নওগাঁ
সিয়াম সাহারিয়া, নওগাঁ
নওগাঁ জেলা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তুলসীগঙ্গা নদী একসময় ছিল খরস্রোতা, সজীব ও প্রাণবন্ত। আশপাশের জনপদের কৃষি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য এই নদীর ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় দখল, দূষণ ও অপরিকল্পিত বাঁধের কারণে নদীটি এখন মৃতপ্রায়। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হওয়ায় কচুরিপানায় ভরে গেছে পুরো এলাকা। এতে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা ও দুর্গন্ধ।
স্থানীয়রা বলছেন, কয়েক বছর আগে নদীটি খনন করা হয়। তবে এতে কার্যকর কোনো পরিবর্তন আসেনি। অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও নদীর প্রবাহ আটকে দেওয়ার কারণে খননের সুফল স্থায়ী হয়নি।
জানা গেছে, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা থেকে উৎপন্ন হয়ে তুলসীগঙ্গা নদী নওগাঁ জেলার সীমানায় প্রবেশ করেছে। নওগাঁ সদর উপজেলার তিলোকপুর ইউনিয়নের ছিটকিতলা (ত্রিমোহনী) থেকে রাণীনগর উপজেলার ত্রিমোহনীর চককুতুব রেগুলেটর পর্যন্ত নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার।
একসময় এই নদীর পানি দিয়ে কৃষিকাজ করা হতো, মাছ ধরা হতো, পালতোলা নৌকায় ব্যবসা-বাণিজ্য চলত। পাবনা ও জয়পুরহাট থেকে বণিকেরা নৌকায় ধান, পাট ও অন্যান্য কৃষিপণ্য নিয়ে আসতেন। কিন্তু সত্তরের দশকের পর থেকে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। ছিটকিতলায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পর নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ কমে যায়। ধীরে ধীরে কচুরিপানায় ভরে প্রবাহ কমে যায় নদী। শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায়, বর্ষায় অল্প পানি জমলেও তা দূষিত ও দুর্গন্ধযুক্ত।
নদীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা যায়, বিশাল অংশজুড়ে কচুরিপানা ও ময়লার স্তূপ জমে রয়েছে। নদীপাড়ের অনেক জায়গা দখল হয়ে গেছে। অনেক স্থানে নদীর গতিপথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে, ফলে স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, নদীপাড় দখলের পর ভরাট করে কৃষিজমি বানানোরও চেষ্টা চলছে। এসব জায়গায় পানি জমলেও তা স্থির ও দূষিত হয়ে যায়। দুর্গন্ধযুক্ত পানি দেখে বোঝাই যায় না, এটি একসময় খরস্রোতা নদী ছিল।
ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ফাহিম হোসেন বলেন, নদী খনন করা হয়েছিল; কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কচুরিপানায় আবারও ভরে গেছে, পানি জমে থাকলেও তা নোংরা। নদীকে যদি ঠিকমতো রক্ষা করা না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে এখানকার কৃষি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
সমাজসেবক ও গবেষক এম এম রাসেল বলেন, নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হলে ছিটকিতলায় রেগুলেটর নির্মাণ করা জরুরি। এ ছাড়া তুলসীগঙ্গা বাঁচানো সম্ভব নয়।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান বলেন, ‘নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হলে প্রায় ২ কিলোমিটার জমি অধিগ্রহণ করতে হবে, যা ব্যয়বহুল। তবে ইতিমধ্যে ছিটকিতলায় ছোট যমুনা নদীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য রেগুলেটর নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রকল্প অনুমোদিত হলে কাজ শুরু হবে।’
নওগাঁ জেলা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তুলসীগঙ্গা নদী একসময় ছিল খরস্রোতা, সজীব ও প্রাণবন্ত। আশপাশের জনপদের কৃষি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য এই নদীর ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় দখল, দূষণ ও অপরিকল্পিত বাঁধের কারণে নদীটি এখন মৃতপ্রায়। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হওয়ায় কচুরিপানায় ভরে গেছে পুরো এলাকা। এতে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা ও দুর্গন্ধ।
স্থানীয়রা বলছেন, কয়েক বছর আগে নদীটি খনন করা হয়। তবে এতে কার্যকর কোনো পরিবর্তন আসেনি। অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও নদীর প্রবাহ আটকে দেওয়ার কারণে খননের সুফল স্থায়ী হয়নি।
জানা গেছে, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা থেকে উৎপন্ন হয়ে তুলসীগঙ্গা নদী নওগাঁ জেলার সীমানায় প্রবেশ করেছে। নওগাঁ সদর উপজেলার তিলোকপুর ইউনিয়নের ছিটকিতলা (ত্রিমোহনী) থেকে রাণীনগর উপজেলার ত্রিমোহনীর চককুতুব রেগুলেটর পর্যন্ত নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার।
একসময় এই নদীর পানি দিয়ে কৃষিকাজ করা হতো, মাছ ধরা হতো, পালতোলা নৌকায় ব্যবসা-বাণিজ্য চলত। পাবনা ও জয়পুরহাট থেকে বণিকেরা নৌকায় ধান, পাট ও অন্যান্য কৃষিপণ্য নিয়ে আসতেন। কিন্তু সত্তরের দশকের পর থেকে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। ছিটকিতলায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পর নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ কমে যায়। ধীরে ধীরে কচুরিপানায় ভরে প্রবাহ কমে যায় নদী। শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায়, বর্ষায় অল্প পানি জমলেও তা দূষিত ও দুর্গন্ধযুক্ত।
নদীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা যায়, বিশাল অংশজুড়ে কচুরিপানা ও ময়লার স্তূপ জমে রয়েছে। নদীপাড়ের অনেক জায়গা দখল হয়ে গেছে। অনেক স্থানে নদীর গতিপথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে, ফলে স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, নদীপাড় দখলের পর ভরাট করে কৃষিজমি বানানোরও চেষ্টা চলছে। এসব জায়গায় পানি জমলেও তা স্থির ও দূষিত হয়ে যায়। দুর্গন্ধযুক্ত পানি দেখে বোঝাই যায় না, এটি একসময় খরস্রোতা নদী ছিল।
ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ফাহিম হোসেন বলেন, নদী খনন করা হয়েছিল; কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কচুরিপানায় আবারও ভরে গেছে, পানি জমে থাকলেও তা নোংরা। নদীকে যদি ঠিকমতো রক্ষা করা না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে এখানকার কৃষি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
সমাজসেবক ও গবেষক এম এম রাসেল বলেন, নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হলে ছিটকিতলায় রেগুলেটর নির্মাণ করা জরুরি। এ ছাড়া তুলসীগঙ্গা বাঁচানো সম্ভব নয়।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান বলেন, ‘নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হলে প্রায় ২ কিলোমিটার জমি অধিগ্রহণ করতে হবে, যা ব্যয়বহুল। তবে ইতিমধ্যে ছিটকিতলায় ছোট যমুনা নদীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য রেগুলেটর নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রকল্প অনুমোদিত হলে কাজ শুরু হবে।’
ইঞ্জিনের হেডলাইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তালশহর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার পথ মোবাইল ফোনের টর্চের আলোতে পাড়ি দিয়েছে তিতাস কমিউটার ট্রেন। গতকাল শনিবার (২১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসেম আলী (৩৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ গোড়ের পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেসম্প্রতি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগের বিষয়ে নাহিদ রাব্বি নামের একজন চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে ২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে ঘুষ লেনদেনের কথা স্পষ্টভাবে উঠে আসে।
২৫ মিনিট আগেময়মনসিংহের তারাকান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি বাসে অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান ও লরিসহ চারটি গাড়ির ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
১ ঘণ্টা আগে