নাটোর প্রতিনিধি
কাঁচাগোল্লা নাম শুনলেই নাটোর শব্দটি সামনে চলে আসে। অর্থাৎ নাটোরের সঙ্গে কাঁচাগোল্লা শব্দটি বিশেষভাবে জড়িয়ে আছে। তবে আসল-নকল যা-ই হোক, দেশের নানান স্থানে ‘নাটোরের কাঁচাগোল্লা’ বিক্রি হয়। নাটোরের প্রসিদ্ধ এই কাঁচাগোল্লার বিকৃতি রোধে এবার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নাটোরের কাঁচাগোল্লাকে এবার জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্যের তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কাঁচা ছানা থেকে তৈরি মিষ্টান্ন কাঁচাগোল্লা গোলাকার নয়। তা ছাড়া এর অন্যান্য গুণাগুণেরও স্বাতন্ত্র্য রয়েছে। কিন্তু চিনি মিশিয়ে কাঁচা ছানা ছোট বলের মতো তৈরি করে দেশজুড়ে ‘নাটোরের কাঁচাগোল্লা’ নামে বিক্রি হচ্ছে। নাটোরের কাঁচাগোল্লার নকল ঠেকাতে এবং এর ঐতিহ্য সংরক্ষণে এই উদ্যোগ নিয়েছে নাটোর জেলা প্রশাসন।
প্রায় ২৬৩ বছর পর সুস্বাদু মিষ্টান্ন কাঁচাগোল্লার জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছেন নাটোরের বিদায়ী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ। গতকাল বুধবার অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) মাধ্যমে নাটোরের কাঁচাগোল্লার জিআই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন তিনি।
জানা গেছে, ১৭৬০ সালের দিকে তৎকালীন নাটোর শহরের লালবাজার এলাকার মধুসূদন পালের মিষ্টির দোকান ছিল এই অঞ্চলের প্রসিদ্ধ দোকান। দোকানের বড় বড় চুলায় মধুসূদন পাল প্রতিদিন দেড় থেকে দু’মণ ছানা দিয়ে পানতোয়া, চমচম, কালো জাম প্রভৃতি মিষ্টি তৈরি করতেন। দোকানে কাজ করতেন ১০-১৫ জন কর্মচারী।
হঠাৎ একদিন মিষ্টির দোকানের কারিগর আসেননি। মধুসূদনের তাতে মাথায় হাত। এত ছানা এখন কী হবে? নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে ছানায় চিনির রস ঢেলে জ্বাল দিয়ে নামিয়ে রাখতে বলেন তিনি। এরপর মুখে দিয়ে দেখা যায় ওই চিনি মেশানো ছানা দারুণ স্বাদ হয়েছে। সৃষ্টি হয় এক নতুন মিষ্টান্ন, যার নাম দেওয়া হয় কাঁচাগোল্লা।
ঐতিহ্যবাহী এই কাঁচাগোল্লা দীর্ঘদিন ধরে বিকৃত আকারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়ে আসছিল। এ নিয়ে নাটোরের মানুষের তেমন আপত্তি ছিল না। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের প্রসিদ্ধ একটি খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাটোরে তাদের ব্র্যান্ড শপে গোলাকার কাঁচাগোল্লা বিক্রি শুরু করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
এরপর থেকে নাটোরের নাগরিক সমাজ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কাঁচাগোল্লার ভৌগোলিক নির্দেশক নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হলো। জেলা প্রশাসনকে এই ডকুমেন্টেশন তৈরিতে সহযোগিতা করছে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)।
চার পুরুষ ধরে মিষ্টি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নাটোরের ঐতিহ্যবাহী জয় কালী মিষ্টান্ন ভান্ডার। এই দোকানের বর্তমান স্বত্বাধিকারী প্রভাত কুমার পাল বলেন, জিআই আবেদন অনেক আগেই করা দরকার ছিল। কেননা বিভিন্ন রকমের মানহীন মিষ্টি কাঁচাগোল্লা নামে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়। এতে নাটোর ও কাঁচাগোল্লার সুনাম নষ্ট হয়। জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলে আসল কাঁচাগোল্লা চিনে নিতে সমস্যা হবে না।
নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী বলেন, জিআই তালিকাভুক্তির মধ্য দিয়ে নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে কাঁচাগোল্লার ব্র্যান্ডিং ও চাহিদা বাড়বে। এ সংক্রান্ত যেকোনো উদ্যোগ বাস্তবায়নে পৌর কর্তৃপক্ষ পাশে থাকবে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, নাটোরের কাঁচাগোল্লার ইতিহাস সমৃদ্ধ হওয়ায় জিআই নিবন্ধনের কাজটি শুরু করেছি। আশা করছি, অল্প দিনের মধ্যেই জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করবে নাটোরের কাঁচাগোল্লা।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল প্রোপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগ (ডিপিডিটি) এই স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। এই কার্যক্রমের সূচনা করা হলো। প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলে কাঁচাগোল্লা নাটোরের হিসেবে আন্তর্জাতিক সনদ পাবে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত দেশে জিআই তালিকাভুক্ত পণ্য মোট ১১টি। এগুলো হলো জামদানি, ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারীভোগ, কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, বাগদা (চিংড়ি) এবং সর্বশেষ ফজলি আম।
কাঁচাগোল্লা নাম শুনলেই নাটোর শব্দটি সামনে চলে আসে। অর্থাৎ নাটোরের সঙ্গে কাঁচাগোল্লা শব্দটি বিশেষভাবে জড়িয়ে আছে। তবে আসল-নকল যা-ই হোক, দেশের নানান স্থানে ‘নাটোরের কাঁচাগোল্লা’ বিক্রি হয়। নাটোরের প্রসিদ্ধ এই কাঁচাগোল্লার বিকৃতি রোধে এবার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নাটোরের কাঁচাগোল্লাকে এবার জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্যের তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কাঁচা ছানা থেকে তৈরি মিষ্টান্ন কাঁচাগোল্লা গোলাকার নয়। তা ছাড়া এর অন্যান্য গুণাগুণেরও স্বাতন্ত্র্য রয়েছে। কিন্তু চিনি মিশিয়ে কাঁচা ছানা ছোট বলের মতো তৈরি করে দেশজুড়ে ‘নাটোরের কাঁচাগোল্লা’ নামে বিক্রি হচ্ছে। নাটোরের কাঁচাগোল্লার নকল ঠেকাতে এবং এর ঐতিহ্য সংরক্ষণে এই উদ্যোগ নিয়েছে নাটোর জেলা প্রশাসন।
প্রায় ২৬৩ বছর পর সুস্বাদু মিষ্টান্ন কাঁচাগোল্লার জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছেন নাটোরের বিদায়ী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ। গতকাল বুধবার অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) মাধ্যমে নাটোরের কাঁচাগোল্লার জিআই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন তিনি।
জানা গেছে, ১৭৬০ সালের দিকে তৎকালীন নাটোর শহরের লালবাজার এলাকার মধুসূদন পালের মিষ্টির দোকান ছিল এই অঞ্চলের প্রসিদ্ধ দোকান। দোকানের বড় বড় চুলায় মধুসূদন পাল প্রতিদিন দেড় থেকে দু’মণ ছানা দিয়ে পানতোয়া, চমচম, কালো জাম প্রভৃতি মিষ্টি তৈরি করতেন। দোকানে কাজ করতেন ১০-১৫ জন কর্মচারী।
হঠাৎ একদিন মিষ্টির দোকানের কারিগর আসেননি। মধুসূদনের তাতে মাথায় হাত। এত ছানা এখন কী হবে? নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে ছানায় চিনির রস ঢেলে জ্বাল দিয়ে নামিয়ে রাখতে বলেন তিনি। এরপর মুখে দিয়ে দেখা যায় ওই চিনি মেশানো ছানা দারুণ স্বাদ হয়েছে। সৃষ্টি হয় এক নতুন মিষ্টান্ন, যার নাম দেওয়া হয় কাঁচাগোল্লা।
ঐতিহ্যবাহী এই কাঁচাগোল্লা দীর্ঘদিন ধরে বিকৃত আকারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়ে আসছিল। এ নিয়ে নাটোরের মানুষের তেমন আপত্তি ছিল না। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের প্রসিদ্ধ একটি খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাটোরে তাদের ব্র্যান্ড শপে গোলাকার কাঁচাগোল্লা বিক্রি শুরু করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
এরপর থেকে নাটোরের নাগরিক সমাজ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কাঁচাগোল্লার ভৌগোলিক নির্দেশক নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হলো। জেলা প্রশাসনকে এই ডকুমেন্টেশন তৈরিতে সহযোগিতা করছে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)।
চার পুরুষ ধরে মিষ্টি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নাটোরের ঐতিহ্যবাহী জয় কালী মিষ্টান্ন ভান্ডার। এই দোকানের বর্তমান স্বত্বাধিকারী প্রভাত কুমার পাল বলেন, জিআই আবেদন অনেক আগেই করা দরকার ছিল। কেননা বিভিন্ন রকমের মানহীন মিষ্টি কাঁচাগোল্লা নামে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়। এতে নাটোর ও কাঁচাগোল্লার সুনাম নষ্ট হয়। জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলে আসল কাঁচাগোল্লা চিনে নিতে সমস্যা হবে না।
নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী বলেন, জিআই তালিকাভুক্তির মধ্য দিয়ে নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে কাঁচাগোল্লার ব্র্যান্ডিং ও চাহিদা বাড়বে। এ সংক্রান্ত যেকোনো উদ্যোগ বাস্তবায়নে পৌর কর্তৃপক্ষ পাশে থাকবে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, নাটোরের কাঁচাগোল্লার ইতিহাস সমৃদ্ধ হওয়ায় জিআই নিবন্ধনের কাজটি শুরু করেছি। আশা করছি, অল্প দিনের মধ্যেই জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করবে নাটোরের কাঁচাগোল্লা।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল প্রোপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগ (ডিপিডিটি) এই স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। এই কার্যক্রমের সূচনা করা হলো। প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলে কাঁচাগোল্লা নাটোরের হিসেবে আন্তর্জাতিক সনদ পাবে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত দেশে জিআই তালিকাভুক্ত পণ্য মোট ১১টি। এগুলো হলো জামদানি, ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারীভোগ, কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, বাগদা (চিংড়ি) এবং সর্বশেষ ফজলি আম।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৪ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৯ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৪ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে