রিমন রহমান, রাজশাহী

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
সে জন্য একাডেমিক সার্টিফিকেট আর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেছেন। অনেকেই এসব কাজে মাসের পর মাস ঘুরে হয়রান হলেও পপির কাজ হয়েছে রকেটের গতিতে। তারপর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে জয়ী হয়েছেন জীবনে প্রথমবার নির্বাচন করা পপি।
তথ্যমতে, উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ অনুযায়ী কেউ প্রার্থী হতে চাইলে তাঁর বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হতে হবে। কিন্তু পপির শিক্ষাসংক্রান্ত কাগজপত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ হিসাবে তাঁর বয়স ২২ বছর। এতে ২৯ মে অনুষ্ঠিত পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারেন না। তাই গত বছরের মার্চ থেকে তিনি শিক্ষাগত সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের কার্যক্রম শুরু করেন। অবিশ্বাস্য গতিতে তাঁর জন্মতারিখ বদলে যায়। এতে হতবাক নির্বাচন অফিস সংশ্লিষ্টরাও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন অফিসের একাধিক কর্মচারী জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধন করার নজির খুবই কম। সরকারি চাকরিতে সুবিধা পেতে অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার আবেদন করেন। তবে সেগুলো মাসের পর মাস পড়ে থাকে। পপি একটি এফিডেভিটের মাধ্যমে শিক্ষাসনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছেন। আর এ দেখে জাতীয় পরিচয়পত্রেও জন্মতারিখ বদলে দেওয়া হয় পপির। এ ধরনের নজির নেই বললেই চলে।
কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, পবার ধর্মহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে পপি পঞ্চম শ্রেণি পাস করেন। সে সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০৩ সালের ১২ জানুয়ারি। ২০১৭ সালে দারুশা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। এই সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। স্কুলের টেবুলেশন শিটেও একই জন্মতারিখ। চলতি বছর সর্বশেষ ভোটার তালিকাতেও তার জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। ভোটার ক্রমিক নম্বর-৮১০৮১৩০০০১৮৮।
তবে নির্বাচনের আগে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পপি তাঁর সব সনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে ১৯৯৮ সালের ১২ জানুয়ারি করার আবেদন করেন। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল শিক্ষা বোর্ডের নাম ও বয়স সংশোধন কমিটির সভায় তা পাস হয়।
এরপর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে গত ২০ মার্চ জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধনের আবেদন করেন পপি। ৩ এপ্রিল এ আবেদন বাতিল হয়ে যায়। পরে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে আরেকটি আবেদন করেন তিনি। এবার রহস্যজনকভাবে পপির আবেদন গ্রহণ করা হয়। বদলে যায় জন্মতারিখ। নতুন তারিখ অনুযায়ী, ভোটের দিন তার বয়স ছিল ২৬ বছর ৪ মাস ১৭ দিন। আগের জন্মতারিখ অনুযায়ী ২৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারতেন না তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, জন্মতারিখ পরিবর্তনের জন্য পপি নির্বাচনে কমিশনে যে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তাতে ভয়াবহ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজের সঙ্গে নিজের এসএসসি সনদ সংযুক্ত করার কথা। কিন্তু হযরত আলী নামে একজন শিক্ষার্থীর সনদ সংযুক্ত করেছেন পপি। হযরত আলী ২০১৭ সালে নওহাটা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। হযরত আলীর জন্মতারিখ ২৯ জুন, ২০০১। অথচ এমন ত্রুটিপূর্ণ আবেদন রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় গ্রহণ করে পরদিনই (২৯ এপ্রিল) জাতীয় পরিচয়পত্রটি পরিবর্তন করে দেয়।
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েই পপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন গত ২ মে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেন। গত ২৯ মে পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এতে পপি খাতুন ২৪ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চলতি মাসের ৪ জুন পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পপিসহ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। পপি এখন শপথ গ্রহণের অপেক্ষায়।
অভিযোগের বিষয়ে পপি খাতুন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘আমার জন্মতারিখ ভুল ছিল। আমি সব নিয়মকানুন মেনেই জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছি। নির্বাচন কমিশন সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই আমাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। ভোটাররা ভোট দিয়েছে বলে বিজয়ী হয়েছি। এখন প্রতিপক্ষরা এসব কথা সামনে এনে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’
অপর দিকে জন্মতারিখ সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডে সাধারণত বয়স কমানোর আবেদন আসে। কিন্তু পপির বয়স বাড়ানোর আবেদন আসে। এটা ব্যতিক্রম। তারপরেও এ জন্য রাজনৈতিক চাপ ছিল। পরে কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন দিয়েছে।’
ত্রুটিপূর্ণ আবেদন গ্রহণের বিষয়ে রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম প্রামাণিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাগজপত্র যাচাই করেই সব করা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পপি খাতুনের বাড়ি পবা উপজেলার দারুশা গ্রামে। হতদরিদ্র একটি পরিবারের মেয়ে পপির হঠাৎ নির্বাচনে এসে বিজয়ী হওয়ায় হতবাক এলাকার লোকজন।
উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুর রাজি রুবেল বলেন, ‘অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান পপির হঠাৎ উত্থানে আমরা হতবাক। কারণ, তার পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিবন্ধী ভাতার টাকায় তাদের সংসার চলে। কিন্তু সে শহরেও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। তার লাইফ স্টাইল ধনীর মতো। হঠাৎ শুনতে পাই, পপি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। পপির পেছনে কোনো অদৃশ্য শক্তির হাত আছে। যারা পপিকে মাঠে নামিয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স পপির হয়নি। কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করল তা জানি না।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই নির্বাচনে প্রার্থী হন। কিন্তু পপির মতো একটা বাচ্চা মেয়ে কীভাবে প্রার্থী হয়ে রানিং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে হারিয়ে বিজয়ী হলো তা আমার বুঝে আসে না।’
আরও খবর পড়ুন:

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
সে জন্য একাডেমিক সার্টিফিকেট আর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেছেন। অনেকেই এসব কাজে মাসের পর মাস ঘুরে হয়রান হলেও পপির কাজ হয়েছে রকেটের গতিতে। তারপর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে জয়ী হয়েছেন জীবনে প্রথমবার নির্বাচন করা পপি।
তথ্যমতে, উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ অনুযায়ী কেউ প্রার্থী হতে চাইলে তাঁর বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হতে হবে। কিন্তু পপির শিক্ষাসংক্রান্ত কাগজপত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ হিসাবে তাঁর বয়স ২২ বছর। এতে ২৯ মে অনুষ্ঠিত পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারেন না। তাই গত বছরের মার্চ থেকে তিনি শিক্ষাগত সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের কার্যক্রম শুরু করেন। অবিশ্বাস্য গতিতে তাঁর জন্মতারিখ বদলে যায়। এতে হতবাক নির্বাচন অফিস সংশ্লিষ্টরাও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন অফিসের একাধিক কর্মচারী জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধন করার নজির খুবই কম। সরকারি চাকরিতে সুবিধা পেতে অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার আবেদন করেন। তবে সেগুলো মাসের পর মাস পড়ে থাকে। পপি একটি এফিডেভিটের মাধ্যমে শিক্ষাসনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছেন। আর এ দেখে জাতীয় পরিচয়পত্রেও জন্মতারিখ বদলে দেওয়া হয় পপির। এ ধরনের নজির নেই বললেই চলে।
কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, পবার ধর্মহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে পপি পঞ্চম শ্রেণি পাস করেন। সে সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০৩ সালের ১২ জানুয়ারি। ২০১৭ সালে দারুশা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। এই সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। স্কুলের টেবুলেশন শিটেও একই জন্মতারিখ। চলতি বছর সর্বশেষ ভোটার তালিকাতেও তার জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। ভোটার ক্রমিক নম্বর-৮১০৮১৩০০০১৮৮।
তবে নির্বাচনের আগে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পপি তাঁর সব সনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে ১৯৯৮ সালের ১২ জানুয়ারি করার আবেদন করেন। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল শিক্ষা বোর্ডের নাম ও বয়স সংশোধন কমিটির সভায় তা পাস হয়।
এরপর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে গত ২০ মার্চ জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধনের আবেদন করেন পপি। ৩ এপ্রিল এ আবেদন বাতিল হয়ে যায়। পরে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে আরেকটি আবেদন করেন তিনি। এবার রহস্যজনকভাবে পপির আবেদন গ্রহণ করা হয়। বদলে যায় জন্মতারিখ। নতুন তারিখ অনুযায়ী, ভোটের দিন তার বয়স ছিল ২৬ বছর ৪ মাস ১৭ দিন। আগের জন্মতারিখ অনুযায়ী ২৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারতেন না তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, জন্মতারিখ পরিবর্তনের জন্য পপি নির্বাচনে কমিশনে যে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তাতে ভয়াবহ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজের সঙ্গে নিজের এসএসসি সনদ সংযুক্ত করার কথা। কিন্তু হযরত আলী নামে একজন শিক্ষার্থীর সনদ সংযুক্ত করেছেন পপি। হযরত আলী ২০১৭ সালে নওহাটা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। হযরত আলীর জন্মতারিখ ২৯ জুন, ২০০১। অথচ এমন ত্রুটিপূর্ণ আবেদন রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় গ্রহণ করে পরদিনই (২৯ এপ্রিল) জাতীয় পরিচয়পত্রটি পরিবর্তন করে দেয়।
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েই পপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন গত ২ মে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেন। গত ২৯ মে পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এতে পপি খাতুন ২৪ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চলতি মাসের ৪ জুন পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পপিসহ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। পপি এখন শপথ গ্রহণের অপেক্ষায়।
অভিযোগের বিষয়ে পপি খাতুন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘আমার জন্মতারিখ ভুল ছিল। আমি সব নিয়মকানুন মেনেই জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছি। নির্বাচন কমিশন সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই আমাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। ভোটাররা ভোট দিয়েছে বলে বিজয়ী হয়েছি। এখন প্রতিপক্ষরা এসব কথা সামনে এনে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’
অপর দিকে জন্মতারিখ সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডে সাধারণত বয়স কমানোর আবেদন আসে। কিন্তু পপির বয়স বাড়ানোর আবেদন আসে। এটা ব্যতিক্রম। তারপরেও এ জন্য রাজনৈতিক চাপ ছিল। পরে কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন দিয়েছে।’
ত্রুটিপূর্ণ আবেদন গ্রহণের বিষয়ে রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম প্রামাণিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাগজপত্র যাচাই করেই সব করা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পপি খাতুনের বাড়ি পবা উপজেলার দারুশা গ্রামে। হতদরিদ্র একটি পরিবারের মেয়ে পপির হঠাৎ নির্বাচনে এসে বিজয়ী হওয়ায় হতবাক এলাকার লোকজন।
উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুর রাজি রুবেল বলেন, ‘অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান পপির হঠাৎ উত্থানে আমরা হতবাক। কারণ, তার পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিবন্ধী ভাতার টাকায় তাদের সংসার চলে। কিন্তু সে শহরেও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। তার লাইফ স্টাইল ধনীর মতো। হঠাৎ শুনতে পাই, পপি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। পপির পেছনে কোনো অদৃশ্য শক্তির হাত আছে। যারা পপিকে মাঠে নামিয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স পপির হয়নি। কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করল তা জানি না।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই নির্বাচনে প্রার্থী হন। কিন্তু পপির মতো একটা বাচ্চা মেয়ে কীভাবে প্রার্থী হয়ে রানিং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে হারিয়ে বিজয়ী হলো তা আমার বুঝে আসে না।’
আরও খবর পড়ুন:
রিমন রহমান, রাজশাহী

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
সে জন্য একাডেমিক সার্টিফিকেট আর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেছেন। অনেকেই এসব কাজে মাসের পর মাস ঘুরে হয়রান হলেও পপির কাজ হয়েছে রকেটের গতিতে। তারপর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে জয়ী হয়েছেন জীবনে প্রথমবার নির্বাচন করা পপি।
তথ্যমতে, উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ অনুযায়ী কেউ প্রার্থী হতে চাইলে তাঁর বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হতে হবে। কিন্তু পপির শিক্ষাসংক্রান্ত কাগজপত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ হিসাবে তাঁর বয়স ২২ বছর। এতে ২৯ মে অনুষ্ঠিত পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারেন না। তাই গত বছরের মার্চ থেকে তিনি শিক্ষাগত সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের কার্যক্রম শুরু করেন। অবিশ্বাস্য গতিতে তাঁর জন্মতারিখ বদলে যায়। এতে হতবাক নির্বাচন অফিস সংশ্লিষ্টরাও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন অফিসের একাধিক কর্মচারী জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধন করার নজির খুবই কম। সরকারি চাকরিতে সুবিধা পেতে অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার আবেদন করেন। তবে সেগুলো মাসের পর মাস পড়ে থাকে। পপি একটি এফিডেভিটের মাধ্যমে শিক্ষাসনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছেন। আর এ দেখে জাতীয় পরিচয়পত্রেও জন্মতারিখ বদলে দেওয়া হয় পপির। এ ধরনের নজির নেই বললেই চলে।
কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, পবার ধর্মহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে পপি পঞ্চম শ্রেণি পাস করেন। সে সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০৩ সালের ১২ জানুয়ারি। ২০১৭ সালে দারুশা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। এই সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। স্কুলের টেবুলেশন শিটেও একই জন্মতারিখ। চলতি বছর সর্বশেষ ভোটার তালিকাতেও তার জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। ভোটার ক্রমিক নম্বর-৮১০৮১৩০০০১৮৮।
তবে নির্বাচনের আগে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পপি তাঁর সব সনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে ১৯৯৮ সালের ১২ জানুয়ারি করার আবেদন করেন। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল শিক্ষা বোর্ডের নাম ও বয়স সংশোধন কমিটির সভায় তা পাস হয়।
এরপর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে গত ২০ মার্চ জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধনের আবেদন করেন পপি। ৩ এপ্রিল এ আবেদন বাতিল হয়ে যায়। পরে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে আরেকটি আবেদন করেন তিনি। এবার রহস্যজনকভাবে পপির আবেদন গ্রহণ করা হয়। বদলে যায় জন্মতারিখ। নতুন তারিখ অনুযায়ী, ভোটের দিন তার বয়স ছিল ২৬ বছর ৪ মাস ১৭ দিন। আগের জন্মতারিখ অনুযায়ী ২৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারতেন না তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, জন্মতারিখ পরিবর্তনের জন্য পপি নির্বাচনে কমিশনে যে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তাতে ভয়াবহ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজের সঙ্গে নিজের এসএসসি সনদ সংযুক্ত করার কথা। কিন্তু হযরত আলী নামে একজন শিক্ষার্থীর সনদ সংযুক্ত করেছেন পপি। হযরত আলী ২০১৭ সালে নওহাটা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। হযরত আলীর জন্মতারিখ ২৯ জুন, ২০০১। অথচ এমন ত্রুটিপূর্ণ আবেদন রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় গ্রহণ করে পরদিনই (২৯ এপ্রিল) জাতীয় পরিচয়পত্রটি পরিবর্তন করে দেয়।
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েই পপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন গত ২ মে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেন। গত ২৯ মে পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এতে পপি খাতুন ২৪ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চলতি মাসের ৪ জুন পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পপিসহ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। পপি এখন শপথ গ্রহণের অপেক্ষায়।
অভিযোগের বিষয়ে পপি খাতুন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘আমার জন্মতারিখ ভুল ছিল। আমি সব নিয়মকানুন মেনেই জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছি। নির্বাচন কমিশন সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই আমাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। ভোটাররা ভোট দিয়েছে বলে বিজয়ী হয়েছি। এখন প্রতিপক্ষরা এসব কথা সামনে এনে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’
অপর দিকে জন্মতারিখ সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডে সাধারণত বয়স কমানোর আবেদন আসে। কিন্তু পপির বয়স বাড়ানোর আবেদন আসে। এটা ব্যতিক্রম। তারপরেও এ জন্য রাজনৈতিক চাপ ছিল। পরে কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন দিয়েছে।’
ত্রুটিপূর্ণ আবেদন গ্রহণের বিষয়ে রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম প্রামাণিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাগজপত্র যাচাই করেই সব করা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পপি খাতুনের বাড়ি পবা উপজেলার দারুশা গ্রামে। হতদরিদ্র একটি পরিবারের মেয়ে পপির হঠাৎ নির্বাচনে এসে বিজয়ী হওয়ায় হতবাক এলাকার লোকজন।
উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুর রাজি রুবেল বলেন, ‘অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান পপির হঠাৎ উত্থানে আমরা হতবাক। কারণ, তার পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিবন্ধী ভাতার টাকায় তাদের সংসার চলে। কিন্তু সে শহরেও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। তার লাইফ স্টাইল ধনীর মতো। হঠাৎ শুনতে পাই, পপি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। পপির পেছনে কোনো অদৃশ্য শক্তির হাত আছে। যারা পপিকে মাঠে নামিয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স পপির হয়নি। কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করল তা জানি না।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই নির্বাচনে প্রার্থী হন। কিন্তু পপির মতো একটা বাচ্চা মেয়ে কীভাবে প্রার্থী হয়ে রানিং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে হারিয়ে বিজয়ী হলো তা আমার বুঝে আসে না।’
আরও খবর পড়ুন:

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
সে জন্য একাডেমিক সার্টিফিকেট আর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেছেন। অনেকেই এসব কাজে মাসের পর মাস ঘুরে হয়রান হলেও পপির কাজ হয়েছে রকেটের গতিতে। তারপর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে জয়ী হয়েছেন জীবনে প্রথমবার নির্বাচন করা পপি।
তথ্যমতে, উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ অনুযায়ী কেউ প্রার্থী হতে চাইলে তাঁর বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হতে হবে। কিন্তু পপির শিক্ষাসংক্রান্ত কাগজপত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ হিসাবে তাঁর বয়স ২২ বছর। এতে ২৯ মে অনুষ্ঠিত পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারেন না। তাই গত বছরের মার্চ থেকে তিনি শিক্ষাগত সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের কার্যক্রম শুরু করেন। অবিশ্বাস্য গতিতে তাঁর জন্মতারিখ বদলে যায়। এতে হতবাক নির্বাচন অফিস সংশ্লিষ্টরাও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন অফিসের একাধিক কর্মচারী জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধন করার নজির খুবই কম। সরকারি চাকরিতে সুবিধা পেতে অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার আবেদন করেন। তবে সেগুলো মাসের পর মাস পড়ে থাকে। পপি একটি এফিডেভিটের মাধ্যমে শিক্ষাসনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছেন। আর এ দেখে জাতীয় পরিচয়পত্রেও জন্মতারিখ বদলে দেওয়া হয় পপির। এ ধরনের নজির নেই বললেই চলে।
কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, পবার ধর্মহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে পপি পঞ্চম শ্রেণি পাস করেন। সে সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০৩ সালের ১২ জানুয়ারি। ২০১৭ সালে দারুশা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। এই সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। স্কুলের টেবুলেশন শিটেও একই জন্মতারিখ। চলতি বছর সর্বশেষ ভোটার তালিকাতেও তার জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। ভোটার ক্রমিক নম্বর-৮১০৮১৩০০০১৮৮।
তবে নির্বাচনের আগে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পপি তাঁর সব সনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে ১৯৯৮ সালের ১২ জানুয়ারি করার আবেদন করেন। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল শিক্ষা বোর্ডের নাম ও বয়স সংশোধন কমিটির সভায় তা পাস হয়।
এরপর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে গত ২০ মার্চ জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধনের আবেদন করেন পপি। ৩ এপ্রিল এ আবেদন বাতিল হয়ে যায়। পরে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে আরেকটি আবেদন করেন তিনি। এবার রহস্যজনকভাবে পপির আবেদন গ্রহণ করা হয়। বদলে যায় জন্মতারিখ। নতুন তারিখ অনুযায়ী, ভোটের দিন তার বয়স ছিল ২৬ বছর ৪ মাস ১৭ দিন। আগের জন্মতারিখ অনুযায়ী ২৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারতেন না তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, জন্মতারিখ পরিবর্তনের জন্য পপি নির্বাচনে কমিশনে যে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তাতে ভয়াবহ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজের সঙ্গে নিজের এসএসসি সনদ সংযুক্ত করার কথা। কিন্তু হযরত আলী নামে একজন শিক্ষার্থীর সনদ সংযুক্ত করেছেন পপি। হযরত আলী ২০১৭ সালে নওহাটা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। হযরত আলীর জন্মতারিখ ২৯ জুন, ২০০১। অথচ এমন ত্রুটিপূর্ণ আবেদন রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় গ্রহণ করে পরদিনই (২৯ এপ্রিল) জাতীয় পরিচয়পত্রটি পরিবর্তন করে দেয়।
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েই পপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন গত ২ মে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেন। গত ২৯ মে পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এতে পপি খাতুন ২৪ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চলতি মাসের ৪ জুন পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পপিসহ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। পপি এখন শপথ গ্রহণের অপেক্ষায়।
অভিযোগের বিষয়ে পপি খাতুন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘আমার জন্মতারিখ ভুল ছিল। আমি সব নিয়মকানুন মেনেই জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছি। নির্বাচন কমিশন সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই আমাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। ভোটাররা ভোট দিয়েছে বলে বিজয়ী হয়েছি। এখন প্রতিপক্ষরা এসব কথা সামনে এনে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’
অপর দিকে জন্মতারিখ সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডে সাধারণত বয়স কমানোর আবেদন আসে। কিন্তু পপির বয়স বাড়ানোর আবেদন আসে। এটা ব্যতিক্রম। তারপরেও এ জন্য রাজনৈতিক চাপ ছিল। পরে কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন দিয়েছে।’
ত্রুটিপূর্ণ আবেদন গ্রহণের বিষয়ে রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম প্রামাণিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাগজপত্র যাচাই করেই সব করা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পপি খাতুনের বাড়ি পবা উপজেলার দারুশা গ্রামে। হতদরিদ্র একটি পরিবারের মেয়ে পপির হঠাৎ নির্বাচনে এসে বিজয়ী হওয়ায় হতবাক এলাকার লোকজন।
উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুর রাজি রুবেল বলেন, ‘অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান পপির হঠাৎ উত্থানে আমরা হতবাক। কারণ, তার পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিবন্ধী ভাতার টাকায় তাদের সংসার চলে। কিন্তু সে শহরেও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। তার লাইফ স্টাইল ধনীর মতো। হঠাৎ শুনতে পাই, পপি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। পপির পেছনে কোনো অদৃশ্য শক্তির হাত আছে। যারা পপিকে মাঠে নামিয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স পপির হয়নি। কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করল তা জানি না।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই নির্বাচনে প্রার্থী হন। কিন্তু পপির মতো একটা বাচ্চা মেয়ে কীভাবে প্রার্থী হয়ে রানিং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে হারিয়ে বিজয়ী হলো তা আমার বুঝে আসে না।’
আরও খবর পড়ুন:

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
১ ঘণ্টা আগে
মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বাগমামুদালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।
১ ঘণ্টা আগে
অনার্স তৃতীয় বর্ষে ফরম পূরণে এ বছর ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়িয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে এমন অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী রয়েছেন
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু।
অধ্যাপক রহমান রাজু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা, যেখানে স্বপ্নের ডানা মেলার আয়োজন নিহিত রয়েছে। এই আয়োজনের মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর সম্ভাবনার বীজ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠপ্রেম জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি সমাজে জ্ঞাননির্ভর, প্রগতিশীল ও মানবিক মনন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চিন্তা ও বুদ্ধির সমন্বয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে এবং নির্মাণের পথে এগিয়ে নিতে বুক অলিম্পিয়াড এক অনন্য উদ্যোগ।
রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার এক অসাধারণ উদ্যোগ। ক্লাসের বই অনেক সময় বাধ্য হয়েই পড়া হয়, কিন্তু বুক অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জ্ঞানের নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। এই বই পড়া অভ্যাসই তাদের মানবিক ও চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওমর আলী আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘সারা দেশে বুক অলিম্পিয়াডের আলোকছটা ছড়িয়ে দিতে আমরা রাজশাহীতে এই আয়োজন করেছি। বইয়ের ভেতরেই লুকিয়ে আছে জ্ঞানের আলো আর সেই আলোকে প্রতিটি শিক্ষার্থী ও প্রান্তিক অঞ্চলে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু, নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, জালাল উদ্দিন, আকতার ফারুক, সার্ক কৃষিকেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের যোগাযোগবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল বাশার মিরাজ, লেখক সুফিয়া ডেইজি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটির সহযোগী হিসেবে ছিল স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন, বইচারিতা, কাঠবিড়ালি প্রকাশন ও শব্দঘর।

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু।
অধ্যাপক রহমান রাজু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা, যেখানে স্বপ্নের ডানা মেলার আয়োজন নিহিত রয়েছে। এই আয়োজনের মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর সম্ভাবনার বীজ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠপ্রেম জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি সমাজে জ্ঞাননির্ভর, প্রগতিশীল ও মানবিক মনন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চিন্তা ও বুদ্ধির সমন্বয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে এবং নির্মাণের পথে এগিয়ে নিতে বুক অলিম্পিয়াড এক অনন্য উদ্যোগ।
রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার এক অসাধারণ উদ্যোগ। ক্লাসের বই অনেক সময় বাধ্য হয়েই পড়া হয়, কিন্তু বুক অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জ্ঞানের নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। এই বই পড়া অভ্যাসই তাদের মানবিক ও চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওমর আলী আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘সারা দেশে বুক অলিম্পিয়াডের আলোকছটা ছড়িয়ে দিতে আমরা রাজশাহীতে এই আয়োজন করেছি। বইয়ের ভেতরেই লুকিয়ে আছে জ্ঞানের আলো আর সেই আলোকে প্রতিটি শিক্ষার্থী ও প্রান্তিক অঞ্চলে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু, নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, জালাল উদ্দিন, আকতার ফারুক, সার্ক কৃষিকেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের যোগাযোগবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল বাশার মিরাজ, লেখক সুফিয়া ডেইজি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটির সহযোগী হিসেবে ছিল স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন, বইচারিতা, কাঠবিড়ালি প্রকাশন ও শব্দঘর।

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
১১ জুন ২০২৪
মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বাগমামুদালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।
১ ঘণ্টা আগে
অনার্স তৃতীয় বর্ষে ফরম পূরণে এ বছর ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়িয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে এমন অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী রয়েছেন
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বাগমামুদালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।
এ সময় সহকারী পরিচালক বলেন, রেইনবো মিনি সুপার শপে বিভিন্ন ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির জন্য প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করায় দোকানটির মালিক মো. মাসুফ উদ্দিনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ বা বিক্রি করা যাবে না।
অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন মোল্লা ও ব্যাটালিয়ন আনসারের একটি টিম।

মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বাগমামুদালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।
এ সময় সহকারী পরিচালক বলেন, রেইনবো মিনি সুপার শপে বিভিন্ন ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির জন্য প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করায় দোকানটির মালিক মো. মাসুফ উদ্দিনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ বা বিক্রি করা যাবে না।
অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন মোল্লা ও ব্যাটালিয়ন আনসারের একটি টিম।

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
১১ জুন ২০২৪
শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
১ ঘণ্টা আগে
অনার্স তৃতীয় বর্ষে ফরম পূরণে এ বছর ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়িয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে এমন অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী রয়েছেন
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

অনার্স তৃতীয় বর্ষে ফরম পূরণে এ বছর ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়িয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে এমন অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২ নভেম্বর) কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ৫ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণের অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ফি কমাতে হবে; মানোন্নয়ন ফি কমাতে হবে, পুনর্নিরীক্ষণ ফি কমাতে হবে, উত্তরপত্রের যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা খাতে সরকারি ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বিএম কলেজের সমাজকর্ম তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এটি চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর নানা খাতে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ফি বৃদ্ধি করেছে। তাঁকে দিতে হবে ৭ হাজার ১০০ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগে ৯ হাজার টাকা; যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এত অর্থ মেটানো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান সাইফুল।
অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আগের চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৩ হাজার টাকা ফি বাড়িয়েছে। আমরা চাই আগের প্রচলিত ফি নির্ধারিত থাক। ফি কমানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ একই কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মেহেদী তানজিল, দর্শনের সুমি আক্তার।
এ ব্যাপারে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফি বাড়িয়েছে। নিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রায় ২ হাজার এবং অনিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে আরও বেশি ফি ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে এসে ফরম পূরণের ফি পরিশোধে তাঁদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ছাত্রছাত্রীদের স্মারকলিপি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

অনার্স তৃতীয় বর্ষে ফরম পূরণে এ বছর ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়িয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে এমন অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২ নভেম্বর) কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ৫ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণের অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ফি কমাতে হবে; মানোন্নয়ন ফি কমাতে হবে, পুনর্নিরীক্ষণ ফি কমাতে হবে, উত্তরপত্রের যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা খাতে সরকারি ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বিএম কলেজের সমাজকর্ম তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এটি চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর নানা খাতে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ফি বৃদ্ধি করেছে। তাঁকে দিতে হবে ৭ হাজার ১০০ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগে ৯ হাজার টাকা; যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এত অর্থ মেটানো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান সাইফুল।
অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আগের চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৩ হাজার টাকা ফি বাড়িয়েছে। আমরা চাই আগের প্রচলিত ফি নির্ধারিত থাক। ফি কমানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ একই কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মেহেদী তানজিল, দর্শনের সুমি আক্তার।
এ ব্যাপারে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফি বাড়িয়েছে। নিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রায় ২ হাজার এবং অনিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে আরও বেশি ফি ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে এসে ফরম পূরণের ফি পরিশোধে তাঁদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ছাত্রছাত্রীদের স্মারকলিপি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
১১ জুন ২০২৪
শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
১ ঘণ্টা আগে
মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বাগমামুদালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী রয়েছেন
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী রয়েছেন।
একই দিন বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহাসিনুল ইসলাম হাবুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) ইসরাত জাহান এই আদেশ দিন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, জেলহাজতে পাঠানো জাতীয় পার্টির চার নেতা-কর্মী হলেন—আক্তার রহমান সপ্রু, মো. জুম্মান, রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর সদর রোড এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ স্লোগান না দেওয়ার অনুরোধ জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগরের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় চার নেতাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে অপর এক মামলায় হিজলা উপজেলায় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে। তাঁরা হলেন—মো. শাহাবুদ্দিন পণ্ডিত, মোশারফ হোসেন তালুকদার, লিয়াকত কাজী, হুমায়ুন কবির ও ইলিয়াস মোল্লা। চলতি বছরের ২২ জুলাই হিজলা উপজেলা বিএনপি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বরিশালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী রয়েছেন।
একই দিন বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহাসিনুল ইসলাম হাবুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) ইসরাত জাহান এই আদেশ দিন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, জেলহাজতে পাঠানো জাতীয় পার্টির চার নেতা-কর্মী হলেন—আক্তার রহমান সপ্রু, মো. জুম্মান, রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর সদর রোড এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ স্লোগান না দেওয়ার অনুরোধ জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগরের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় চার নেতাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে অপর এক মামলায় হিজলা উপজেলায় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে। তাঁরা হলেন—মো. শাহাবুদ্দিন পণ্ডিত, মোশারফ হোসেন তালুকদার, লিয়াকত কাজী, হুমায়ুন কবির ও ইলিয়াস মোল্লা। চলতি বছরের ২২ জুলাই হিজলা উপজেলা বিএনপি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
১১ জুন ২০২৪
শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
১ ঘণ্টা আগে
মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বাগমামুদালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।
১ ঘণ্টা আগে
অনার্স তৃতীয় বর্ষে ফরম পূরণে এ বছর ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়িয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে এমন অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে