নাজমুল হাসান সাগর ও অদ্বৈত কুমার আকাশ, বগুড়া থেকে
নন্দীগ্রাম সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে চাকলমা গ্রাম। গ্রামের একেবারে ভেতরের দিকে একটি বাজার। সেই বাজার থেকে হেঁটে মানুষের বাড়ির উঠান মাড়িয়ে, চাষের জমি ও খানিকটা আলপথ পেরিয়ে যেতে হয় চাকলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে একটি কেন্দ্র এই প্রাথমিক বিদ্যালয়।
আজ বুধবার বেলা দুইটায় এক কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্ট, পুলিশ ও আনসার মিলিয়ে ২০ জনের মতো মানুষ ছিল। বাইরে চাষের জমিতে অস্থায়ী পাঁপড়ের দোকানে দু-তিনজন আর একটি স্থায়ী দোকানে কয়েকজন মানুষ।
এমন সময় বাজার এলাকা থেকে অন্তত ৬০-৭০ জন মানুষ হুড়মুড়িয়ে এই কেন্দ্রের দিকে আসতে দেখা গেল। সামনে একজনকে ঘিরে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের জটলা। কারও হাতে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা আর বুম (মাইক্রোফোন)। পিছে জনাপঞ্চাশেক মানুষের ভিড়। কিছুটা কাছাকাছি এলে বোঝা গেল, কোনো প্রার্থী এসেছেন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে। যেই প্রার্থীকে ঘিরে এত আয়োজন, তিনি এবার বগুড়া-৬ ও ৪ আসনে একযোগে নির্বাচন করছেন একতারা প্রতীক নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত ভিডিও নির্মাতা। এই প্রার্থীর নাম আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
কেন্দ্রের মাঠে পৌঁছানোর পর ঘিরে রাখা সংবাদকর্মীদের পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতে বেগ পেতে হলেও অবশেষে পুলিশ, আনসার, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সহায়তায় তিনি ভেতরে গেলেন কেন্দ্র পরিদর্শনে।
বাইরে আলোচিত এই প্রার্থীকে দেখার জন্য আরও প্রায় ৫০ জন উৎসুক মানুষ এসে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের মধ্যে ভোটারও রয়েছেন। কেন্দ্রের মাঠে ভ্যান নিয়ে অপেক্ষা করছেন এক ব্যক্তি। পেশায় ভ্যানচালক এই ব্যক্তি বলেন, ‘পাগলা আইচ্চে রে...গত ইলেকশনত পাগলা ইটি থাইকা মাইর খায়া গেছলো। আবার আইচ্ছে। আমার ভোট আমি পাগলাক দিছি।’
অনেকের উচ্ছ্বাস, আগ্রহ থাকলেও কেউ কেউ আবার বিস্ময়ও প্রকাশ করছেন। মহসিন আহমেদ নামে যুবক বলছিলেন, ‘দেখ তো কাণ্ডটা! এ্যাক (হিরো আলম) নিয়ে এত মাতামাতি করার কী আছে! জিতপার পারবি না, হুদাই! ফেসবুকত ভিডিও বানায়া বানায়া কী থাইকা কী হয়া গেল। মিডিয়াও এ্যাক নিয়া পাগলা হয়া গেছে। কী এক কাণ্ড!’
এর আগে বগুড়া-৬ সদর আসনের ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন হিরো আলম। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তিনি অভিযোগ করেছেন, সেখানে কয়েকটি কেন্দ্রে তাঁর এজেন্টসহ কর্মীদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চাকলমা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় তাঁর এমন অভিযোগ সম্পর্কে। হিরো আলম বলেন, ‘বগুড়া ছয়পুকুরিয়া ও পাঁচপীর এলাকার দুটি কেন্দ্র থেকে একতারা প্রতীকের একজন এজেন্ট ও একজন কর্মীকে চর-থাপ্পড় দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে ডিসি ও জেলা নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। দেখি তাঁরা কী ব্যবস্থা নেন।’
দুই আসনের সব কেন্দ্রে আপনার এজেন্ট দিতে পেরেছেন কি না, জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘সব কেন্দ্রেই আমার এজেন্ট আছে।’
তবে সরেজমিন নন্দীগ্রাম সদরসহ চারটি কেন্দ্রে দেখা গেছে তাঁর কোনো এজেন্ট নেই।
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম দেখতে আসা এক বৃদ্ধ বলছিলেন, ‘দেখো দিনি কাণ্ড! এতক্ষণ কোনো মানুষই আছলো না। এখন মানুষ দিয়া ভইরা গেল কেন্দ্র।’
ততক্ষণে একতারা প্রতীকের এই প্রার্থী গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে অন্য কেন্দ্র পরিদর্শনে জন্য রওনা হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আসা ব্যক্তিরা তাঁর সঙ্গেই ফিরে গেলেন কেন্দ্র থেকে। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি পাশ থেকে বলছিলেন, ‘হিরো আলম আসলে মানুষ বাড়ে, চলে গেলে কেন্দ্র খালি।’
এদিকে বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে কাহালু-নন্দীগ্রাম চার আসনে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এই আসনের ৪৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন ভোট গণনার কাজ চলছে।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এখন ভোট গণনা চলছে। আশা করছি সবকিছুই সুষ্ঠুভাবে শেষ হবে।’
নন্দীগ্রাম সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে চাকলমা গ্রাম। গ্রামের একেবারে ভেতরের দিকে একটি বাজার। সেই বাজার থেকে হেঁটে মানুষের বাড়ির উঠান মাড়িয়ে, চাষের জমি ও খানিকটা আলপথ পেরিয়ে যেতে হয় চাকলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে একটি কেন্দ্র এই প্রাথমিক বিদ্যালয়।
আজ বুধবার বেলা দুইটায় এক কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্ট, পুলিশ ও আনসার মিলিয়ে ২০ জনের মতো মানুষ ছিল। বাইরে চাষের জমিতে অস্থায়ী পাঁপড়ের দোকানে দু-তিনজন আর একটি স্থায়ী দোকানে কয়েকজন মানুষ।
এমন সময় বাজার এলাকা থেকে অন্তত ৬০-৭০ জন মানুষ হুড়মুড়িয়ে এই কেন্দ্রের দিকে আসতে দেখা গেল। সামনে একজনকে ঘিরে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের জটলা। কারও হাতে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা আর বুম (মাইক্রোফোন)। পিছে জনাপঞ্চাশেক মানুষের ভিড়। কিছুটা কাছাকাছি এলে বোঝা গেল, কোনো প্রার্থী এসেছেন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে। যেই প্রার্থীকে ঘিরে এত আয়োজন, তিনি এবার বগুড়া-৬ ও ৪ আসনে একযোগে নির্বাচন করছেন একতারা প্রতীক নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত ভিডিও নির্মাতা। এই প্রার্থীর নাম আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
কেন্দ্রের মাঠে পৌঁছানোর পর ঘিরে রাখা সংবাদকর্মীদের পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতে বেগ পেতে হলেও অবশেষে পুলিশ, আনসার, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সহায়তায় তিনি ভেতরে গেলেন কেন্দ্র পরিদর্শনে।
বাইরে আলোচিত এই প্রার্থীকে দেখার জন্য আরও প্রায় ৫০ জন উৎসুক মানুষ এসে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের মধ্যে ভোটারও রয়েছেন। কেন্দ্রের মাঠে ভ্যান নিয়ে অপেক্ষা করছেন এক ব্যক্তি। পেশায় ভ্যানচালক এই ব্যক্তি বলেন, ‘পাগলা আইচ্চে রে...গত ইলেকশনত পাগলা ইটি থাইকা মাইর খায়া গেছলো। আবার আইচ্ছে। আমার ভোট আমি পাগলাক দিছি।’
অনেকের উচ্ছ্বাস, আগ্রহ থাকলেও কেউ কেউ আবার বিস্ময়ও প্রকাশ করছেন। মহসিন আহমেদ নামে যুবক বলছিলেন, ‘দেখ তো কাণ্ডটা! এ্যাক (হিরো আলম) নিয়ে এত মাতামাতি করার কী আছে! জিতপার পারবি না, হুদাই! ফেসবুকত ভিডিও বানায়া বানায়া কী থাইকা কী হয়া গেল। মিডিয়াও এ্যাক নিয়া পাগলা হয়া গেছে। কী এক কাণ্ড!’
এর আগে বগুড়া-৬ সদর আসনের ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন হিরো আলম। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তিনি অভিযোগ করেছেন, সেখানে কয়েকটি কেন্দ্রে তাঁর এজেন্টসহ কর্মীদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চাকলমা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় তাঁর এমন অভিযোগ সম্পর্কে। হিরো আলম বলেন, ‘বগুড়া ছয়পুকুরিয়া ও পাঁচপীর এলাকার দুটি কেন্দ্র থেকে একতারা প্রতীকের একজন এজেন্ট ও একজন কর্মীকে চর-থাপ্পড় দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে ডিসি ও জেলা নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। দেখি তাঁরা কী ব্যবস্থা নেন।’
দুই আসনের সব কেন্দ্রে আপনার এজেন্ট দিতে পেরেছেন কি না, জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘সব কেন্দ্রেই আমার এজেন্ট আছে।’
তবে সরেজমিন নন্দীগ্রাম সদরসহ চারটি কেন্দ্রে দেখা গেছে তাঁর কোনো এজেন্ট নেই।
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম দেখতে আসা এক বৃদ্ধ বলছিলেন, ‘দেখো দিনি কাণ্ড! এতক্ষণ কোনো মানুষই আছলো না। এখন মানুষ দিয়া ভইরা গেল কেন্দ্র।’
ততক্ষণে একতারা প্রতীকের এই প্রার্থী গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে অন্য কেন্দ্র পরিদর্শনে জন্য রওনা হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আসা ব্যক্তিরা তাঁর সঙ্গেই ফিরে গেলেন কেন্দ্র থেকে। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি পাশ থেকে বলছিলেন, ‘হিরো আলম আসলে মানুষ বাড়ে, চলে গেলে কেন্দ্র খালি।’
এদিকে বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে কাহালু-নন্দীগ্রাম চার আসনে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এই আসনের ৪৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন ভোট গণনার কাজ চলছে।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এখন ভোট গণনা চলছে। আশা করছি সবকিছুই সুষ্ঠুভাবে শেষ হবে।’
নান্দাইলে জমি সংক্রান্ত জেরে ভাতিজার হাতে চাচা দিলোয়ার হোসেন দিলু (৪৫) খুন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১লা মে) নান্দাইল উপজেলার মুসুল্লি ইউনিয়নের শুভখিলা গ্রামে এ খুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘাতক ভাতিজা এনামুলকে (৪৫) আটক করে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ‘ফেমডম সেশনের’ নামে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি প্রচারের অভিযোগে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শিখা আক্তার (২৫) ও সুইটি আক্তার জারা (২৫)।
৭ ঘণ্টা আগেশ্রম দেওয়া ছাড়া উৎপাদন প্রক্রিয়ায় শ্রমিকের প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা বাংলাদেশের আইনে নেই। এ কারণে প্রচলিত আইনে শ্রমিকেরা মালিকের বা পুঁজিপতিদের ক্রীতদাসে পরিণত হয়ে আছে। মহান মে দিবস উপলক্ষে ১ মে (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর পরিবাগ ডিসিসি সুপার মার্কেট প্রাঙ্গনে যুব বাঙালি আয়োজিত ‘মহান মে দিবসে ‘শ্রম-কর্ম...
৮ ঘণ্টা আগেনীলফামারী ইপিজেডে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বেলাল হোসেন (২৩) নামের এক নির্মাণশ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিক বেলাল হোসেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানার ভদ্রঘাটের নুরুজ্জামানের ছেলে।
৮ ঘণ্টা আগে