Ajker Patrika

ঈদের ছুটিতে শাজাহানপুরে সরকারি গাছ চুরি

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি  
আপডেট : ১১ জুন ২০২৫, ০৯: ৫১
রাতে অন্ধকারে টর্চলাইটের আলো ফেলে গাছগুলো কেটে নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
রাতে অন্ধকারে টর্চলাইটের আলো ফেলে গাছগুলো কেটে নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ঈদের লম্বা ছুটিতে সরকারি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। উপজেলার খড়না ইউনিয়নের দেসমা গ্রামের ভাদাই সেতুর পূর্ব পাশে নির্জন এলাকা থেকে ৯ জুন গভীর রাতে অন্তত ৯টি পুরোনো ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় একজন মোবাইল ফোনে গাছ কাটার দৃশ্য ধারণ করেন। তাঁর ভাষ্য, রাতের অন্ধকারে টর্চলাইটের আলো ফেলে গাছগুলো কেটে নেওয়া হয়। কাটা গাছের গোড়া কাদা ও লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়, যেন দৃষ্টি এড়িয়ে যায়।

গাছগুলোর বেশ কিছু অংশ খড়না ইউনিয়নের বীরগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বাবলুর রহমানের ভাই ভাই ফার্ণিচার ও ‘স’মিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাছগুলোর বেশ কিছু অংশ খড়না ইউনিয়নের বীরগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বাবলুর রহমানের ভাই ভাই ফার্ণিচার ও ‘স’মিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে দেসমা গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫) গাছগুলো কেটেছেন বলে আজকের পত্রিকার কাছে স্বীকার করেছেন। কাটা গাছগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন কাঠ ব্যবসায়ীরা। ওই গাছগুলোর বেশ কিছু অংশ ওই ইউনিয়নের বীরগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বাবলুর রহমানের ভাই ভাই ফার্নিচার ও স মিলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।

ভাই ভাই ফার্নিচার ও স মিলের মালিক বাবলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাইফুল সড়কের কিছু গাছ কেটেছিল। সেই গাছগুলোর কিছু আমার মিলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছে।’

সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাছগুলো আমার প্রয়োজন ছিল, তাই কেটে নিয়েছি। সোমবার রাতে দুটি কেটেছি আর কয়েক দিন আগে কিছু কেটেছি। এটা আমার ভুল হয়েছে।’

এ বিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাছ চুরির বিষয়ে আমার জানা ছিল না। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত