Ajker Patrika

দেড় কোটি টাকা বকেয়া, শেরপুর পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩, ১৫: ৫০
দেড় কোটি টাকা বকেয়া, শেরপুর পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রায় দেড় কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারণে বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)। বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে পৌর ভবন, সড়কবাতি ও পানি সরবরাহের পাম্পের সংযোগ। মেয়র বলছে, অতি দ্রুত আবার সংযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

আজ সোমবার সকাল বেলা সাড়ে ১১টায় নেসকোর রাজশাহী বিভাগের রেভিনিউ অ্যাসুরেন্স বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. শাখাওয়াত হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় নেসকোর শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল জলিল, বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও শেরপুর থানা-পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

নেসকো সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে শেরপুর পৌরসভায় প্রতি মাসে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। গত এক বছরে পৌরসভা কোনো বিল দেয়নি। ফলে এ পর্যন্ত পৌরসভার কাছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ৯৬১ টাকা বকেয়া রয়েছে। বারবার নোটিশ দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। 

নেসকোর শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গত এক বছর ধরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিচ্ছি। বিভিন্ন সভায় তাদের মৌখিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা বকেয়া পরিশোধের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে শেরপুর পৌরসভার মেয়র জানে আলম খোকা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে নেসকো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতায় এসেছি। অতি দ্রুত পুনঃসংযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, এই পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ১ লাখ লোকের বসবাস। এখানে শহর আলোকিত করার জন্য দেড় হাজার সড়ক বাতি ও পানি সরবরাহের জন্য পাম্প রয়েছে।

এ দিকে আকস্মিক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় অফিসের কার্যক্রম স্থবির হয়ে গেছে। জনগণ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ছাড়াও রাতে শহর জুড়ে নেমে আসবে অন্ধকার। চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পৌরবাসীরা।

পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করছে। আমরা নিয়মিত পরিশোধ করলেও ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণে শহরে চলাচল ও অনিরাপদ হয়ে উঠবে। এর দায় পৌর কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত