Ajker Patrika

শীতের পোশাক কিনতে ভিড় বাড়ছে

রাজশাহী প্রতিনিধি
শীতের পোশাক কিনতে ভিড় বাড়ছে

রাজশাহীতে হঠাৎ করেই সর্বোচ্চ আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। এর ফলে অনুভূত হচ্ছে শীত। এতে ভিড় বেড়েছে শীতের পোশাকের দোকানে। শীতের আগমনে বিক্রেতারাও হয়ে উঠেছেন ব্যস্ত। দাম তুলনামূলক কম বলে ফুটপাতেই এই ভিড় দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত শনিবার থেকে তাপমাত্রা কমে গেছে। রোববার পর্যন্ত রাজশাহীর আকাশে সূর্যও দেখা যায়নি। শনিবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন ছিল ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন রোববার সর্বনিম্ন ২০ দশমিক ২ এবং সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছিল তাপমাত্রা। আজ সোমবার দিন শুরু হয়েছে ২০ দশমিক ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী তারেক আজিজ বলেন, ‘সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে গেছে। রাতে তাপমাত্রা আরও কমছে। ফলে সব সময় এখন শীত শীত অনুভব হচ্ছে। এখন ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকবে।’ 

সরেজমিনে সোমবার নগরীর সাহেববাজার, রেলগেট, কোর্ট ও শিরোইল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ফুটপাতে শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। কম মূল্যেই এসব কাপড় কিনছেন ক্রেতারা। এসব দোকানে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তরা ভিড় করছেন বেশি। সামর্থ্যবানেরা যাচ্ছেন আরডিএ মার্কেট, গণকপাড়া কিংবা নিউমার্কেটে।

সাহেববাজারের ফুটপাতে কথা হয় গৃহবধূ তানিয়া খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত বছরের শীতের পোশাক এবার বাচ্চাকে আর পরানো যাচ্ছে না। তাই বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়েই গরম কাপড় কিনতে এসেছি।’ 

রানীবাজার এলাকায় রাস্তায় কম্বল দেখছিলেন রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি নাটোর। গ্রাম থেকে কম্বল আনা হয়নি। এখন রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। ভোররাতে তো শীত আরও বেশি। সে কারণে কম্বল কিনতে এসেছি।’

গণকপাড়া এলাকায় ভ্যানে সাজিয়ে শীতের পোশাক বিক্রি করছিলেন শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গত বছর শীতে ব্যবসা ভালো হয়নি। সেই সময়ের কিছু পোশাক থেকে গিয়েছিল। এবার হঠাৎ করে শীত পড়তে শুরু করায় গত বছরেরই পোশাকগুলো এনে কম দামে বিক্রি করছি।’

আরেক বিক্রেতা তুহিন আলী বলেন, ‘ঢাকা থেকে কিছু সোয়েটার, মোটা সুতির গেঞ্জি, উলের গেঞ্জিসহ অন্যান্য গরম কাপড় এনেছি। এখন দাম কিছুটা কমই আছে। শীত যত বাড়বে চাহিদাও তত বাড়বে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত