Ajker Patrika

বৃষ্টিতে ভিজে টিকা নিলেন দুর্গাপুরের ১ হাজারেরও বেশি মানুষ

প্রতিনিধি, দুর্গাপুর (রাজশাহী)
বৃষ্টিতে ভিজে টিকা নিলেন দুর্গাপুরের ১ হাজারেরও বেশি মানুষ

রাজশাহীর দুর্গাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সকাল থেকে হওয়া মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই টিকা নিতে হাজারো মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়। বৃষ্টিতে ভিজে ও মাথায় ছাতা নিয়ে টিকা নিয়েছে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ।

দুর্গাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত টিকা নিতে উপজেলায় আবেদন করেছেন ৪৭ হাজার ৭৯০ জন মানুষ। তাঁদের মধ্যে ঠিকা পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬০০ জন। এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন প্রায় ১৮ হাজার জন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তিনটি বুথে আগে প্রতিদিন ৬০০ জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। টিকা চাহিদা বেশি থাকায় চাপ সামাল দিতে বর্তমানে প্রতিদিন ১ হাজারেরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। 

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখন ৩ ধরনের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ, সিনোফার্মের দ্বিতীয় ডোজ ও ভারতে উৎপাদিত টিকা কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ। গত সপ্তাহ থেকে সিনোফার্মের প্রথম ডোজ বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া শুরু হয়। এরপর সকাল ১০টার দিকে শুরু হওয়া বৃষ্টি কমলে ১১টা থেকে ভিড় বাড়তে থাকে। কিন্তু বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টি নামলেও টিকার জন্য অপেক্ষা করছিল হাজারো লোক। বৃষ্টির মধ্যেই ছাতা মাথায় কেউবা ভিজে টিকা নিতে থাকেন। অনেকে বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান নেন।

উপজেলার পাঁচুবাড়ী গ্রামের নাহিদ হাসান হীরক বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতরে মসজিদের সামনে আবেদন ফরম জমা দিয়ে সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলাম। বেলা সাড়ে ১২টার সময় বৃষ্টি শুরু হয়। তারপরও হাল ছাড়িনি। বৃষ্টির মধ্যে অবশেষে টিকা দিতে পেরেছি। 

উপজেলার দেবীপুর গ্রামের আবদুল হামিদ বলেন, এসএমএস না পেয়েও টিকা নিতে এসেছি। পরে জানতে পারি এসএমএস না আসলে টিকা নিতে পারব না। প্রায় তিন সপ্তাহ আগে স্থানীয় বাজারে টিকার জন্য আবেদন করি। কিন্তু এখনো এসএমএস না পাওয়ায় হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছি।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ বলেন, টিকা সংকটে গণ টিকা কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরে আবারও ১৪ আগস্ট থেকে চালুর কথা বললেও এখনো পৌরসভা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে গণ টিকাদান কর্মসূচি চালু হয়নি।

দুর্গাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদি হাসান সোহাগ বলেন, করোনা মোকাবিলায় টিকার কোন বিকল্প নাই। তাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিদিন নারী-পুরুষেরা টিকা নিচ্ছেন। প্রতিদিন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ১ হাজারেরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সকল মানুষকে টিকার আওতায় আনতে সরকার নানামুখী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রতিদিন আরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। 

উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট উপজেলায় গণ টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। ওই দিন উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে ওয়ার্ড পর্যায়ে গণ টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু একদিন যেতে না যেতেই গণ টিকা কার্যক্রম কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লাহোরে পাল্টা আঘাত হেনে পাকিস্তানকে জবাব দিল ভারত

পাকিস্তানের চীনা জে-১০ দিয়ে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস, যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজরে এই টক্বর

আবদুল হামিদের দেশত্যাগে এবার কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার

একটি দলের ওপর ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব: মাহফুজ আলম

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে সংবাদ, খুলনায় পত্রিকা অফিসে আগুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত