বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া সদরে আলমগীর হোসেন নামের এক তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউএনও সমর কুমার পালের বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার আলমগীর বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। আজ শুক্রবার পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মারধরের শিকার হন তিনি।
আলমগীর সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের নৈশপ্রহরী। তিনি সিরাজগঞ্জ সদরের বাসিন্দা। তবে চাকরির সুবাদে তিনি উপজেলা পরিষদের কর্মচারীদের কোয়ার্টারে থাকেন।
আলমগীরকে মারধর করার পর উপজেলা পরিষদ চত্বরে তাকে ফেলে রাখা হয়। সেখানে তিনি অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন। পরে তাঁর মেয়ের স্বামী মাসুদ রানা তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নেন। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই সিরাজগঞ্জ সদরে গ্রামের বাড়িতে চলে যান আলমগীর।
অভিযোগ রয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউএনও তাঁর আনসার সদস্যদের নিয়ে আলমগীরকে বেধড়ক পিটিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফেলে রাখেন।
আলমগীরের মেয়ের স্বামী মাসুদ রানা বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ কর্মচারী কোয়ার্টারে একাই থাকেন আমার শ্বশুর। আমার শাশুড়ি শহীদা বেগম গ্রামের বাড়িতে (সিরাজগঞ্জ) বসবাস করেন।’
মাসুদ রানা বলেন, ‘এক্স-রে রিপোর্টে আমরা দেখেছি বাম হাতের দুই আঙুল ভেঙে গেছে আমার শ্বশুরের। কিন্তু এই অবস্থাতেও ছাড়পত্র, প্রেসক্রিপশন না নিয়েই তিনি সিরাজগঞ্জে চলে গেছেন। তাঁর (আলমগীরের) মা মরণাপন্ন অবস্থায় আছেন।’
এ বিষয়ে আলমগীর বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের তৃতীয় তলা থেকে আমাকে ধরে নিয়ে আসেন ইউএনওর দেহরক্ষী আনসার সদস্যরা। পরে ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে আমাকে মারধরে করা হয়। ওই সময় লাঠি দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করেন ইউএনও। মারধরের শিকার হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও ইউএনও আমাকে লাঠিপেটা করেন। এরপরে আমি অচেতন হয়ে পড়ি।’
অভিযুক্ত ইউএনও সমর কুমার পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আলমগীর তাঁর স্ত্রীকে উপজেলা চত্বরে ফেলে রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পরিষদের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় আমি তাঁর স্ত্রীকে মেয়ের বাড়ি মাঝিড়াতে পাঠিয়ে দিই। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য আলমগীরকে দপ্তরে ডাকি। তাকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। অন্যদের ইন্ধনে গাছের নিচে শুয়ে থেকে আহত হওয়ার ভান করেছে আলমগীর ৷ এভাবে সে তার প্রতি সিমপ্যাথি গ্রো করার চেষ্টা করেছে।’
এদিকে এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আহমেদকে দায়িত্ব দিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।
ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি শুনেছি আমাকে দায়িত্ব দিয়ে এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এখনো চিঠি এসে পৌঁছায়নি আমার কাছে। আমি ইতিমধ্যেই ভুক্তভোগীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন তাঁর আঙুল ভেঙে গেছে। পরে ফরমাল তদন্তে জানা যাবে তাঁর অভিযোগের সত্যতা আছে কিনা।’
বগুড়া সদরে আলমগীর হোসেন নামের এক তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউএনও সমর কুমার পালের বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার আলমগীর বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। আজ শুক্রবার পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মারধরের শিকার হন তিনি।
আলমগীর সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের নৈশপ্রহরী। তিনি সিরাজগঞ্জ সদরের বাসিন্দা। তবে চাকরির সুবাদে তিনি উপজেলা পরিষদের কর্মচারীদের কোয়ার্টারে থাকেন।
আলমগীরকে মারধর করার পর উপজেলা পরিষদ চত্বরে তাকে ফেলে রাখা হয়। সেখানে তিনি অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন। পরে তাঁর মেয়ের স্বামী মাসুদ রানা তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নেন। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই সিরাজগঞ্জ সদরে গ্রামের বাড়িতে চলে যান আলমগীর।
অভিযোগ রয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউএনও তাঁর আনসার সদস্যদের নিয়ে আলমগীরকে বেধড়ক পিটিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফেলে রাখেন।
আলমগীরের মেয়ের স্বামী মাসুদ রানা বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ কর্মচারী কোয়ার্টারে একাই থাকেন আমার শ্বশুর। আমার শাশুড়ি শহীদা বেগম গ্রামের বাড়িতে (সিরাজগঞ্জ) বসবাস করেন।’
মাসুদ রানা বলেন, ‘এক্স-রে রিপোর্টে আমরা দেখেছি বাম হাতের দুই আঙুল ভেঙে গেছে আমার শ্বশুরের। কিন্তু এই অবস্থাতেও ছাড়পত্র, প্রেসক্রিপশন না নিয়েই তিনি সিরাজগঞ্জে চলে গেছেন। তাঁর (আলমগীরের) মা মরণাপন্ন অবস্থায় আছেন।’
এ বিষয়ে আলমগীর বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের তৃতীয় তলা থেকে আমাকে ধরে নিয়ে আসেন ইউএনওর দেহরক্ষী আনসার সদস্যরা। পরে ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে আমাকে মারধরে করা হয়। ওই সময় লাঠি দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করেন ইউএনও। মারধরের শিকার হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও ইউএনও আমাকে লাঠিপেটা করেন। এরপরে আমি অচেতন হয়ে পড়ি।’
অভিযুক্ত ইউএনও সমর কুমার পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আলমগীর তাঁর স্ত্রীকে উপজেলা চত্বরে ফেলে রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পরিষদের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় আমি তাঁর স্ত্রীকে মেয়ের বাড়ি মাঝিড়াতে পাঠিয়ে দিই। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য আলমগীরকে দপ্তরে ডাকি। তাকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। অন্যদের ইন্ধনে গাছের নিচে শুয়ে থেকে আহত হওয়ার ভান করেছে আলমগীর ৷ এভাবে সে তার প্রতি সিমপ্যাথি গ্রো করার চেষ্টা করেছে।’
এদিকে এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আহমেদকে দায়িত্ব দিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।
ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি শুনেছি আমাকে দায়িত্ব দিয়ে এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এখনো চিঠি এসে পৌঁছায়নি আমার কাছে। আমি ইতিমধ্যেই ভুক্তভোগীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন তাঁর আঙুল ভেঙে গেছে। পরে ফরমাল তদন্তে জানা যাবে তাঁর অভিযোগের সত্যতা আছে কিনা।’
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় তিন মিষ্টির দোকানসহ আট প্রতিষ্ঠান ও এক লরি চালককে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি, মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার মজুত, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার ও সড়কে অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের অভিযোগে এই জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ পৌর এলাকায় মাত্র ২০ টাকা পাওয়া পরিশোধ নিয়ে কলহের জেরে ছুরিকাঘাতে আহত মো: মঞ্জুর বিশ্বাস (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাণীশংকৈল-হরিপুর সড়কের রাণীশংকৈল পৌরসভা অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
১ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ৩ হাজার ১২০ পিস ইয়াবাসহ চার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার নেকমরদ এলাকায় বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে