Ajker Patrika

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় আসন কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি

রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় আসন কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ৪০টি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি ছাত্রসংগঠন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সদস্য সজীব আলীর পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবির কথা জানানো হয়।

বিবৃতি দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র সংগঠনগুলো হলো বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, নাগরিক ছাত্র ঐক্য, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ১৬৮ আসন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ৯০ আসন কমানোর পর চলতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষেও ৪০টি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে টানা ৩ বছরে সর্বমোট ২৯৮টি আসন কমানো হলো।’ এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান তাঁরা।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি রায়হান আলী বলেন, ‘আসন কমানোর ফলে উচ্চ শিক্ষার সংকোচন ঘটছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভরতা ও শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ত্বরান্বিত হচ্ছে। আসন কমানোর অজুহাত হিসেবে প্রশাসন শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার, আবাসন প্রভৃতি শিক্ষা উপকরণের সংকটকে দেখিয়ে থাকে। এসব সমস্যার সমাধান কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বাড়িয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলেই সম্ভব। অথচ বরাদ্দ বাড়াতে রাষ্ট্র ও সরকারের অনুগত প্রশাসনের কোনো উচ্চবাচ্য নেই। উপরন্তু ১১২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অডিট গরমিল শিক্ষার উন্নয়নে তাদের অনিয়ম ও দায়হীনতাকেই উন্মোচিত করছে।

আসন কমানোর গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘ইউজিসির কৌশলপত্র হচ্ছে সবার বিশ্ববিদ্যালয়কে কেবল ধনীর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার রূপরেখা। যার আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রমাগত শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি, খাবারে ভর্তুকি বন্ধ করা, আসন কমানো, বাণিজ্যিক সন্ধ্যাকালীন কোর্স চালুসহ বিভিন্ন গণবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এতে উচ্চশিক্ষা অর্জন আর্থিকভাবে কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। ফলে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এই নীলনকশার সর্বপ্রকার বাস্তবায়নের বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়াতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়ে অবিলম্বে সিট কমানোর গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানান ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা। অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত