Ajker Patrika

বাঁশবাগানে বৃদ্ধের গলায় দড়ি দেওয়া মরদেহ, পা ছিল মাটিতে

বগুড়া প্রতিনিধি
বাঁশবাগানে বৃদ্ধের গলায় দড়ি দেওয়া মরদেহ, পা ছিল মাটিতে

বগুড়ার কাহালু উপজেলার একটি বাঁশবাগান থেকে মকবুল হোসেন (৯০) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা ধারণা করা হলেও তার সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি। বাঁশবাগানের একটি গাছের সঙ্গে বৃদ্ধের গলায় দড়ি লাগানো ছিল। কিন্তু পা ছিল মাটির সঙ্গে। তবে বৃদ্ধের পরিবার থেকে হত্যার কোনো অভিযোগ করা হয়নি থানায়। 

আজ শনিবার ভোরে ওই উপজেলার কালাই ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের একটি বাঁশবাগানে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন মকবুল। মকবুল কালাই ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। 

কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমবার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন মকবুল। এরপর থেকে তাঁর খোঁজ পাচ্ছিলেন না স্বজনেরা। পরদিন শনিবার ভোরে স্থানীয়রা একটি বাঁশবাগান বৃদ্ধের গলায় দড়ি দেওয়া মরদেহ দেখতে পান। বাঁশবাগানের মধ্যে একটি গাছের সঙ্গে মকবুলের গলায় দড়ি প্যাঁচানো থাকলেও তাঁর পা ছিল মাটিতে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর ২টার দিকে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃদ্ধের ছেলে মনসুর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে বাবার কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না। কাউকে কিছু না বলে সন্ধ্যার সময় বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান তিনি। আব্বার পেটে ব্যথা ছিল, মাথায়ও কিছুটা গন্ডগোল ছিল। তাই আমরা মনে করছি তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’ 

ওসি মো. আমবার হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মকবুল আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। বৃদ্ধের পরিবার থেকে হত্যার অভিযোগ করা হয়নি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত