Ajker Patrika

প্রেমের বিয়ে, ৫ বছর পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক স্বামী 

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ২০: ৩৪
প্রেমের বিয়ে, ৫ বছর পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক স্বামী 

নাটোরের বড়াইগ্রামে গৃহবধূকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। 

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বড়াইগ্রামের মাঝগ্রামে। এ ঘটনায় নিহত বোনের স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বোন নার্গিস আক্তার। 

নিহত গৃহবধূর নাম সোনিয়া খাতুন (২৪)। তিনি মাদারীপুর জেলা সদরের থানতুলি গ্রামের জব্বার ফকিরের মেয়ে। 

আটক রয়েছেন সোনিয়ার স্বামী লিটন আলী (৩০)। তিনি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগ্রাম হাদিসপুর গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে। 

নিহত সোনিয়ার ভাগনি নাজমীন আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে সোনিয়া ও লিটনের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। পরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একই বছর তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের আমীম (৪) ও আবির (২) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। তাঁদের সংসারও ভালোই চলছিল। কিন্তু ছোট ছেলের জন্মের পর থেকে লিটন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হতো।’ 

নাজমীন আক্তার জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে লিটন তাঁর স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। এ সময় বেড়াতে আসা সোনিয়ার বোন নার্গিস আক্তার ও ভাগনি নাজমীন আক্তার রক্ষা থামাতে গেলে লিটন তাঁদেরও মারধর করেন। নিরুপায় হয়ে তাঁরা দুজনই পুলিশ ডাকার জন্য থানার উদ্দেশে রওনা হয়। 

নাজমীন বলেন, ‘পুলিশ নিয়ে বাড়িতে ফিরে দেখি, সোনিয়ার মরদেহ পড়ে আছে শোয়ার ঘরের বারান্দায়। পুলিশ লাশ নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যায়। সে সময় বনপাড়া থেকে লিটনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’ 

সুমাইয়ার বোন নার্গিস আক্তার আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর সামনেই বোনকে হাত-পা বেঁধে পেটানো হচ্ছিল। তিনি ও তাঁর মেয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে পুলিশকে ডাকার জন্য তাঁরা থানায় চলে যান। ফিরে এসে তাঁরা মরদেহ দেখতে পান। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত লিটনের মা মমেনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলে লিটন মাদকাসক্ত। ওর মাথা ঠিক থাকে না। পারিবারিক কলহের কারণে সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। আমি ছোট ছেলে আবিরকে নিয়ে বাড়ির বাইরে যাই। পরে শুনি সোনিয়া মারা গেছে। তার গলায় দড়ি বাঁধা ছিল।’ 

মহসীন নামে তাঁদের এক প্রতিবেশী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগেও প্রায় দিনই মারপিট করত লিটন। দুই সন্তানের মায়ায় শত গঞ্জনা সহ্য করে যাচ্ছিলেন সোনিয়া। তবু শেষ রক্ষা হলো না। কেউ এগিয়ে গেলে তাকে হাঁসুয়া নিয়ে তাড়া করত লিটন।’ 

এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে জানান, খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই গৃহবধূ সোনিয়ার মৃত্যু হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে লিটনকে আটক করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লুটপাটে শেষ ৫ কোটির প্রকল্প: ইউএনও-উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শুনানি কাল

চীন–রাশিয়া থেকে ভারতকে দূরে রাখতে কয়েক দশকের মার্কিন প্রচেষ্টা ভেস্তে দিচ্ছেন ট্রাম্প: জন বোল্টন

‘হানি ট্র্যাপের’ ঘটনা ভিডিও করায় খুন হন সাংবাদিক তুহিন: পুলিশ

আটজন উপদেষ্টার ‘সীমাহীন’ দুর্নীতির প্রমাণ আছে: সাবেক সচিব

স্ত্রীকে মেরে ফেলেছি, আমাকে নিয়ে যান— ৯৯৯–এ স্বামীর ফোন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত