।
দুর্গাপুর পৌরসভার রইপাড়া সরকারপাড়া মাঠে তাঁদের জমি। এই মাঠে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ আছে। এর আওতায় ১৫০ বিঘা বোরো ধানের জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু চাষ হতো ১০০ বিঘার মতো। এরই মধ্যে বেশ কিছু জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। তাই বোরো ধানের জমি কমেছে। এ অবস্থায় আবাদ বাড়াতে সম্প্রতি বিএমডিএ গভীর নলকূপ থেকে মাটির নিচ দিয়ে নালা সম্প্রসারণ করেছে। এখন আরও প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব।
কিন্তু বেঁকে বসেছেন গভীর নলকূপ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আলাউদ্দিন। নতুন জমিতে তিনি সেচ দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। অথচ এবার গভীর নলকূপের পানিতে বোরো ধানের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এই কৃষকেরা। তাঁরা বোরো ধানের চারাও তৈরি করেছেন। জমিতে লাগাতে কেউ কেউ চারা তুলেও ফেলেছেন। এখন জমিতে পানি পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী কৃষকদের পক্ষ থেকে বিএমডিএর দুর্গাপুর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তার পরও দুই দিনে বিষয়টির সুরাহা হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চাষিরা পানি পাননি।
মাঠের কৃষকেরা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপ থেকে জমি পর্যন্ত নালা ছিল না বলে এত দিন তাঁরা বোরো ধান চাষ করতে পারতেন না। শাক-সবজি চাষ করতেন দূর থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি এনে। এভাবে ধান চাষ সম্ভব নয়। এবার তাঁদের পানি দেওয়ার কথা বলে নালা সম্প্রসারণ করা হয়। এর জন্য কৃষকেরা ২০ হাজার টাকাও দিয়েছেন। কিন্তু নালার কাজ শেষে এখন গভীর নলকূপের অপারেটর বুদন আলী ও সভাপতি আলাউদ্দিন পানি দিতে চাইছেন না।
মাঠে ১৫ কাঠা জমি আছে কৃষক শাহাদ আলীর। তিনি বলেন, ‘আমার আর অন্য কোথাও কোনো জমি নাই। এটুকুই জমি, সেখানে এত দিন ধান হয়নি পানির অভাবে। শুধু শাক-সবজি করেছি। এখনো পেঁয়াজ আছে। কদিনের মধ্যে পেঁয়াজ উঠবে। তারপর ধান করব ভেবেছিলাম। আশা ছিল এবার কিছুদিন ঘরের ধানের ভাত খাব। কিন্তু এখন তো পানিই দিতে চাইছে না।’
স্কুলশিক্ষক হাফিজুর রহমানের দুই বিঘা জমি আছে এলাকায়। তিনি বলেন, ‘প্রায় ৫০ জন কৃষকের ৫০ বিঘা জমিকে ধান চাষের আওতায় আনতেই নতুন করে প্রায় ২০০ ফুট নালা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এখন এই ৫০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু কমিটির সভাপতি পানি দিতে চাইছেন না। কেন পানি দেবেন না, সেটাও তিনি বলছেন না।’
অভিযোগ অস্বীকার করে সভাপতি মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘পানি দেওয়া হবে না, তা ঠিক না। পানি দেওয়া হবে। এত দিন ডিপ (গভীর নলকূপ) বন্ধ ছিল। আজকেই ডিপ চালু করা হয়েছে। নতুন আরও ৫০ বিঘা জমিতে ধানখেতে পানি দেওয়ার সক্ষমতা এই ডিপের আছে। পানি দেওয়া হবে। কিন্তু কোন কৃষক অভিযোগ করেছেন, তা আমি জানি না।’
বিএমডিএর দুর্গাপুর কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী আজমল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন জমিতে সেচ দেওয়ার জন্যই নালা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কিন্তু ওখানে সভাপতির সঙ্গে কোনো কৃষকের হয়তো ব্যক্তিগত বিরোধ আছে। সে জন্য তিনি পানি দেননি। কিন্তু পানি না দিয়ে উপায় নেই। একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, আমি লোক পাঠিয়ে সমস্যার সমাধান করে দেব।’
নালিতাবাড়ী দাওধারা কাটাবাড়ী পাহাড়ি এলাকায় বল্লমের আঘাতে অসুস্থ পড়ে ছিল এক বন্য হাতি। আজ বৃহস্পতিবার ওই বন্য হাতিকে চিকিৎসা দিয়েছে বন বিভাগ। এতে খুব দ্রুতই হাতিটি সুস্থ হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৩০ মিনিট আগেসাতক্ষীরার তালায় আগুনে পুড়ে সানজিদা আক্তার তুলি (১৭) নামের এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ঘোনা গ্রামে ওই ছাত্রীর নিজবাড়িতে তার গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগেরাজধানীর ডেমরার হাজীনগর এলাকায় গায়েহলুদের এক অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন সহদোর দুই ভাইসহ চারজন। ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজীনগর ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার থানায় মামলা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেউজিরপুরে মহাসড়কের পাশে বসে খাবার খাওয়ার সময় বাসচাপায় মানিক গাজী (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে যানবাহনের যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
১ ঘণ্টা আগে